পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰাপময় ভারত ৫৭৯ ബ്ബ= ন্মে ক’রে দেওয়া হ’ল । তানজোং-প্লিওকৃ বন্দর থেকে বাতাবিয়া শহরের weltevreden ভেলটেক্রেন্ডন নামক অংশে যেতে প্রায় বিশ মিনিটের মোটরের পথ । চওড়া এক খালের ধার দিয়ে এই রাস্ত । আদি বাতাবিয়া শহরের এখন আর পূর্বের মতন জৌলুষ নেই—খালি ডচ, ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলের কতকগুলি প্রাচীন বাড়ী, খালের ধারে কতকগুলি চীনা বস্তী, আর কিছু কিছু আপিস আর গুদাম-বাড়ী নিয়ে এই শহর তার পুরাতন গৌরবের স্মৃতি রক্ষা করছে । বাতাবিয়ার পত্তন হ’য়েছিল ভারতবর্ষে ষে ভাবে মান্দ্রাজ বোম্বাই আর কলকাতার পত্তন হয় ; ১৬১৯ সালে ডচেরা এখানে প্রথম একটি গড় তৈরী করে, আর গড়ের নাম দেয় ‘বাতাবিয়া”— হলাও দেশের লাটিন নাম হচ্ছে Batavia—বাতাবী লেবুর সঙ্গে সঙ্গে এই দেশ বা নগর বাচক নামটি বাঙলা ভাষায় প্রবেশ করেছে। ডচ শক্তি আর ঐশ্বর্ষ্যের বুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাবিয়ার-ও উন্নতি। হলাও কাটা খালের দেশ ; ডচেরী এদেশে এসে পিতৃভূমির অন্থকরণে বাতাবিয়াতে অনেকগুলি খাল কাটায়, সেগুলির পাশে পাশে রাস্তা, এই শহরের এক বৈশিষ্ট্য হ’চ্ছে এই সব খাল। বাতাবিয়ার দক্ষিণে ডচ অধিবাসীরা নিজেদের বাসের জন্ত দুটি পল্লী গ'ড়ে তোলে, তাদের নাম দেয় Weitevreden ভেলটেক্রেডন ( অর্থাৎ well-content বা স্বস্তি-সন্তোযময় ) আর Meester Cornelis মেস্টর-কবৃনেলিস্ । ভেলটেফ্রেডন এখন পুরাতন বাতাবিয়াকে অতিক্রম করেছে—আপিস আদালত, বড় বড় দোকান, ইস্কুল, হোটেল, মিউজিয়ম, অভিজাত জনগণের বাস, সবই এখানে । বাতৰিয়া, ভেলটেক্রেড়ন আর মেস্টর-করনেলিস্–তিনে জড়িয়ে” লোক সংখ্যা হ’চ্ছে তিন লাখের উপর, এর মধ্যে হাজার ত্রিশেক হ’চ্ছে ইউরোপীয়, বাকী দেশী আর মিশ্র। রাস্তায় লোকজন যাদের দেখলুম, তারা মালাইজেশের থেকে একটু অন্ত ধরণের। সাধারণ ঘবদ্বীপীদের গায়ের রঙটা মালাইদের মত অতটা ফরসা বা হরিদ্রাভ নয়, একটু কালোটে-কালোটে, একটু বেশী ভারতবর্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়। লোকগুলিকে কিন্তু একটু বেশী ‘মজবুত ব’লে মনে হ’ল, আর পোষাকে এর মালাইদের তুলনায় ঢের বেশী রঙ পছন্দ করে। শহরতলীর বিরল-বসতি সড়ক পেরিয়ে, ভেলটেফ্রেডনের ট্রাম মোটর-ঘোড়ারগাড়ী-সঙ্কুল রান্ত পেরিয়ে কাটিয়ে, আমাদের হোটেলে পৌছলুম। এই হোটেলট দ্বীপময় ভারতের সব চেয়ে বড় হোটেল ; नॉभछिब्र चर्ष ‘छांब्राङब्र ८झां८छेज' । ●कां७ छू१७ निरब्र uाब नांना हेषाब्रड ; विख्द्र कू*द्रौ, cवनैब्र छांगं इ*बौब्र गांधान ७क क'cब्र बांबांनी-अरबट*ब्र बाज़ेौब्र রেওয়াজ মতন। দোতালার উপরে আর তালা নেই ; এদেশে বাড়ী ঘর আশে-পাশে ছড়িয়ে পড়ে, মার্কিনদেশের মত ‘আকাশ-চাচা’ পদ্ধতির বান্ত-শিল্প এখনও আবশ্যক হয়নি। এই হোটেল-বাড়ীর জষ্টব্য জিনিস হ’চ্ছে, এর প্রধান ফটকের ছ পাশে ছুটে বিরাট বিশাল মহীরুহ আছে ; এই গাছের নাম Waringin ‘ওজারিডিন’। আমাদের বট গাছের মত এর ঝুরি নামে,—গাছটা বট গাছেরই ভাব, এই জন্তু কখনও কখনও এদেশে একে banian ও বলে ; কিন্তু বট গাছ যেমন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, এ সে-রকম নয়, বরং উচুতেই ওঠে ; তবে অনেক খানটা জায়গা জুড়ে' এই গাছ হয় বটে। এ রকম বিশাল আর উচু গাছ দেখে মনটা বিরাট-দর্শনের আনন্দ-বিস্ময়ে পূর্ণ হয় বটে। बवशेौष्णब बोनाइ (७जांब्रिऽिन्) আমাদের ঘর ঠিক ক’রে নিয়ে ব’সলুম, মাল পত্রও এসে গেল। জেটি থেকে হোটেল পৰ্য্যস্ত ষে সমস্ত ডচ, ভারতীয় চীনা আর যবদ্বীপী বন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে এসেছিলেন তার উপস্থিত কালের মত বিদায় নিয়ে গেলেন । Mr. Crossby fiata uff itsfritz Retaw কনসাল, ইনি রবীন্দ্রনাথের পরম জহুরাগী, কবির সঙ্গে দেখা ক’রে গেলেন। রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে ভায় গুণ