পাতা:ব্যাধি ও প্রতিকার.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্দে মাতরম্ ! চিত্তে, প্রত্যেক কার্য্যের দায়িত্ব ও গুরুত্ব বুঝিয়া, প্রত্যেক বিভাগের সুপথ আবিষ্কার করিয়া চলিতে হুইবে সেখানে ঐক্কপ একনেতৃত্বের উপাসনা, সাংঘাতিক। মানুষ অভ্রান্ত নহে; এবং, পূর্ণ মনুষ্যন্ত্রের দৃষ্ঠান্তও এ জগতে অদ্যাপি দৃষ্ট হইয়াছে কিনা, বিবেচ্য। আমরা এখন সাধ্যের মধ্যেই সফলতা খুজিব । ষে বিভাগে যাহার যেটুকু সাধ্য সেটুকুর সাহায্য না লইয়া, সাধ্যাতীত কোন ভার তাহার মস্তকে চাপাইয়া দিলে, তাহার সাধ্যায়ত্ত বিভাগের ফল-লাভ হইতেও আমরা বঞ্চিত হইব ; এবং, তাহাতে সকলি বিফল হইবে ! কাজেই, এই প্রকার অসম্ভব দায়িত্বের বোঝা কোন বিজ্ঞ ব্যক্তি কখনই গ্রহণ করিবেন না। ফলে, আজি ইহাকে-কাল উ২ীরে ধরিয়া টানাটানি করিয়া, যাহার যেটুকু প্রতিপত্তি ছিল তাহাকেও ৰিনাশের—ধ্বংশেব পথেই লইয়া যাওয়া, সার হইবে । এমন করিলে প্রকৃত কৰ্ত্তব্যেব প্রতি কাছারে চক্ষু পড়িবে তো না-ই ;—তা'ছাড়া, এইরূপ মোহকর, ব্যর্থ চিন্তাষ কাল কাটাইয়t আমরা কেবল জডত্বই প্রাপ্ত হইব। হয়তো কেহ বলিবেন—“সাধাবণে একটি মাত্র নেতা চায়। শিক্ষিত লোকদের অন্তমত হইলে কি হইবে ?” তদুত্তর–আগে শিক্ষিত লোকদের বিচিত্র শক্তিকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে সংস্থাপিত করিয়া, চালনা করিতে আরম্ভ করা হৌক,-অজ্ঞানেরা ধীরে ধীরে সাধি ও প্রতিকার ।