রাম। কেন? (সুরে)
“ললিত-লবঙ্গলতা-পরিশীলন
কোমল-মলয়-সমীরে।”
রমেন্দ্র। তা যেন বুঝলেম।তা এখন একজন পুরুত ঠিক করি,বিবাহ দেবে কে? রাম। পুরুত কি হবে? গান্ধর্ব্ববিবাহ-মাল্যবিনিময়, চন্দ্রমা সাক্ষী, তারকাদল সাক্ষী, নৈশসমীরণ সাক্ষী, কলনাদিনী স্রোতস্বতী সাক্ষী—তুমি কি রকম নায়ক?
রমেন্দ্র। (স্বগতঃ) আমার চোদ্দপুরুষে কখন নায়কগিরি করেনি।(প্রকাশ্যে) আচ্ছা,তা যেন সব হ’ল,তবে কথা হচ্ছে কিনা,তোমার স্বামী জীবিত আছেন,তুমি আবার বিবাহ করবে কেমন করে?
রাম। স্বামী? সে তো লৌকিক জগতে;আমি যে এখন কাব্যজগতে আছি।
রমেন্দ্র। ওঃ,তা বটে! তবে বলতো সন্ধ্যার পর একখানা ডুলি কি পালকী ঠিক করে রাখি,তোমায় নিয়ে যাবে?
রাম। আমাকে কি গেরস্তোর বৌ ঝি পেলে যে পালকী কি গাড়ী করে বের করে নিয়ে যাবে?
রমেন্দ্র। বটেই তো!
রাম। নায়িকাকে যেমন করে নিয়ে যেতে হয়—হরণ করে!দেখ,এক কাজ কর,আমি সন্ধ্যার সময় এই বাগানে গলায় দড়ি দিয়ে কি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মরতে যাব,সেই সময়ে।তুমি আমার জীবন রক্ষা করে বুকে করে নিয়ে যাবে, কেমন?
রমেন্দ্র। (স্বগতঃ) আমার চক্ষুঃ স্থির হ’য়ে গেছে!