পাতা:জগজ্জ্যোতি বা নুরজাহান.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ] তোমায় ভুলিতে পারি নাই, আর যে কখন ভুলিতে রিব তাহাও বোধ হয় না ; মনোরমাকে মনে হলে হৃদয় শ্মশানময় হইয়া যায়, কিন্তু আবার নুরজাহানকে দেখিয়া অবধি আমার মনে নূতন ভাশার সঞ্চার হইতেছে। যদি নূরজাহানকে বিবাহ করিডে ’রি, তাহ হইলে মনোরমার বিরহ জনিত শোক একেবারে বিস্বত হইতে পারা যায়। কিন্তু নুরজাহানের সহিত, যে আমার কোনকালে বিবাহ হইবে, সে আশাও কেবল তুরাশামাত্র, এখন ঈশ্বরের মনে কি আছে বলতে পারি না। ( রাজ্ঞীর প্রবেশ ) জাঙ্ক । (হঠাৎ চাহিয়া দেখিয়া) মাতঃ, এই গভীররাত্রে আপনি একাকী কি নিমিত্ত আমার নিকটে আসিয়াছেন ? রাজ্ঞী। বৎস, শৈল বালা নামে আমার একটী সহচরীর আজ চারি দিবস হইল জ্বর হইয়াছে, ভাই আমি তাকে দেখিতে গিয়াছিলাম, আদিভে আসিভে, তোমার কথা শুনিতে পাইয়া । এখনও ভূমি কেন নিদ্রা যাওনাই তাই দেখিতে আসিলাম । জাহা । মা, আপনার সহচরী আজ কেমন আছেন ? রাজ্ঞী। আজ একটু ভাল আছে। সেলিম, এখনও কি তুমি মনোরমাকে ভুলিতে পার নাই ? তুমি কি সেই স্বর্ণ প্রতিমাকে এই গভীর রাত্রে বসিয়া চিত্তা করিতেছিলে ? যেমন গভীর সমুদ্রে পতিত, মহামূল্য রত্বের নিমিত্ত কোন বাক্তির দুঃখ হয়, তেমনি, মনোরমা বিহনে, তোমার ও আমার ততোধিক হুঃখ হইয়াছে। হায়! সেই মনোহর মূৰ্ত্তি, আমায় একবার মা বলিয়া সম্বোধন করিল না ? ওঃ, মনোরমার দুঃখ শুনিয়া পাষাণ হৃদয়ও দ্রবীভূত হইয়া যায়। মনোরমে,