মুক্তি, গুরুত্ব, ঈশ্বরত্ব প্রভৃতি উৎপন্ন হইতেছে; বস্তুতঃ এ সমস্তই কর্ম্মের রূপান্তর মাত্র।
মহর্ষি জৈমিনি শব্দ প্রমাণ বা বেদকেই সর্ব্বপ্রধান প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করেন। প্রত্যক্ষ প্রমাণকে তন্নিম্ন স্থান দান করেন, এবং অনুমান ও উপমানকে প্রত্যক্ষের অধীন বলিয়া থাকেন। ইনি বলেন যে আমাদিগের ইন্দ্রিয় দ্বারা সম্পূর্ণরূপে জ্ঞান লাভ হয় না; আবার যাহা কিছু অণুমান করিব তাহা সমস্তই প্রত্যক্ষের অপেক্ষা রাখে, এবং উপমার প্রত্যক্ষ না হইলে উপমান হয় না। অতএব শব্দই শ্রেষ্ঠ প্রমাণ।
জৈমিনির বেদের প্রাধান্য স্বীকারের মধ্যে একটু বিশেষত্ব আছে। ইনি বলেন বেদ যে সকল কর্ম্ম অনুষ্ঠান করিতে বলিতেছেন আমাদিগের তাহা অবশ্য কর্ত্তব্য, এবং বেদে যে সমস্ত মন্ত্র আছে তাহা আমাদিগের সাধন করা অবশ্য কর্ত্তব্য। কিন্তু মন্ত্রাদিতে বর্ণিত কোনও ঈশ্বর বা দেবতা বা পিতৃপুরুষ আমাদিগের কর্ম্মফলদাতা বলিয়া কল্পনা করা উচিত নহে, কারণ সে কল্পনা আমাদিগের মানসিক ব্যাপার মাত্র, তাহা বেদবিহিত