পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১২ প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড युनि दांख्नेौछैॉब्र मृन्नटक जांभांटग्नब्र भांजौञ्च भडांभड cալի յ** जिलांना कब्रणाभ-“कि ब्रकभ ?” —“মালীর মতে ওটা এই পাচ ছয় বছর থেকে ‘তানাদের নীলেভূমি' হয়েছে। সহজ মানুষ ওখানে আমল পায় না । তানাদের মানে তোমাদের গুদ্ধ ভাষায় যাকে বল অশরীরী আত্মা তাদের,—গঞ্জিকার ধূমে ধাদের জন্ম আর কি।--তারপর ? দুপুর হ’ল—বিকাল হ’ল—” অন্যমনস্কভাবে বললাম, "হানাবাড়ী ? ----- যাক, সদ্ধোর একটু পরে ছুটি স্বরের লহরী ওঠে,—দুরের ঐ বাড়ীটাতে একটি মেয়ে গান করে, আর দক্ষিণের ঐ হলদে বাড়ীটাতে কে ক্ল্যারিয়োনেট শেখে,—তুমি হাসলে বটে, কিন্তু এই নিস্তব্ধতার নট-ভূমিতে সেই স্বরের ছন্দ জার বেস্বরের তাগুব মিলে যে কি একটা মায় রচনা করে, তা যদি তোমায় বোঝাতে পারতাম।” বন্ধু ভীতির অভিনয় ক’রে বললেন, “একটা জিনিষ বুঝেছি—সেটা এই যে তোমায় একলা ফেলে রাখা আর মোটেই নিরাপদ হচ্ছে না । তোমার কবিতার খাতাটা সঙ্গে আন নি ত ?” বললাম, "আনলে ‘বিষ’ বলে একটা লেবেল সেটে দিতে—এই ত কথাটা ব’লে কিন্তু আমাদের এদেশটার প্রতি বড় অবিচার করলে, ডাক্তার। আমার ত মনে হয় এদেশের বর্ণ স্বর আলো বাতাস—এসবের মধ্যে এমন একটা কি আছে যাতে কবি না হ’য়েই পারা যায় না । অত কথা কি—এদেশের চিকিৎসকেরাও হতেন কবি ; শুধু কবি নয়—কবিরাজ। তার মানে তাদের শিক্ষা এই প্রকৃতির সঙ্গে তাদের একটা নিগুঢ় যোগ ঘটিয়ে দিত । মানুষের প্রাণশক্তিকে সমৃদ্ধ করবার তাদের ষে প্রচেষ্টা তা তাদের প্রকৃতির মহাপ্রাণের সঙ্গে পরিচিত করে দিত ;–সে মহাপ্রাণের বিকাশ দেখি স্বরে रष्ठकष्ठांब्र, श्रां८शांग्न ऍाशाद्ब्र--ञांब्र छौ८व छेख्रिम ल বটেই। তারা হতেন ধ্যানী, না হয়ে উপায় ছিল না। প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সম্বন্ধটা ছিল মৈত্রীর— “আর তোমাদের শিক্ষাদীক্ষার কাগুকারখানা সব ' উন্টে। প্রকৃতির প্রতি তোমাদের ভাবটা সশ্রদ্ধ নয় ; ছুরি, কাচি, ফর্ক, কাট। প্রভূতি যন্ত্রপাতি নিয়ে ..” বন্ধু হেসে হাতজোড় ক’রে বললেন, “হয়েছে— এবার শরসংহার কর –* হেসে চুপ করলাম। একটু ভাবের ঘোরে পড়ে গিয়েছিলাম বটে ; তার কারণ এ জায়গাট। আমার লাগছে বড়ই স্বন্দর। শুধু কি এ জায়গাটাই ? নিজের কাছে নিজেকেও আজকাল বড় মনোরম ব’লে বোধ হয়। মনে হয়, আমার প্রাণ যেন ধমনীতে ধমনীতে সঞ্চারিত হয়ে সহস্ৰ বাহু দিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরেছে,— আমার প্রতি অণুপরমাণুতে তার উষ্ণ আলিঙ্গন অনুভব করি— এক এক সময় মনে হয় হঠাৎ ধেন একটা কুলভাঙ্গ। ঢেউ উঠল। আমার প্রাণ ত আর আমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ওই ছুটল ও,—সমস্ত জগতটাকে স্রোতের ছাটে নাইয়ে ছুটল—ওই, আলোর মত ঝাপিয়ে পড়ে কি এক নুতন বর্ণের স্বধম স্বষ্টি করতে করতে ছুটল,— জগতের স্বর-লহরীর মধ্যে কি এ নূতন স্বর ঢেলে দিলে । এত বিচিত্র পৌরভের উৎসই বা ওর মধ্যে কোথায় লুকান ছিল ? মাধুর্ধ্য আরও উগ্র হয়ে পড়ল যে --কি উন্মত্ত । আমার মধ্যে হঠাৎ একি উত্তাপ স্থষ্টি ক’রলে— তারপর, একি—সমস্ত পুথিবীর ওরই দেওয়া এই নূডন বর্ণ-গন্ধ-স্পর্শের ওপরে আমাকেই প্রবীভূত করে ঢেলে দিলে যে ! স্বন্দরের অঙ্গে এ কি স্বভিনব প্রলেপ দিয়ে দিলে - •••• আমার রুগ্ন দেহের অন্ধকারের মধ্যে আবদ্ধ এই প্রাণ উষার মত রূপস্থষ্টির অফুরন্ত শক্তি নিয়ে জেগে উঠেছে, মনে হচ্ছে যেন তাকে অভিনন্দিত করবার জন্তে একটা বিরাট সমারোহ পড়ে গেছে। এইভাবে সৌন্দর্ঘ্যের সঙ্গমস্রোত বয়ে চলে,—স্বান ক’রে ধরণী অপরূপ হ’য়ে ওঠে । কোন কিছুকেই আর তুচ্ছ ব'লে মনে হয় না,—হীরক খণ্ডের মত, এই পৃথিবীর প্রতি রেখা-অণুরেখা হ’তে যেন আলোর দীপ্তি ঠিকৃরে পড়তে থাকে।