একটা রসগোল্লা মুখে ফেলে, কখনও একটা সন্দেশ ক্ষীরে ডুবিয়ে খায়, শেষে যখন পেট ভ’রে গেল তখন সে সারা গায়ে ক্ষীর মাখতে লাগল।
রাজবাড়ীতে দুপুর রাতের দামামা বাজল। সর্ব্বনাশ! সবই তো প’ড়ে রয়েছে! “দোহাই বাবা, বাঁশী, এবার আমার মান বাঁচাও—তোমাকে সোণা দিয়ে মুড়ে দেব” ব’লেই রাখাল বাঁশীতে ফুঁ দিল। সঙ্গে সঙ্গে কোথা থেকে লাখো ইঁদুর এসে ভাঁড়ারে জুটল। “কুট কুট” ইঁদুরের দল ফলার আরম্ভ করে দিল।
হায়! হায়!! এমন সব খাবার ইঁদুরে খেয়ে মাটী কচ্ছে! উপায় কি? রাখালের পেট হ’য়েছে ঠিক জয়ঢাকের মত। আর একটা সন্দেশও পেটে রাখবার জায়গা নেই। রাখাল এক একবার পাগলের মত হ’য়ে ইঁদুর তাড়াতে যায়, আবার ফিরে আসে। ভাবে কচ্ছি কি? ইঁদুর সব যদি রাগ ক’রে পালায়, তা হ’লে আমারই সর্ব্বনাশ। যদি রাজকন্যা বিয়ে করতে পারি তাহ’লে রোজই তো রাজার জামাইয়ের এই সব জুটবে।
এই রকম নানা সুখের কথা ভাবতে ভাবতে রাখাল ঘুমিয়ে পড়ল।
সকাল বেলা চোখ মেলতেই দেখে যে, ভাঁড়ার খালি।