পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵհՋՆ ধারাবাহিকভাবে প্রবন্ধাকারে প্রকাশিত হইতে থাকে। পত্রিকা-সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত অপর কাহারও নিকট প্রবন্ধ-লেখক প্রথমে আত্মপ্রকাশ করেন নাই । “সিরাজদৌলা” রচনায় অক্ষয়কুমারের ওকালতী জীবনের মেধার পরিচয় পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছিল। ধশ্বাধিকরণে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে দোষমুক্ত করিবার জন্ত তাহার পক্ষীয় উকিল যেরূপ যুক্তিতর্কের অবতারণা করে, সাহিত্যজগতে অক্ষয়কুমার অকাট্য যুক্তি তর্ক ও ভাষার সম্পদের দ্বারা অন্ধকূপ হত্যার অপরাধে অপরাধী হতভাগ্য সিরাজদ্দৌলার নির্দোষিত প্রমাণিত করিয়া অধথাকলঙ্কিত সিরাজের স্মৃতির প্রতি সমাদর প্রদান করিয়াছিলেন। অক্ষয়কুমারকে সাল্লখ্যে বরণ করিয়া, ১৯১০ সালে দিঘাপতিয়ার কুমার শরৎকুমার রায়, রায়বাহাদুর রমাপ্রসাদ চন্দ মহোদয়ের সাহচর্য্যে বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। এই সমিতি পরিদর্শন করিয়া भशम्र ग्रंशेिौ ॐ छुङि cष-गद भखदा कब्रिग्रांtछ्न তাহাতেই অক্ষয়কুমারের প্রভাবের প্রকৃত পরিচয় পরিস্ফুট। ইহা ব্যতীত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের অনেকেই অক্ষয়কুমারের পাণ্ডিত্যের প্রশংসা করিতে ক্রটি করেন নাই। গৌড়লেখমালায় অক্ষয়কুমারের টীকাটিপ্পনীর বিশেষ প্রশংসা করিয়া স্থবিখ্যাত ডাঃ টমাস লগুনে বক্তৃতা করিয়াছিলেন। অক্ষয়কুমারের লেখনীপরিচালনায়, বাগ্মীতায় ও বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠায় তাহার অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় পরিস্ফুট। সি-আই-ই উপাধি দিয়া সরকার তাহার গুণের প্রতি সন্মান দেখাইয়াছেন । বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির সংগ্রহালয় তাহার স্নেহের পুত্তল ছিল। ইহার উৎকর্ষবিধানের জন্ত র্তাহাকে বিরল-অবসর ওকালতী জীবনে অনেক ক্ষতিস্বীকার করিতে হইয়াছিল। রাজসাহীর কতিপয় যুবক প্রাচীন ভারত ইতিহাস অনুশীলনের অবকাশ লাভ করিয়াছে জানিয়া শেষ জীবনে তিনি একদিন আমাকে বলিয়াছিলেন, “I am now ebbing away, বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির ভবিষ্যৎ প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৬ [२s* छां★, २ग्न ४७ সম্বন্ধে কথঞ্চিৎ আশা পোষণ করিয়া নিশ্চিন্তমনে এখন মরিতে পারিব।” তিনি বলিয়াছিলেন, “বয়েজ অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাকালে ভাবিতে পারি নাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারত সম্বন্ধে আলোচনা হইবে ও রাজসাহীর কোন সন্তান এ সম্বন্ধে চর্চা করিবে।” এই বলিয়া Martin Lutherএর সমাধিস্তম্ভে উৎকীর্ণ পংক্তিযুগল উদ্ধৃত করিয়া বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির স্থায়িত্ব সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন, “Is it man's f It shall fade away Is it God's It shall ever stay.” বাঙ্গালার সভ্যতা ও কৃষ্টির প্রভাব স্বদুর দ্বীপোপৰীপে बिखूड श्वाब ३डिशन •७०० वकाश डिनि “সাহিত্য” পত্রিকায় “সাগরিকা” প্রবন্ধে প্রকাশ করিয়াছিলেন। এক্ষণে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের গবেষণায় তাহার মূলস্থত্রের প্রমাণ ক্রমশঃই স্বধীসমাজে পরিচিত হইতে আরম্ভ করিয়াছে। অক্ষয়কুমারের মৌলিক গবেষণার ধারা ছিল অভিনব, প্রগাঢ় বিদ্যাবত্ত ও প্রাক্তন প্রতিভার সংযোগই সম্ভবতঃ তাহাকে সৰ্ব্বতোমুখী গতি দান করিয়াছিল। কি সাহিত্যে, কি কলাবিদ্যায়, কি বাগিতায় সৰ্ব্ববিষয়েই তাহার অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়ৰ স্বদেশীযুগে রাজনীতি ক্ষেত্রে তাহার বজ্ৰনিৰ্দোষ বক্তৃতা বঙ্গবাসীর হৃদয়ে নূতন উন্মাদনার স্বটি করিয়াছিল। র্তাহার শেষজীবন রাজোপাধি দ্বারা অলঙ্কত হইলেও র্যাহারা তাহাকে প্রত্যক্ষভাবে জানিবার স্বযোগ পাইয়াছেন তাহারাই জানেন স্বদেশের প্রতি অনুরাগ র্তাহার কত প্রগাঢ় ছিল, ভারতবাসীর উন্নতিসাধনের জন্ত র্তাহার আগ্রহ কত ঐকাস্তিক ছিল। স্বার্থপ্রণোদিত হইয়া একবার কোন বিখ্যাত পুস্তকপ্রকাশক এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থকে কৃত্রিম পণ্যে পরিণত করিয়া দিৰার জন্য দেশের ইতিহাসের মধ্যাদা অপেক্ষা কাহারও স্বার্থের মৰ্যদা রক্ষা করিয়া একখানি স্কুলপাঠ ভারত ইতিহাস প্রণয়ন করিতে অনুরোধ জানাইলে, তদুত্তরে দরিদ্র অক্ষয়কুমার তেজস্থিতার সহিত জানাইয়াছিলেন,—“আত্মবিক্রয় করিয়া স্বদেশের অসত্য ইতিহাসের