পাতা:পঞ্চরাত্র - গুরুবন্ধু ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চরাত্র

 গোধন উদ্ধার করেছি, শত্রুকে পরাজিত করেছি, তবু আমার মনে আনন্দ হচ্ছে না। সৈন্য-শ্রেণীর সম্মুখভাগে দুষ্ট দুঃশাসনকে শর-প্রহারে বিকল ক’রে বিরাটরাজের রাজধানীতে বেঁধে নিয়ে আসতে পাল্লুম না!

 উত্তরা আদর ক’রে যে সকল অলঙ্কার দিয়েছিল সেগুলি প’রে রাজার সামনে যেতে আমার লজ্জা বোধ হচ্ছে। যাক্‌, যাই দেখা ক’রে আসি। এই যে! আর্য্য যুধিষ্ঠিরও যে এখানে।

 তিনি এখন যুবক হ’য়েও সন্ন্যাসী, ক্ষত্রিয় হ’য়েও ব্রাহ্মণ-ধর্ম্মাবলম্বী, রাজ্যলক্ষ্মীর অনুগ্রহ ভাজন (রাজা) তবু রাজ্যহীন। তিনি এখন সন্ন্যাসাশ্রম অবলম্বন করেছেন সুতরাং বিচারকার্য্যের ভার পরিত্যাগ করেছেন।[১]

 (নিকটে আসিয়া) ভগবন, প্রণাম গ্রহণ করুন।

 ভগবান। স্বস্তি।


     (১) স্ত্রীজনোচিত ভাব (২) উত্থিত ধূলিরাশি।
     (১) = আমার স্ত্রীবেশ যে বেশীক্ষণ দেখাতে হয় নি সেটা ভালই হ’য়েছে।
     (২)= উত্থিত ধূলিরাশি যে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে পড়ে আকাশ শীঘ্র পরিষ্কার ক’রে দিয়েছে সেটা ভালই হয়েছে।

  1. “ত্রিদণ্ডধারী ন চ দণ্ডধারকঃ।”
৪৭