পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] রোগ, আমার আরোগ্য সমস্তই তারই বিধান,— এই সবের মধ্যে দিয়ে সে আমায় তার নিজের কাছে আকর্ষণ ক’রে এনেছিল,—সেই আমার স্বপ্নের মধ্যে মায়ালোক বিস্তার করেছিল—তারপর সেই মায়ালোক থেকে নেমে এসে যখন সে আমারই জন্তু নিজেকে এই পৃথিবীর স্পর্শের অধীন ক’রে তুলেছে - আর আমার বাসনার শতদল তার চরণ দুখানি ঘিরে বিকশিত হ’য়ে উঠেছে—এই সময় বন্ধু এসে একটা বিপ্লব বাtধরে সমস্ত ছিন্ন ভিন্ন ক’রে দিলেন। আজ এ কি হল ?—পৃথিবীর কার কাছে একটা সুবিধানের জন্য দাড়াই ? আজ চোখে মাঝে মাঝে অশ্রু জমে উঠছিল,— এমন আর কোনদিন হয় নি । বাড়ীটা এখান থেকে আর কখনও দেখি নি । বুক্ষ, শাখা, লতার মধ্যে দিয়ে বাড়ীটার কিছু কি দেখা যায়—আ ভাসের মন্ত । ছায়ার ভাগটা বেলাশেমের ক্লিক অন্ধকারে গ্রাস ক’রেছে, আর যেখানে ভার গোলাপী রঙের ত্যাচ একটু একটু দেপ। ধায় সেখানে বাড়ীটা যেন অস্তমান স্বঘোর কিরণে মিশিয়ে গেছে । সঞ্জল চোগের ঝাপস। দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে আজ মনে হচ্ছে—লে আমার জন্যে অজ্ঞাতের তিমির থেকে নেমে এসে নিজেকে আলোর মধ্যে মেলে ধরেছিল-আজ ব্যর্থতার ক্ষোভে সে এই কঠিন জড়পি গুটাকেও মুছে নিয়ে তার বিদায়ের চিহ্নষ্টীম পরিচয় রেথে ধাপে । বন্ধুর হাসি মনে পড়ে গেল। নিজের কাছেষ্ট লজ্জিত হ’য়ে চোগের জল্ল মুছে ফেললাম, ভাবলাম— এই ঘেরা জমিটুকুর মধ্যে বসে বসে রাত্ৰি-দিন কি এ আকাশকুস্থম রচনা করছি ? যাই একটু ঘুরে আসি । উঠলাম। রাস্তায় প। দিতেই পশ্চিম দিকের বাড়ীর পানে নজর গেল । সঙ্গে সঙ্গে যেন লাগাম কলে দৃষ্টিকে ফিরিয়ে আনলাম। তখন মনের মধ্যে প্রশ্ন হল—আচ্ছা, পশ্চিম দিকটাই কি সুপরাধ করেছে ? ওদিকে না যাওয়াটাই কি দুৰ্ব্বলতা নয় ? এর উত্তরস্বরূপ আমি চিত্তের সমস্ত বল প্রয়োগ ক’রে পুর্বদিকে পা বাড়ালাম এবং অগ্রসর হলাম । কিন্তু আমার পা যেন একটুর মধ্যেই অতিরিক্ত আশা ۹ لابرا ভারী বোধ হ’তে লাগল। লাগবারই কথা –একে দুৰ্ব্বল শরীর, তায় বসে বসে স্থাটার অভ্যাসটা নষ্ট হয়ে গেছে। --আমার কিন্তু তখন মনে হ’ল না— আমার মনে হ’ল পূর্ণ বিশ্বাস হ’ল যে, কিসের সঙ্গে আমি যেন শুম্বলিত হ’য়ে গচ্চি নিরুপায়ভাবে । যতই আগুয়ান হবার চেষ্টা করছি, পিছনে টান ততই প্রবল হয়ে উঠছে । শেষে ফিরলাম। এভক্ষণ মনের মধ্যে কিসের সঙ্গে একটা তুমুল দ্বন্ধ, তর্কবিতর্ক চলছিল, হেরে গিয়ে স্বঞ্চির নিঃশ্বাস ফেললাম। ফেরবার সময় মনে হ’ল, দিfপা লঘু গতিতে চলছি । আমার বাগার সামনে এলাম –একটু দ্বিধা-এক লহমার অপেক্ষ, তারপর পশ্চিম দিকে চললাম। এই দ্বিতীয় পরাজয়ে আর-একটা আরামের দীর্ঘশ্বাস পড়ল । সেই বাড়ীর ফটকের সামনে দাড়ালাম । আর একটি বাড়ালেষ্ট কোন এক নূতন আলো-বাতাসের মধ্যে গিয়ে দাড়াব—খেন মৃত্যুর চেয়েও এক পরমাশ্চৰ্য্য ব্যাপার এখনই ঘটবে । আগশটা তুলে প্রবেশ করতে যাব—দেশি ডাক্তার-বন্ধু সেই বাড়ীট। গকে বেরিয়ে আসছেন । কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, তুমি—এখানে : 臺 鹽品 密 আমাদের বাগানে এসে দু’পান চেয়ারে মুখোমুথি হ’য়ে বসলাম ! বন্ধুর ভাবটা আজ মৃত্তন রকম--কিছু বিব্রত, বিষণ্ণ ণ্ড । কি ভেবে জানি না, আমায় আর কোন প্রশ্ন করলেন না । বললেন, “গু বাড়ীটায় কিছু একট। ব্যাপার হচ্ছে বটে। তবে সেটা এই গরীব অশীতিপর পুথিবীরই এলাকার—এই যা ।” আর একট চপ ক’রে রইলেন, তারপর বলতে লাগলেন, “তোমার ঘটকালি করতে গিয়েছিলাম। ...অপারা কিম্বুরীর আমাদের এই পোড়া কপালের যুগটাকেই বয়কট করেছেন বলে সেদিন তোমায় বেশী উৎসাহ দিতে পারলাম না ; কিন্তু আমাদেরই মত রক্তমাংসের কোন খেদী পেচী এসে যে বাড়ীটাতে ডের ফেলেছেন এবং আমার বন্ধুটির ওপর ভর করবার