পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و سtab প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড সঙ্গে সামান্ত পদাতিকরূপে পশ্চিম-সীমান্তে প্রেরিত হয়— চার বৎসর ব্যাপী সেই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের শেষে নির্বান্ধব ফিরিয়া রেমার্ক অনেক কিছুই করিয়াছে, কিন্তু কিছুতেই টিকিয়া থাকিতে পারে নাই । তাহার শেষ কাজ সেই অস্থির মনোবৃত্তির, এই ধ্বংসগ্রস্ত জীবনেতিহাসের মূল নির্দেশ করা । ‘পশ্চিম সীমাস্তুে সব শাস্তু’---সেই বাধি নির্দেশ । “ষ্টত অভিযোগ নয়, ইহা স্বীকারোক্তি নয়, ইহ। সাহসিকতার কাহিনী ভ নহেক্ট : কারণ মুত্ত্বার সঙ্গে এইরূপ মুখোমৃৰ্গী নিমেষে নিমেষে যাহার হইয়াছে, সাহস তাহার প্রাণে আর থাকে না । এ শুধু তাঙ্গাদের কথা, যুদ্ধ যাহাদের প্রাণে ন মারিয়৷ দেহমন বিনষ্ট করিয়া ফেলিয়াছে ।" এই দুর্বলন্ত, মৰ্ম্মস্থদ, নিদারুণ কাহিনীর ইগষ্ট ভূমিকা। যুদ্ধসম্পৰ্কীয় উপন্যাসের মধ্যে প্রকাশমাত্র এই উপন্যাস শ্রেষ্ঠ বলিয়া অভিনন্দিত হইয়াছে । ইহাতে বেদনা, করুণ, নিৰ্ম্মম পশুপ্রায় চেতনাহীন সৈনিকজীবনের নির্লজ্জত, সৌহার্দা, গভীর মানবতা, আবার উৎকট বীভৎসতা ৪ অশেষ ক্লাষ্টি এক সঙ্গে জুমিয়া উঠিয়াছে । ইহা যুদ্ধ-দেবতার নগ্ন কুৎসিৎ মূৰ্ত্তি । যুদ্ধ-উপন্যাসের লেখক হিসাবে প্রথম অভিনন্দিত হন ‘সার্জেণ্ট গ্রিশার লেখক আৰ্ণল্ড টুম্ভাইগ, । যুদ্ধের একটি ঘটনাপণ্ড ষ্টঙ্গর বিষয়বস্তু। ইহাতে যুদ্ধের প্রভাব আছে, কিন্তু যুদ্ধ দেপা যায় না । তাহার ‘ভের্দা’তে হয়ত সে দুখ দেখা দিবে। ফন উনরু-এর ‘বলির পথ’ লেগ হইয়াছিল যুদ্ধকালে কাষ্টজারের নিমন্ত্রণে—কিন্তু ইহার ছত্ৰে-ছত্রে এই সেনা-নায়কের নৈরাঙ্গ, তিক্রতা ৪ ক্লাস্তি এমনি উৎকট অসংযত ভাবে জমিয়া উঠে যে, উহা আর জাৰ্ম্মাণ সেনামণ্ডলীর হাতে পৌছাহঁতে দেওয়া হইল না । যুদ্ধের বাস্তবতা ইহাতে আছে, কিন্তু সাহিত্যিকের সংযত শক্তি নাই । - ঐতিহাসিক ঔপন্যাসিক ক্রনে ফ্রাঙ্ক-এর ‘ফ্রেডারিকৃ দি গ্রেটু ওপলেটিশে নফেলে ও (ইংরেজী অল্পবাদ পাশিয়ানস্ মার কামিং ) হয়ত যুদ্ধেরই একটি সচেতন বা অচেতন প্রভাবেই লিখিত। উপন্যাসহিসাবে ইহা সার্থক ক্ষঙ্গি-কিন্তু হয়ত বৰ্ত্তমান জাৰ্ম্মেণীর মাত্মপরীক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রয়াসও ইহার কষ্টির মূলে কাজ করিয়াছে । ইহা যুগধর্শ্বের ফল। বৰ্ত্তমান যুগে ঐতিহাসিক উপন্যাসের পুনরভু্যদয়৪ এই যুগধর্শ্বের সহিত সংশ্লিষ্ট । এ ঐতিহাসিক উপন্যাস আর রোমান্স নয়। জীবনী যেমন চরিত্র-চিত্র ও চরিত্র-বিশ্লেষণে পরিণত হইয়াছে, রোমান্স ও তেমনি যুগ-চিত্রে ও যুগ-বিশ্লেষণে রূপান্তরিত হইয়াছে । ফ্রাঙ্ক, নয়মান ( সয়তান ), ভাসেরমান ( যৌবনের জয় ), রিকার্ড হুক্‌ ( পরাজয় ) ও সৰ্ব্বোপরি লি ও ফয়েক্তভাঙ্গের এক্ট নুতন রীতি অগুসরণ করিয়াছেন । ‘কুরূপ ডাচেস্থ চতুর্দশ শতাব্দীর অষ্ট্ৰীয়া জাৰ্ম্মেণী লইয়। লেপা, ইহা সার্থক সৃষ্টি নহে ; কিন্তু “জু সিউস্ অষ্টাদশ শতাব্দীর একটা ক্ষুদ্র জাৰ্ম্মাণ রাষ্ট্রের নিখুত প্রতিলিপি এবং উহাকে অবলম্বন করিয়৷ তৎকালীন সমগ্র যুগজীবনের একটি চিত্র। ষ্ট্রেচি, মোরোয়, লুডভিক যেমন চরিত্যখ্যানের হাওয়া বগইয়াছেন,ফয়েক্তভাঙ্গেরও তেমনি স্বদেশে দু বিদেশে ঐতিহাসিক উপন্যাসের লুপধারাকে বালশয্যা হইতে খুড়িয়া বাহির করিয়াছেন। - জাম্মাণ কবিরা ও যুদ্ধোন্মত্তত ও যুদ্ধশেষের তিক্ততার ধূপে কাব্যলক্ষ্মীর অর্জনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ঐ ধূপের গন্ধ ক্ষণস্থায়ী ৷ উষ্ঠার উংকট মাদকতা শেষ হইয়। গিয়াছে । শুধু ষ্টেফান জঙ্গের যুদ্ধ আজও বঁচিয়া আছে, কারণ উহার স্তর উন্মত্ততায় বাধা নহে, গভীর উদার রাগিণীতে। তেমনি করিয়া যুদ্ধশেষের বহুশত প্রোলেটেরিয়ান কৰি দিনমজুরের দৈন্ত ৪ মানিকে এক্সপ্রেশনিষ্ট কবিতায় ফুটাইতে চাহিয়াছিলেন–কিন্তু টোলার বাৰ্থেল, হাইনরিক লেবৃশ-এর কবিতা না-ফুটিতেষ্ট ঝরিয়া পড়িয়াছে। অথচ তাহাদের সমকালীন প্রতিভা রাইনেয়ার মারিয়া রিলকের শাস্ত ও অক্ষুব্ধ সুষম আজ আবার কাসাক প্রভূতি কবির উপর প্রভাব বিস্তার করিতেছে। রক্তের গন্ধ, কবরের মার্জ বাভাস, কল-কক্তার কর্কশ শব্দ, শ্রমিকের পীড়িত স্নায়ু-বিকার, সহরের উচ্চধ্বনিবিক্ষেণভ—এই সব আর জাৰ্ম্মেণীর তরুণ কবিকে আকর্ষণ করিতেছে না । জীবনের গভীর সত্যকে উপলব্ধি করিয়া শান্ত সহজ স্বরে সেই সভাকে কাব্যে উদগীত করাই তরুণ জাৰ্ম্মাণ কবিদের সাধন । বিরাটের রূপে মুগ্ধ