পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

尊幫轉 সাগরে ক্ষেঙ্গির গাও। কলিযুগে লীলাচলে দক্ষিত্ৰক্ষরূপে ইহ পূজিত হইবে। পঞ্চপাওৰ আকাশবাণী শুনিয়া সাগরে tभई ¢भई छमाँकेंद्रt नेिअ । . এইক্ষপ বর্ণনা করিয়া বহু শৰয় বিদ্যাপতিকে কছিল, নজানি সেই শবরের পুত্র, তুমি যদি আমার কষ্ঠাকে বিবাহ না কর, প্তাহ হইলে নিশ্চয়ই তোমার প্রাণ যাইবে।” বিদ্যাপতি তখন ফাপরে পড়িয়া ললিতার পাণিগ্রহণ করিয়া শবয়গৃহে উভয়ে বাস করিতে লাগিলেন। ললিতা দেখিল যে তাহার স্বামীর মনে সুখ নাই, সৰ্ব্বদাই চিন্তায় কাতর। একদিন শবরবালা বিদ্যাপতিকে অতি অাদরে ডাকিয়া বলিল, “নাথ ! তোমার কিসের ভাবনা, সৰ্ব্বদাই তোমাকে বিষন্ন দেখি কেন ? তোমার মলিন মুখ দেখিলে অামার বুক ফাটিয়া যায়। পায়ে ধরি, তোমার মনের কথা খুলিয়া ৰল ।” বিদ্যাপতি কছিল, “তুমি সত্য বল যে তোমার পিতা প্রতিদিন শেষরাত্রে কোথায় যান, আর মধ্যাহ সময়ে কোথা হইতে আসেন । সেই সময় তাহার শরীর হইতে কেন চন্দন গন্ধ বাছির হয় ?” শবরকল্প বলিল, “এই জন্তু তোমার চিন্তা । নীলাচলে নীলমাধব আছেন, একথা কেহ জানেনা, আমার বাবা অতি গোপনে তাহাকে পূজা করিয়া আসেন। আজ আসিলে তাহাকে বলিব । তুমি জগন্নাথের দর্শন পাইবে ।” ‘ৰুদ্ধ শবর ঘরে আসিলে ললিত তাহাকে গিয়া ধরিল। ললিতার মুণে সকল কথা শুনিয়া শবর বিস্মিত হইল ও কন্যাকে অত্যন্ত ভৎসনা করিয়া কহিল, “আমি পুরাণে শুনিয়াছি যে রাজা ইন্দ্র্যম জগন্নাথের পুজা করিবেন। বোধ হয় এই ব্রাহ্মণ তাহারই চর। ইহাকে দেখিতে দিলে নিশ্চয়ই জগন্নাথকে ছায়াইৰ ” ললিত কঁাদিতে লাগিলেন । কন্যার ক্রদনে শৰরের মন ফিরিল এবং বিদ্যাপতির চক্ষু বাধিয়া লইয়া গিয়া জগন্নাথকে দেখাইতে সন্মত্ত হইল । ললিতা ৰিদ্যাপতিকে পিতার মনোভাব জানাইল । বিদ্যাপতি কছিলেন, "যদি আমার চক্ষুই বাধা থাকে, তবে আর আমার দর্শনে কাঞ্জ নাই ।” ললিত কহিল, “তার জন্স ভাবনা কি, আমি পথ চিনিবার উপায় করিয়া দিব । তোমার টেকে তিল বাধিয়া লও, যাইবার সময় পথের দুইপাশ্বে সেই তিল ছড়াইতে ছড়াইভে যাইবে । গাছ বাহির হইলে তুমি আপনি পথ চিনিয়া যাইতে পরিবে ।” পরদিন প্রভাতে শবর বিদ্যাপতিকে অন্ধের ন্যায় চক্ষু বন্ধন করিয়া লইয়া চলিল, বম মধ্যে গিয়া শৰৱ ব্ৰাহ্মণের চক্ষু খুলিয়া দিল । বিদ্যাপতি বটবৃক্ষ মূলে বহুদিদের সাধ নীলমাধব মুক্তি WI >8ー) [ అని ) 寶粥博 繼識 দেখিতে পাইলেন। শবর ব্রাহ্মণকে বটবৃক্ষ মূলে দিতে বলিয়া ফল আদিতে চলিল। এই সময় বিস্কাপতি দেখিলেন, একটা ভূষণ্ডী কাক ঘুমের ঘোরে বৃক্ষ হইতে নিকটস্থ রোহিণকুওে পড়িয়া গেল, পড়িয়াই চতুভূজ হইয় চলনস্থক্ষে গিয়া বসিল । তাহ দেখিয় বিদ্যাপতিও চতুভূজ লাভ ও এই সংসার হইতে মুক্ত হইবার আশায় আপনিও রোণিকুণ্ডে কাপ দিতে গেলেন । তখন সেই ভূষওঁী কাক তাহাকে বাধা দিয়া বলিল—“ব্রাহ্মণ ! তুমি যে কাজে আসিয়াছ, মাজ কি তাহা তুলিয়া গেলে। তোমা হইতে মৰ্ত্ত্যলোকে ভগবান জগন্নাথ প্রকাশিত হইবেন । তুমি তাহাতেই কৃতাৰ্থ হইবে।” বিদ্যাপতির আর বাপ দেওয়৷ হইল না । এই সময় শবরপতি ফল মূল লইয়া উপস্থিত হইল ও নীলমাধবকে নিবেদন করিয়া কহিল—“মহাপ্রভো ! আমার এই সামান্স উপহার গ্রহণ কর।” বৃদ্ধ বার বার মিনতি করিলেও সেদিন আর ভগবান শবরের ফলমূল গ্রহণ করিলেন না । শবর মিতান্ত দুঃখিত হইয়া কহিলেন, “ভগবন! আমি কি অপরাধ করিয়াছি, আমার উপর ক্রোধ হইল কেন ?” তখন দৈববাণী হইল, “শবর ! তুই ব্রাহ্মণকে কেন এখানে আনিলি ! এতদিন তোর কাছে কলামুল থাইয়াছি, কিন্তু তাহা অার ভাল লাগে না । রাজা ইক্রয়্যয় দেখা দিয়াছে । তার তোর কাছে থাকিব না । নীলাচলে দারুত্ৰহ্মরূপে দেখ। দিব । নানা উপচারে ভোগ পাইব । সুরাসুরনর আমার সেই মূৰ্ত্তি দেখিয়া কৃতাৰ্থ হইবে । ব্রহ্মার আয়ুর অৰ্দ্ধকাল এখানে ছিলাম, অপরান্ধে দারুব্রহ্মরূপে বিরাজ করিব।” শবর দৈববাণী শুনিয়া মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । “হায় হায় আমার মেয়ে হতেই আমার সৰ্ব্বনাশ হইল,” এই বলিয়া কতই বিলাপ করিতে লাগিল । এইরূপে কিছুকাল আক্ষেপ করিয়! আবার ব্রাহ্মণের চক্ষু বাধিস্থ গুহে ফিরিয়া আসিল । বিদ্যাপতির মনস্কামনা সিদ্ধ হইয়াছে । এদিকে তিলকৃক্ষ গজাইয়া উঠিয়াছে, তাছা লক্ষ্য করিয়া ব্রাহ্মণ সকল পথ ভাল করিয়া চিনিয়া লইলেন । এখন কিরূপে দেশে যাইবেন, সেই ভাবমাই বেশী হইল একদিন ললিতা স্বামীকে উদ্বিগ্ন দেখিয়া তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । ৰিম্ভাপতি দুঃখিতভাবে উত্তর করিলেন, “অনেকদিন হইল আমি দেশ ছাড়িয়া আসিয়াছি, আমার আত্মীয় স্বজন কে কেমন আছে, জানিনা, তাছাদের দেখিবার জন্ত জামার মম জাফুল হইতেছে ।” তখন ললিত কাতরভাবে বলিল, “এথম জানিলায়, ভূমি