পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઉરીઝ سے ہے e arسی مع: یکم == ، میت = -یہ --سے = = = سے محبت = ہی = می = rعییسجد جمعچحج প্রবাসী-মাঘ, ১৩৩৬ [ ९sन छात्र, २ख्न थस হৃদরের স্বকুমার বৃত্তির স্ফূরণ, তাহাঙ্গের সাহিত্যচর্চার নিবিড় নেশা ও নিভৃত গোপনতা, মন্দার প্রতি ঈর্ষাতে তাহার গুঢ় পরিণতি, সৰ্ব্বোপরি অমলের বিবাহ-সংবাদে তাহার অনিবাৰ্য্য, অনাবুত প্রকাশ, এই সমস্ত ক্রমবিকাশের স্তরগুলিই লেখক যথাস্থানে সন্নিবেশ করিয়া কাৰ্য্যকারণশুখলাটি অতি নিপুণভাবে গাথিয়া তুলিয়াছেন। এই কাহিনীর অন্তরালস্থ গভীর ভাবগুলি মনস্তত্ত্ববিশ্লেষণ দ্বারা প্রকটিত করিয়াছেন । বর্তমান বাস্তবতাপ্রধান ঔপন্যাসিকেরা নিতান্ত অকারণে প্রেমের উদ্ভব ঘটাইয়া বাস্তবভার মূল ভিত্তির প্রতিষ্ট অবহেলা প্রদর্শন করেন । যেখানে সমাজনীতির বিরুদ্ধে প্রেমের আবির্ভাব ঘটিয়াছে, সেপানে এক্ট অপ্রত্যাশিত আবির্ভাবের যথেষ্ট ও সঙ্গত কারণ না দেপাইলে, আমাদের বিচারবুদ্ধি তাহাতে সায় দিতে চাহে না । "ীর পত্র’ বৰ্ত্তমানের নারীর অধিকারঘটিত আন্দোলনের প্রথম উৎপত্তিস্থল। লাঞ্ছিত, অপমানিত নারীর যে বিদ্রোহবাণী আজ প্রতি মাসিক পত্রিকার পাতায় পাতায় ছড়াইয়া পড়িয়াছে, রবীন্দ্রনাথ এখানে সেই জালাময়ী বাণীকে তীব্র বিদ্ধপাত্মক ভাষার ভিতর দিয়া ফুটাইয়াছেন। অবশ্য এখানে গল্পের উপযুক্ত ঘাত-প্রতিঘাভ নাই, কেননা কথাগুলি সমস্তই একতরফ । এইরূপ তীব্রশ্লেষাত্মক একতরফা কথার propagandism হিসাবে মূল্য আছে, কিন্তু আটের অপক্ষপাত ও সমদৰ্শিতা তাহাতে নাই । বিশেষতঃ মুণালের ক্রোধের ঝাজটা একটু অতিরিক্ত তীব্র বলিয়া মনে হয়, কেননা যে হতভাগ্য পুরুষ এই বিদ্রপমিশ্রিত অবজ্ঞার পাত্র হইয়াছে, তাহার নিজের ততট। অপরাধ নাই, সে সমগ্র পুরুষজাতির প্রতিনিধি স্বরূপেই এই অগ্নিবাণ হজম করিতে বাধ্য হইয়াছে। পাত্র ও পাত্রী গল্পটাও স্ত্রীজাতির প্রতি পুরুষের নিশ্বম ব্যবহারের প্রতিবাদ, কিন্তু এই প্রতিবাদের ঝাঝের মধ্যে সত্যের তিক্তভা অধিক পরিমাণে আছে । গল্পের যে ংশ আমাদের হৃদয়ে গভীরভাবে মুদ্রিত হয়, তাহ। পুরুষের স্ত্রীজাতির উপর কাপুরুষোচিত আস্ফালনে ; সমাজচ্যুতার বিবাহে বিঘ্ন নহে। এখানেও রবীন্দ্রনাথের গভীর মন্তব্যগুলি ভাবগভীরতার অভাব পূরণ করে— যেখানে তিনি আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ না করেন, সেখানেও তাহার বুদ্ধির গরধার তীক্ষতায় চমৎকৃত করিয়া থাকেন। "signi Rws’ estats: wềvsborff individuality বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্রোর অভিব্যক্তি—তাহার নিশ্চিস্ত ও একাগ্র জ্ঞানাঙ্কুশীলনের পশ্চাতে ষে একটি ক্ষুব্ধ নারীন্ধদয় নীরব বিদ্রোহে প্রধূমিত হুইতেছিল,তিনি সে বিষয়ে একেবারেই অন্ধ ও উদাসীন। অনিলা বরাবরই অন্তরালে রছিয়া निब्राटक-डीशंब्र निएकड़ कथा छांन कब्रिब्रा ८शाकान झ्छ নাই। অদ্বৈতচরণের সম্পূর্ণ বিপরীত-প্রকৃতি সিতাংগু মৌলির, সে নিজ সহজ ক্ষমতাবলে পরকে নিজের কাছে টানিতে পারে, ঐশ্বধ্যপ্রাচুর্ধ্যই তাহার একমাত্র আকর্ষণ নহে । এই সহজ উচ্ছসিত হৃদয়াবেগের বলে সে অনিলারও চিত্ত জয় করিতে সক্ষম হইয়াছে। অনিলার নিকট কোন সাড়া পায় নাই, কিন্তু তাহার নিশ্চল শাস্তিকে বিচলিত করিয়া তাহাকে গৃহছাড়া করিয়াছে। এই গল্পটিতে দাম্পত্যসম্পর্কের বিশ্লেষণ-চেষ্টা থাকিলেও, মোটের উপর ইহা দুইটি বিপরীতপ্রকৃতি ব্যক্তির চরিত্রচিত্ৰণ । ‘নামঞ্জুর’ গল্পে *ঘরেবাইরে’র স্থায় আমাদের রাজনৈতিক প্রচেষ্টা ও বিপ্লববাদের ফাক দিকটা দেথান হইয়াছে ; বিশেষতঃ স্ত্রীজাতির পক্ষে দেশমাতৃকার সেবার মধ্যে যে খ্যাতির লোভ প্রচ্ছন্ন আছে, তাই। তাহাদিগকে সাংসারিক ছোটখাট স্নেহযত্নমণ্ডিত কাজের প্রতি বিমনা করিয়া তাহাদের স্ত্রীজাতিস্থলভ কমনীয়তা ও মাধুর্ষ্যের হানি করিয়া থাকে। মিটিং করিয়া ভাইফোটার অনুষ্ঠান ও গৃহে রুগ্ন ভ্রাতার সেবাতে অবহেলা—এই দুয়ের মধ্যে যে একটা বিরাট ফাকির ব্যবধান আছে তাহা আমাদের সাধারণ আন্দোলনগুলির অন্তঃসারশূন্ততাই প্রমাণ করে। এই শেষের কয়েকটি গল্পের দ্বারা রবীন্দ্রনাথ অতিআধুনিক লেখকদের মধ্যে আসন গ্রহণ করিয়াছেন। আমাদের জাতীয়জীবনে যে সমস্ত সমস্যার নবীন উদ্ভব হইতেছে, তাহারা এখন পৰ্য্যস্ত হৃদয়ের গভীর স্তরে কাটিয়া বসিবার সময় পায় নাই, এখনও অন্তরের মাধুৰ্য্যরসে অভিষিক্ত হয় নাই । সুতরাং তাহাজের বর্তমান আলোচনায় হৃদয় হইতে বুদ্ধিবৃত্তিরই প্রাধান্ত । কালে ইহারাই আমাদের অন্তরতম প্রদেশে অধিষ্ঠিত হইবে । ইহুদিগকে ঘেরিয়াই আমাদের গভীরতম আশাআকাঙ্ক্ষাগুলি বিকশিত হইয়া উঠিবে, ইহারাষ্ট মানুষের হৃদয়গত যোগসূত্র হইয়া নূতন সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবেশ রচনা করিবে। স্বতরাং ইহারাই যে কালে ভবিষ্যৎ ঔপন্যাসিকের প্রধান উপাদান হইয়া দাড়াইবে, তাহা একরূপ নিশ্চিত । _ রবীন্দ্রনাথের সমস্ত গল্পগুলি পৰ্য্যালোচনা করিয়া আমরা তাহার প্রসার ও বৈচিত্রো চমৎকৃত না হইয়া থাকিতে পারি না। আমাদের পুরাতন ব্যবস্থা ও অতীত জীবনযাত্রার সমস্ত রসধারা অগস্তোর মত তিনি এক নিঃশ্বাসে পান করিয়া নিঃশেষ করিয়াছেন—বাংলার জীবন ও বহিঃপ্রকৃতি তাহাজের সৌন্দর্ঘ্যের কণামাত্রও তাহার আশ্চৰ্য্য স্বচ্ছ অনুভূতির নিকট হইতে গোপন করিতে সমর্থ হয় নাই। অতীতের শেষ শস্যগুচ্ছ ঘরে