পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وار) ۹ প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড منہ: -یہ-ی- مس. یہ مسے مد حمیہ প্রাথমিক শিক্ষার ভার লইয়া যেরূপভাবে কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছেন, তাহাতে সুফল ফলিবারই সম্ভাবনা । আমাদের দেশের বালকবালিকার সহজাত মনোবৃত্তি সম্বন্ধে অনেক জ্ঞাতব্য বিষয় তাহাদের শিক্ষকদের নিকট হইতে পাইবার ভরসা আমরা রাখি। কিন্তু তাহা কেবল শিক্ষার একটি দিক। অপর দিক পারিপাশ্বিক অবস্থা। তাহা আবার শারীরিক ও মানসিক। এই দুইটি অবস্থা যাহাতে শিশুমনের বিকাশের অনুকুল হয়, সে বিষয়েও যথেষ্ট লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তাহা পিতামাতা, আত্মীয়স্বজন প্রভূতির উপর নির্ভর করে। তাই আজ আমি র্তাহাদের এই অনুরোধ করিতে চাই যে, তাহারা শিশুমনোবিকাশের গতি অধ্যবসায়ের সহিত অনুসন্ধান করুন, এবং আপন আপন গৃহে অমুকুল আবহাওয়ার স্বষ্টি করিতে যত্নবান হউন ॥৫

  • উনবিংশ বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মিলনের বিজ্ঞান-শাখায় পঠিত ।

চাপা আগুন স্ত্রমাণিক বন্দ্যোপাধ্যায় X শ্রাবণ মাসের যে দিনটিতে উদয় হইতে অস্ত পৰ্য্যস্ত স্বৰ্য্যদেব এক মুহূর্তের জন্যেও মেখের আড়াল হন না, সেদিনটি পূৰ্ব্বদিনের অজস্র বারিপাতসত্ত্বেও বৈশাখের দিনগুলির মতই গরম হইয়া উঠে। মনে হয়, হিসাবের গোলমলে গ্রীষ্মের একটা বাড়তি দিন প্রকৃতি বর্গার দিনগুলির মাঝে গুজিয়া দিয়াছেন । সকাল সাতটায় শিবপদ খন্দরের বস্তী ঘাড়ে করিয়া বাহির হইয়াছিল, ফিরিল বেলা তিনটায়। দেহ শ্রাস্ত, মুখ শুষ্ক, গায়ের খন্দরের জামা ঘামে ভিজিয়া গিয়াছে। ক্ষুধায় তৃষ্ণায় অন্তরাত্মা হাহাকার করিতেছে। ধপাস করিয়া খঙ্গরের বস্ত ফেলিয়া সেই বস্তার উপরে বসিয়াই শিবপদ ভাকিল, “বৌদি ” বৌদি মাধবী দুরস্ত খোকাটিকে ঘুম পাড়াইয়া সবে চোখ বুজিয়াছিল, দেবরের ডাক শুনিয়া উঠিয়া আসিল । “কি ভয়ঙ্কর আশ্চয্যের কথা ঠাকুরপো!” “মানে ?” - "এত সকাল সকাল দেশের কাজ থেকে ছুটি পেলে ? সনেfতুনটে বেজেছে।" শিবপদ হাসিল। বলিল, “ঠাট্টা করবার ঢের সময় পাবে বৌদি, আগে এক মাস জল দিয়ে দেওরের প্রাণটা বঁাচাও । তেষ্টায় মরে যাচ্ছি।” “জামা খোলো, জিরিয়ে জল খাবে,” বলিয়া মাধবী ঘরের ভিতর হইতে পাখা আনিয়া শিবপদকে বাতাস করিতে লাগিল । শিবপদ বলিল, “জিরিয়ে জল খেতে খেতে তেষ্টায় বুক ফেটে চৌচির হয়ে যাবে, বৌদি।” মাধবী বলিল, “মুখ দেখেই সেটা বুঝতে পারছি, ভাই । মিছরির সরবত করে ভিজে ন্যাকড়ায় গ্লাস জড়িয়ে রেখেছি, একটু ঠাণ্ডা হয়ে খেয়ে ।” মাধবীর কণ্ঠে অপূৰ্ব্ব মমতা। একান্ত স্নেহাস্পদ এই দেশসেবকের স্বেচ্ছাকৃত আত্মনিগ্রহে নিত্য তার চোখে জল আসে, গোপনে মুছে । এমনি একটি ভাই ছিল তার, খেয়ালী ভগবানের খেলার মধ্যাদা দিতে নিজের খেলা ভাঙিয়া সে চলিয়া গিয়াছে। বাচিয়া থাকিলে এত বড়ই হইত। বিবাহের পরেই ভাইকে সে হারায়, স্বামিগুহে আসিয়া তার ব্যথাতুর ভগিনীর প্রাণ এই দেবরটিকে পাইয়া ভরিয়া গিয়াছিল। তারপর ছয় বৎসর কাটিয়াছে, ষোল বছরের শিবপদ বাইশ বছরের হইয়াছে । এই ছয় বৎসরের সঞ্চিত স্নেহ ও ভালবাসার ভারে হৃদয়ের কতকগুলি