পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(& ',პა বোধ হয়—এক টোকে গিলে ফেলা যায়। সেই বিশ্ব গ্রাসী ক্ষুধার আণ্ড শাস্তি হবার উপায় হ’ল দেখে বংশী একটু মুচকে হাসলে। মাঝে মাঝে একগুঁয়েমি করে হাড়ি চড়ায় না - তা হোক, মেয়েটির বুদ্ধিশুদ্ধি ভাল। সম্মুখের যৌবনপ্রভাদীপ্ত চোখের দিকে চেয়ে চিত্ত বুঝি কিছু ভূষিত হয়ে উঠল। কিন্তু বাহুবন্ধনে টেনে নিলে না। পত্নীর প্রতি সকরুণ স্নেহ তখনও কি সময়ের প্রতীক্ষায় অপেক্ষা করে বসে রইল ? কে জানে ? দীক্সকে বিদায় দিয়ে মৃদ্ধশ্বরে গাল ভাঞ্জহে ভাঙ্গভে বিজয়ী বীরের মত সে ঘরের বfর হয়ে গেল । \No কালীঘাটে কর্পোরেশনের অধীনে এক বালিকাবিদ্যালয়ে শিক্ষয়িত্রীর পদ পেয়ে সতু কলকাতায় চলে এল। বংশীকেও সে সঙ্গে এনেছে । সতু এতদিনে নিঃসংশয়ে বুঝেছে, চালু করে ডাঙ্গায় পা দিতেই ওঁকে ক্ষুধায় ধরে। অথচ পাদ্য কোন পথে কি স্বত্রে ঘরে আসে খোজ করা করকোষ্ঠীতে লেখেনি। তখন সংসারের ভার সে নিজেই বহন করতে পারে কিনা ভেবে দেখতে লাগল। এই সময় তার বাল্যাদিনী রম স্থল পরিদর্শন করতে তাদের গ্রামে এল। রমা এখন মেয়ে স্কুলের একজন পরিদশিকা । ক্ষমার সঙ্গে সতুর অনেক কথা হ’ল । তারপর সুম-ই খরচপত্র দিয়ে এদের স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে সঙ্গে করে ঋলকাতার নিয়ে এল। রমার তদ্বিরে সতু প্রথমেই কাজ পেলে । তারপর ছ'মাস পরে ট্রেনিং পরীক্ষায় পাস করে কর্তৃপক্ষের মুখ বন্ধ করে দিলে । কল্‌কাতা সহরের একটা মোহ আছে। দেখার জন্ত ংশী কয়েকবার পোটল-প টুলি বেঁধেছে। খরচপত্রের অভাবে ঘটে ওঠেনি। তাই সে আপত্তি করল না। কিন্তু সেখানে পৌছে যখন দেখলে, স্তু এসেই সরকারী বিদ্যালয়ের একখানা চেয়ার দখল করে বমূল, তখন তার মনে ধিক্কার এল। স্ত্রীর অন্নদাস করে রাখারই ফন্দী এ সব। রমার এবং সেই সঙ্গে সতুর উপরে সে ছাড়ে হাড়ে চটে গেল । প্রবাসী – মাঘ, ১৩৩৬ [ ९sल छान, २घ्रं थe কিন্তু দিন জু, বেশ কেটে যাচ্ছে। একটু সতর্কভাবে চললে হুদূর পত্নীগ্রামে এ ঘৃণিত কলঙ্কটা বন্ধুমহলে প্রচার না হতেও পারে। কি আজগুবি সহর এ । রাস্তাঘাটে পা দিতেই বিশ্বয় আর পুলক। সেই আনন্মে সমস্ত গ্লানিটা সে হজম করে ফেললে । কলকাত সহর—থিয়েটার, বায়স্কোপ, ঘোড়দৌড়, ফুটবল—এইসব ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে বংশীর হাতের মাত্রা বাড়িয়ে তুললে। তাছাড়া কালীঘাট আর কলকাতা ছুটোছুটির গাড়ীর খরচও আছে। এই খরচপত্র নিয়ে সতুর সঙ্গে সে তর্কই করে-মীমাংসা করে না। সত্যু দেখলে, একটা কিছু বাড়তি আয়ের পথ না করলে আর উপায় নেই। ভাতের খরচটা বংশীর হাড দিয়ে হত । বংশী কোনো কোনো দিন সেগুলো রং তামাসায় ঝেড়েৰুড়ে দিয়ে মুক্তিস্নান করে ঘরে ফিরত । এই রকমে সতুর স্বন্ধে অকারণে ঋণ এসে চেপে পড়তে লাগল। সেদিন রবিবার। স্কুল নেই। ঘরের মেঝেটায় সতরঞ্চির উপর সতু ঘুমিয়ে পড়েছে। উঠানে জলের কলটা খোলাই ছিল। বুঝি জল এল। ছয়ু ছয় শব হচ্ছে । সতুর কানে অল্প অল্প ঢুকছে । অথচ সে তেমন সচেতনও নয়। এমন সময় সে অনুভব করলে, কে যেন তাঁর আঁচলটা নিয়ে মাছের যত টোপ, গিলছে। খড়মড় করে চেয়ে দেখলে--বংশী । চাবির তাড়াটা তখন মুক্তি পেয়ে বংশীর হাতের মধ্যে গুটিগুটি মেরে মাথা লুকুচ্ছে । সতু হেসে বললে,— - “কি করবে চাবি নিয়ে ? বাড়ীভাড়া—তোমার জাম-কাপড়ের দোকানের দেনা-বিড়ীওয়ালা এসেছিল, তার দোকানের পাচ টাকা—সবই পরিশোধ করে দিয়েছি। বাক্সে আর কিছু নেই।” বংশী বুঝলে এ ওর শয়তানী, স্বামীর হাত-খরচ गखा कब्रांब्र कमौ । ब्रभा नl cभय डांब्रहे शं८ङ झग्रड ७ সঞ্চয়ের গোপন-বাক্ষ্ম তৈরি করেছে। চাৰির তাড়াটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে তীক্ষুকণ্ঠে সে বললে— “ঘুরে ফিরে আমারই খরচের ফর্দটা শুনব বলে আমি আলিনি। তিনটে টাকার আমার এখুনি দরকার।"