পাতা:ব্যাধি ও প্রতিকার.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰূন্দে মাতরম্ । বাষ্পপৃক্ত কবিয়া, মায়ের বাতুল পা’দুখানিতে ঢালিযা দিব ; এবং আমি পুর্ণাস্তঃকরণে বিশ্বাস করি,-আমাদের সেই নগণ্য ভক্তি-উপচারি আমার দুঃখিনী, অনাখ মায়েল অভল সন্তোষ বিধান করিতে পারিকে । এই প্রকারে, শুধু আর্থিক দানেই নহে—নানা উপায়েই জামাদের আস্ব-শক্তি স্বদেশ-সেবায় নিযুক্ত করিম আমব দেশের মুখোজ্জল করিতে পারি। আমবা ষে আজ জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে #াড়াইয়া আছি । সে কথা—সে নিষ্ঠুর সত্য এখনো কি জামাদের অন্তর স্পর্শ করিবে না ? এখনো কেন আত্ম-বঞ্চনা দ্বাবা তৃপ্ত হইতে চাই ? আসন্ন প্রলয়-ঝটিকার শুরু গৰ্জ্জন কি এখনো আমরা শুনিতে পাইতেছি না? আমরা যেন অনুভব করিতে শিখি ;—তীব্র অনুভূতি স্বপ্ত মৰ্ম্মকে জাগাইয়া না তুলিলে কৰ্ম্মে প্রবৃত্তি হওয়া অসম্ভব। আমাদিগকে অনুভব কবিতে হইবে যে, কপটতা আত্ম-হত্যা । সরল না হইলে মাতৃ-পূজা করা যায় না। স্বাৰ্থ-ত্যাগ চাই। স্বদেশ-হিতসাধন ভোগীর কার্ষ্য নহে,—তাহা ত্যাগীর কার্য । ইহা বিলাসীর মুখস্বপ্ন নহে,—ইহা বিরস কঠোর তপস্তা । আত্মহুতি ভিন্ন এ যজ্ঞের ফল-লাভ নাই । কিন্তু, সে তপস্যা হইতে পাবক-পুত স্বর্ণের মত সকলেই যে প্রভাপসিংহ হইতে পরিবেন, আমি এ কথাও বলিতেছি না । শুধু এইটুকুই আমার বক্তব্য যে, যাহার যেটুকু ক্ষমতা-ঈশ্বকে ব্যাধি ও প্রতিকবি । 5 •y*