পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৬)

দিগের আপত্তি খণ্ডনে অগ্রসর হইয়াছেন, আমি তাঁহাদের কথাগুলি সমগ্র উদ্ধৃত করিতেছি।

 “অনেকে বলিতেছেন যে বয়স সম্বন্ধে কেশব বাবু আপনার প্রস্তাবিত রাজবিধি [১৮৭২ শালের ৩ আইন] লঙ্ঘন করিয়াছেন এবং আপনার পূর্ব্ব বিশ্বাস ও আচরণের বিরুদ্ধ ব্যবহার করিয়াছেন, কিন্তু এ অভিযোগের বিরুদ্ধে সমূহ প্রমাণ আছে। প্রথমতঃ কুচবিহার স্বাধীন রাজ্য, তথায় উক্ত বিধি প্রচলিত নহে। কলিকাতায় বিবাহ হইলেও নৃপেন্দ্র নারায়ণ কুচবিহারে প্রত্যাগমন করিবামাত্র সে বিধি পালনের জন্য তিনি আর দায়ী হইতে পারেন না। এ অবস্থায় উক্ত বিধি অনুসারে বিবাহ দেওয়া নিষ্ফল ও অনাবশ্যক। এই হেতু বিধি পরিত্যাগ করিতে হইল। রাজা যদি ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের অধীন হইতেন নিশ্চয়ই বিধি অনুসারে বিবাহ সম্পন্ন হইত, এবং যদি আইন অনুসারে বিবাহ হইত পাত্র পাত্রী উভয়ের সম্বন্ধে বয়সের নিয়ম নিশ্চয়ই পালন করা হইত। কিন্তু ইহা জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে কেশব বাবু যেন আইনের আশ্রয় নাই লইলেন, তিনি স্ত্রীলোকের বিবাহের বয়স সম্বন্ধে ইতিপূর্ব্বে যেরূপ সংস্কার প্রকাশ করিয়াছেন ও উপদেশাদি দিয়াছেন তাহার কেন অন্যথা করিলেন? অন্যের বিবাহসম্বন্ধে শক্ত নিয়ম কিন্তু সুনীতি দেবী বিবাহে তিনি শৈথিল্য প্রদর্শন করিলেন কেন? তাঁহার পূর্ব্ব আচরণের সঙ্গে বর্তমান অনুষ্ঠানের বিরোধ কেন? ইতিপূর্বে আচার্য্য মহাশয় অনেকগুলি ব্রাহ্মবিবাহ সম্পন্ন করাইয়াছেন তাহাতে কন্যার বয়স অত্যন্ত অল্প ছিল, যথা ১১।১২।১৩। এই সকল বিবাহ