এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
নাট্য-বিকার।
বিরহ তো আর সহ্য হয় না। (সুরে)
“আগে নাহি বুঝনু,রূপ দেখি ভুলনু,
হৃদে বৈনু চরণ-যুগল।
(কাহে সই)
যমুনা-সলিলে সই, আব তনু ডারব,
আন সখি ভখিব গরল॥”
(কনষ্টেবলের প্রবেশ।)
কন। এই,কেরে মাগী তুই?
ভূতি। ওগো,আমি বৃষভানু-রাজনন্দিনী!
কন। (স্বগতঃ) এ বেটী বলে কি? পাগল নাকি? (প্রকাশ্যে)তা এখানে কেন বাছা? যাবে কোথায়?
ভূতি। ওগো,আমি প্রভাসযজ্ঞে শ্যাম দরশনে যাব,নন্দ মহারাজের জন্য বসে আছি।
কন। (স্বগতঃ) বেটী বদ্ধ পাগল!(প্রকাশ্যে)তা বাছা,তোমার পুটুলীতে কি? ও হাঁড়ীতে কি?
ভূতি। ওরে,বিনা ভেটে কি কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে যেতে আছে? আমরা ব্রজের দুখিনী আহীরিণী,কোথায় কি পাব বল,এই ক্ষীর-সর-নবমী নিয়ে যাচ্ছি।
কন। কৈ দেখি? (দেখিয়া স্বগতঃ) আ মলো! এতে যে কচুরী জিলিপী মোণ্ডা মেঠাই! একি! সোণার গহনাও নীচে আছে! না, এর গতিক ভাল বোধ হচ্ছে না থানায় নিয়ে গিয়ে জমাদারের সঙ্গে একটা পরামর্শ করা যাক,