পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা প্রথম খণ্ড.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ વ গৌরীশঙ্কবু তর্কবাগীশ আমরা হিন্দুরত্বকমলাকর প্রকাশ করিলাম, এই পত্র হিন্দু ধৰ্ম্ম পক্ষেব পক্ষ বক্ষার অস্ত্র স্বরূপ হইল, সৰ্ব্ব সাধারণ ধৰ্ম্মপরাঙ্গুণ হিন্দু মহাশয়গণ এই অস্ত্রকে ব্ৰহ্মাস্ত্র জ্ঞানে রক্ষা করুন,••• । "হিন্দুরত্বকমলাকর পত্রের কণ্ঠদেশে এই শ্লোকটি মুদ্রিত হইত – ধৰ্ম্মরত্নময়ষত্নশালিভিঃ সৌরভে চ বিততে ধৃতাদৱৈঃ । হিন্দুরত্ব কমলাকর পবং সজ্জনৈঃ সততমেস সেখ্যতাম । ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও (গৗরীশঙ্কর গৌরীশঙ্করের সংবাদপত্র-পরিচালনার কথা শেষ করিবার পূৰ্ব্বে র্তাহার সঙ্গে ঈশ্বর গুপ্তের সম্পর্কের উল্লেখ না করিলে এই প্রসঙ্গ অসমাপ্ত থাকিবে । বয়সে গৌরীশঙ্কর ঈশ্বরচন্দ্রের অপেক্ষ বারো বৎসরের বড় ছিলেন । কিন্তু উভরেরই সাংবাদিক জীবন একই বৎসরে –১৮৩১ খ্ৰীষ্টাব্দে আরম্ভ হয় । তার পর ১৮৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এক পক্ষ কালের ব্যবধানে উভয়ের লোকাস্তরপ্রাপ্তি পৰ্য্যস্ত সুদীর্ঘ ২৮ বৎসর ধরিয়া সে যুগের সংবাদপত্র-জগতের এই দুই দিকৃপালের জীবন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সম্পর্কিত ছিল । গুপ্ত-কবি তর্কবাগীশের পাণ্ডিত্য এবং সাংবাদিক হিসাবে তাহার কৃতিত্বের প্রশংসা করিতে কার্পণ্য করেন নাই । ‘সংবাদ প্রভাকরের সঙ্গে তর্কবাগীশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করিয়া ১২৫৩ সালের ২রা বৈশাখের ‘সংবাদ প্রভাকরে ঈশ্বরচন্দ্র লিখিয়াছিলেন, “স্থবিখ্যাত পণ্ডিত ভাস্কর-সম্পাদক তর্কবাগীশ মহাশয় পূৰ্ব্বে বন্ধুরূপে এই প্রভাকরের অনেক সাহায্য করিতেন, এক্ষণে সময়াভাবে আর সেরূপ পারেন না।” ১২৫৪ সালের ১লা বৈশাখের প্রভাকরে ও ঈশ্বরচন্দ্র পুনরায় লেখেন, “ভার-সম্পাদক ভট্টাচাধ্য মহাশয় এই ক্ষণে যে গুরুতর কার্ঘ্য সম্পাদন ৰঞ্জিতেছেন, তাহাতে কি প্রকারে লিপি দ্বারা অশ্বং পত্রের আমুকুল্য