পাতা:জগজ্জ্যোতি বা নুরজাহান.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নুর । (দুঃখিত ভাবে ) একি এ যে দেখচি হৃদয়েশ্বর জাহী ঙ্গীর। ইনি এভ রাত্রে একাকী উদ্যানে কি নিমিত্ত আসি, য়াছেন ? অ্যাঃ, উনি আবার যে আমার দিকেই ভ আসি তেছেন। (সেলিম বাতায়ানের নিকটে আসিলে অশ্রুনয়নে) সেলিম, জাহাঙ্গীর, প্রাণনাথ! আর কেন আমায় . দেখা দিয়া বৃথা প্রেমসাগর উথলিয়া দেতেছন, শীঘ্রই আমায় আপনাকে পরিভাগ করিয়া যাইতে হুইবে । সেলিম। কি নূরজাহান, তোমাকেও কি আমায় এ জন্মের মত বিসর্জন দিতে হইবে ? (মূছা হইয়া পতন ) ( দ্রুতবেগে নুরজাহানের উদ্যানে প্রবেশ ) জাহা। (মস্তক তুলিয়া) উঃ, যে তৃণখণ্ডকে অবলম্বন করিয়া আমি এই বিস্তীর্ণ প্রেমদাগর পার হইতে ইচ্ছা করিতেছি, তাহাই আমায় পরিত্যাগ করিয়া যাইতেছে। প্রিয়সি ! তুমিও কি জামায় মনোরমার মত পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইবে ? নুরজাহান, তুমি কেমন করে ঐ কোমল হৃদয় পাষাণ দিয়া বন্ধন করিয়াছ ? জীবিতেশ্বরী, কেমন করে বিচ্ছেদের কথা তোমার মুখ দিয়া বহিষ্কৃত হইল ? প্রিয়ে, কোন নিষ্ঠুর, ঐ কোমল পদ্মটি আমার বক্ষঃস্থল হইতে কাড়িয়া লইতে উদ্যত হইয়াছে ? মূর। প্রোণনাথ, আমার কত অাশা মনে হইয়াছিল ; কিন্তু সে সকলি এখন কেবল স্বপ্ন বলিয়া বোধ হইতেছে। অদ্য সন্ধ্যাকালে রাজমহিষী মনেক ভৎসনার পর বলিয়। গেলেন, যে সম্রাট শীঘ্রই আমার বিবাহ দিবেন। জাহা। উঃ, পিতা কি নিষ্ঠুর । নুরজাহানকে আমার বক্ষঃস্থল