পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৬ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড =aمعsصيصور পারবে। আমাদের ত এত বয়স হতে গেল, এমন স্বন্দরী আজ পর্য্যন্ত দেখিনি। আর পিসিম, তিনি সে বাড়ীতে থাকেন না, দাদাবাবুকে দেখবার জন্য এয়েচেন, তিনি খুব পাকা সেয়ান মেয়েমানুষ । –এই ত আর চারটে দিন গেলেই বউমা আসবে। ভবম্বন্দরী ব্ৰজনাথকে কেবলি তাগিদ করিতে আরম্ভ করিলেন, তাহার শ্বশুরবাড়ী যাইবার জন্য কাপড়-চোপড় নিজে সাজাইতে আরম্ভ করিলেন। বলিলেন,—তুই কোথায় চুপিচুপি বিয়ে করে এলি, আমি কি বউয়ের মুখ দেখব না ? . ব্ৰজনাথ হাসিয়া বলিল,—তোমর বেদিন স্থির করেচ তার আগে ত আর আমাকে পাঠাতে পার না। —না, তাই বলচি, এ দুটো দিন কেটে গেলে হয়। ব্ৰজনাথ পিতার অনুমতি লইয়া কলিকাতা হইতে একটা ছোট ষ্টীমার ভাড়া করিল। আর একটা যে আয়োজন করিল অমরনাথ তাহার কিছু জানিলেন না। ব্ৰজনাথ হরেরাম সর্দারের কাছে দু একবার গিয়া কি পরামর্শ করিয়া আসিল । ১৯শে ফাত্তন আহারাদির পর ব্ৰজনাথ দুজন চাকর সঙ্গে করিয়া ষ্টীমারে উঠিল। সন্ধ্যার সময় সোমড়ায় পহছিবার কথা । - উলুবেড়ে ছাড়াইয়া ক্রোশখানেক উত্তরে গিয়া ব্ৰজনাথ দেখিতে পাইল একটা ঘাটের কাছে কয়েকজন লোক দাড়াইয়া আছে। ঘাটের সম্মুখে একটু দূরে ব্ৰজনাথ ষ্টীমারের নোঙ্গর ফেলিতে আদেশ করিল। ষ্টীমারের ছুইখানি বোট ঘাটে গিয়া সেই সকল লোককে ষ্টীমারে লইয়। আসিল । কুড়িজন হাতিয়ারবন্ধ জোয়ান, গদা তাহাদের দলপতি । সোমড়ায় পন্থছিতে অন্ধকার হইয়া আসিল । বোটে . করিয়া ব্ৰজনাথ দলবল-সমেত নিঃশব্দে ঘাটে নামিল । ঘাটে বরদাকান্তর ছিপ বাধা ছিল । ছিপে একটা লণ্ঠন ছিল, সেইটা তুলিয়া লইয়া ব্ৰজনাথ মাঝিদের একে একে মুখ দেখিল ৷ শঙ্কর মাঝির মাথায় কাটা দাগ দেখিয়া বলিল—এই যে আমার চিহ্ন রয়েচে আমাকে চিনতে পার ? শঙ্কর মাঝি ব্ৰজনাথকে দেখিল, তাহার পিছনে যাহারা দাড়াইয়া আছে তাহাদিগকে দেখিল । তাড়াতাড়ি উঠিয়া নমস্কার করিয়া বলিল,—জাজে, চিনতে পারি বই কি ! আপনার ত আসবার কথা আছে। শঙ্কর মাঝি হাত কচলাইতে লাগিল। ব্ৰজনাথ হাসিয়া বরদাকান্তর বাড়ীর অভিমুখে চলিল। বরদাকান্ত বৈঠকখানায় বসিয়াছিলেন। জামাই আজ আসিবে কি পরদিন আসিবে সে সংবাদ তিনি জানিতেন না। জামাই আসিবে বলিয় তাহার মুখে প্রসন্নতার কোন লক্ষণ ছিল না। মুখ ভার করিয়া ক্ৰ কুঞ্চিত করিয়া তামাক খাইতেছিলেন । জামাই আসিলে তাহার সহিত কিরূপ ব্যবহার করিবেন সেই কথা ভাবিতেছিলেন। অবশ্য তাহাকে অপমান করিবার কোন কারণ নাই, কিন্তু তাহাদের টাকা আছে বলিয়া ষে জামাইয়ের কাছে নরম হইতে হইবে এমনও কোন কথা নাই। বিবাহের রাত্রে তিনি যে রূঢ় কথা বলিয়াছিলেন সেজন্ত তাহার কখন কিছুমাত্র অন্ত্রতাপ হয় নাই। চীৎকার করিয়া না বলিলে হয়ত জামাই শুনিতে পাইত না, কিন্তু সে শুনিলেই বা কি আসিয়া যায় ? রাধানাথ ঠাকুর ষেন বাড়ীর কৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছে, তাহার কথা-মত জামাইকে অভ্যর্থনা করিতে হইবে। ব্ৰাহ্মণের এত কথা যদি জানা না থাকিত তাহা হইলে বরদাকান্ত তাহাকে দেখিয়া লইতেন । জামাই আসিলে ষে কয়টা কথা না বলিলে নয় তাহাই বলিবেন। আদরঅভ্যর্থৰ বাড়ীর মেয়েরা করিবে । बग्नमाकोस्त्र ७हेक्लो चधिग्न छझना कब्रि८७एझ्न ७धन সময় কাহার পায়ের শব্দ হইল। তিনি মুখ তুলিয়া দেখেন, বৈঠকখানার দরজার দুই পাশে দাড়াইয়া দুইজন বলিষ্ঠ পুরুষ- দুইজনের হাতে খাপখোলা ডরোয়াল, মুখে একটিও কথা নেই। কিছুদিন পূৰ্ব্বে এই দলের লোকেদের সঙ্গে বরদাকান্তর বিশেষ পরিচয় ছিল, কিন্তু এই দুই ব্যক্তিকে চিনিতে পারিলেন না। সহসা বাড়ীর বাহিরে অনেকগুলা মশালের আলোকে চারিদিক আলোকিত হইয়া উঠিল । জানাল দিয়া সে আলোক বৈঠকখানায় পড়িল । বরদাকান্ত চাহিয়৷