পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

(১৩)

কি দেখিলাম? না, কেশব বাবু স্পষ্ট জানিলেন যে বরপক্ষ বিবাহ পদ্ধতিতে ব্রাহ্মগন্ধও থাকিতে দিবেন না, তথাপি কন্যা লইয়া যাত্রা করিলেন। তিনি যে বলিয়াছিলেন যে ধর্ম্মের দিক অগ্রে দেখিব, এই কি ধর্ম্মের মুখ রক্ষা করা?

 ৯। ইহার পর কন্যা পক্ষ কন্যা লইয়া কুচবিহার পৌছিলেন,—কয়েক দিন ধূমধাম ও আমোদ প্রমোদে গেল। ইহার মধ্যে আবির খেলা ও বারাঙ্গনাদের হুলু প্রভৃতি হইল, তাহা প্রচারকদ্বয় উল্লেখ করেন নাই। বিবাহের এক দিন পূর্ব্বে কন্যাপক্ষীয় কর্ম্মচারিগণ আসিয়া বলিলেন, “কেশব বাবু বিবাহমণ্ডপে উপস্থিত থাকিতে পরিবেন না, উপবীতত্যাগী ব্রাহ্মণ অথবা অন্য জাতীয় ব্যক্তি পুরোহিত হইতে পরিবেন না, সামাজিক ব্রহ্মোপাসনা হইবে না। পাত্র কন্যা বিবাহসভায় পরস্পরের প্রতি অঙ্গীকার করিবেন না, উভয় পক্ষে হোম করিতে হইবে।” ইহা লইয়া অনেক বাগ্‌বিতণ্ডা চলিল। অনেক বাদানুবাদের পর শেষে কিরূপ মীমাংসা হইল শ্রবণ করুন;—

 “শেষে এই কথা হইল যে পূর্ব্ব অঙ্গীকার অনুসারে কন্যাপক্ষে কোন পৌত্তলিক অনুষ্ঠানের সহিত কিঞ্চিন্মাত্র সংস্রব থাকিবে না, এইরূপ বন্দোবস্ত না করিলে বিবাহ হইতে পারে না। রাত্রি ১১টার সময় তদ্রূপ অনুজ্ঞা আসিল এবং সকলের ভাবনা দূর হইল। বিবাহ সভায় উপস্থিত হইয়া আমরা দেখিলাম যে একটী ক্ষুদ্র মণ্ডপের মধ্যে কয়েকটী কলাগাছ ও ৯।১০টা ঘট এরং এক হাত লম্বা লাল কাপড়ে ঢাকা একটী