হরিশ। হ্যাঁ, তা হ’য়েছে কি?
কন। না,এমন কিছু নয়,এই গহনা নিয়ে পালাচ্ছিল।
হরিশ। এযে আমার মেয়ের গহনা,তুই বেটী পেলি কোথায়?
ভূতি। তা কি জানি বাবু! আমি নন্দ মহারাজের জন্য যমুনার তীরে বসেছিলেম, এই দ্বারী এসে আমায় প্রভাসযজ্ঞ দেখতে দিলে না। (দিগম্বরের প্রতি) আমি তো তখনি বলেছিলেম যে গহনা টহনা নিতে পারবো না;তুই তো আমাকে এই বিপদে ফেল্লি? চামারের বুদ্ধি শুনে আমার এই হ’ল গো! (ক্রন্দন)
কন। ঠিক ঠিক! ঐ লোকটাকেও পথে দেখতে পেয়েছিলেম,তা আমাদের দেখে ও ছুটে পালাল।
হরিশ। তবে এই বেটার কীর্ত্তি!তা আসুন মহারাজ! কাজটা অশাস্ত্রীয় করা হবে না,আগে ‘নন্দবিদায়’ তার পর তো ‘প্রভাসযজ্ঞ’,তা এইবার বিদায় নিন;বেশী কান্নাকাটির দরকার নাই।কনষ্টেবল! এই বেটাকে বাঁধ তো,আমি জানি ‘প্লে’ ‘প্লে’ ক’রে নেচে বেড়ায়,পাগল!-ত নয়,বেটা চোর! ও বেটীকে ছেড়ে দাও,ও বড় বোকা, ওর কোন দোষ নাই।
কন। এগিয়ে আয়!
হরিশ। বাঁধ বেটাকে;বাঁধ বেটাকে!
দিগ। অর্ডার! অর্ডার! (Order! Order!) রঙ্গালয়ে শান্তিভঙ্গ নিষেধ। আপনি চেঁচাচ্ছেন কেন? না হয় আপনার টিকিটের দাম ফিরিয়ে দিচ্ছি।
হরিশ। দাঁড়া বেটা, তোর বাপের নাম ফিরিয়ে দিচ্ছি।