পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৭৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন স্নায়ু . 8يه আলোচনায় যোগদান করিয়াছিলেন ও যাহাতে ইংরেজ-শাসনে এদেশের লোকদের উন্নতি হয় ও স্বখম্বাচ্ছদ্য বাড়ে, তাহার চেষ্টা করিয়াছিলেন । ইহা ছাড়া দিল্লীশ্বরের যে-কাজের জন্য বিলাত গিয়াছিলেন, তাহাতেও তিনি কৃতকাৰ্য্য হন । র্তাহার চেষ্টার ফলে বাদশার বৃত্তি বৃদ্ধি হয় । ইংলগু হইতে রামমোহন নিজের ইংরেজী গ্রন্থাবলীও প্রকাশ করিয়াছিলেন । দার্শনিক ও রাজনৈতিক আলোচনায় উন্নত বলিয়। ফ্রান্স ও ফরাসী জাতি সম্বন্ধে রামমোহমের অতিশয় উচ্চ ধারণা ছিল । এই ফ্রান্স দেশ স্বচক্ষে দেখিবার জন্য রামমোহন ১৮৩২ খ্ৰীষ্টাদের শেষের দিকে ( সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ) প্যারিসে যান । তখন ফ্রান্সেৰ স্বাক্স লুই-ফিলিপ তাহাকে অতিশয় সম্মানের সহিত অভ্যর্থনা করেন । বামমোহন ফ্রান্স-ভ্ৰমণের ছাড়পত্র চাহিয়া ষে পত্ৰখানি রচনা করেন, তাহার একটি নকল বিলাতের ইণ্ডিয়া অাপিসে আছে । ইহাতে দেশ ও জাতি নিব্বিশেষে মানবের ঐক্যের বাণী পরিস্ফুট হইয়াছে। শুধু তাহাই নয়, সেকালেও যে রামমোহনের মনে একটি জাতিসংঘ-গঠনের পরিকল্পনা জাগিয়াছিল, তাহীও স্পষ্টভাবে ব্যক্ত হইষাছে ৷ পরখানি এইরূপ :– To The Minister of Foreign Affairs of France, Paris. Sir, You may be surprised at receiving a letter from a Foreigner, the Native of a country situated Imany thousand miles from France, and I assuredly would not now have trespassed on your attention, were I not induced by a sense of what I consider duo to myself and by the respect I feel towards a country standing in the foremost rank of free and civilized nations. 2nd, For twelve years past I have entertained a wish (as