পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झ१ीं प्रांश [ ৫৯৬ } জগন্নাথ সরোবরের পূর্বাংশের মধ্যভাগে কালিয় সৰ্পের কণার উপর দণ্ডায়মান বংশীধারী কৃষ্ণমূৰ্ত্তি রহিয়াছে। কালিয় দমনোৎসবের সময় এখানে মদনমোহন শুমাসিয়া লীল করিয়া থাকেন। উত্তরভাগে একটা মন্দিরে চতুভূজা সপ্ত মাতৃক, গণেশ, নবগ্রহ ও নারদের প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তি আছে। ইশ্রদ্ধ্যম সরোবর।--মহামন্দিরের প্রায় এক ক্রোশ দূরে এই সরোবর। ব্ৰহ্ম ও নারদপুরাণের মতে ইন্দ্রস্থ্যমের যজ্ঞাজ্য হইতে এই তীর্থের উৎপত্তি হইয়াছে । উৎকল খণ্ডের মতে রাজা ইস্ত্রছায় যজ্ঞের দক্ষিণস্বরূপ যে সকল । গাভী দান করিয়াছিলেন, সেই সমস্ত গাভীর খুরাগ্র হইতে যে গৰ্ত্ত হইয়াছিল, তাছাই ইশ্রচু্যম সরোবর । এখানে স্নান করিয়া দেব ও পিতৃ উদ্দেশে তর্পণ করিলে সহস্ৰ অশ্বমেধের ফল হয়, এই জন্ত এই তীর্থের অপর নাম অশ্বমেধাঙ্গ । এই সরোবর দৈর্ঘ্যে ৪৮৬ ফিটু ও প্রস্থে ৩৯৬ ফিট্‌, চারিদিকে পাথর দিয়া বাধান । ইহাতে অনেক বড় বড় কচ্ছপ আছে। প্রবাদ এইরূপ যে, ইন্দ্ৰদ্যুম্ন পাছে বংশ থাকিলে আপনার কীৰ্ত্তিলোপ হয়, এই ভাবিয়া জগন্নাথের নিকট বংশনাশের জঞ্চ প্রার্থন করেন । জগন্নাথের বরে ইস্ত্রত্ন্যমের পুত্ৰগণ কচ্ছপরূপে পরিণত হইয়াছে। সরোবরের দক্ষিণকুলে নৃসিংহ ও পশ্চিম তীরে নীলকণ্ঠের মন্দির অাছে। কপিলসংহিতার মতে ইন্দ্রছায় সরোবরে স্নান করিয়া ঐ দুই মূৰ্ত্তির পূজা করিলে অশেষ পুণ্যলাভ হয় । উক্ত নীলকণ্ঠ ক্ষেত্রের অষ্টলিঙ্গের মধ্যে একটী (২৫) । উক্ত লিঙ্গ দুইটী অতি প্রাচীন হইলেও উভয়ের মন্দির তেমন পুরাতন নহে । গুণ্ডিচাগার—ইন্দ্রস্থ্যম সরোবর হইতে ফিরিয়া আসিবার পথে শ্ৰীমন্দির হইতে ২ মাইল দূরে এই বিখ্যাত মন্দির। এখান কার লোকেরা বলিয়া থাকে রাজা ইন্দ্র দু্যয়ের গুণ্ডিচ নামে পাটরাণী ছিলেন, তাহারই নামানুসারে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয় । কিন্তু কোন প্রাচীন গ্রন্থে ইন্দ্ৰদ্যুম্নের স্ত্রীর নামোল্লেখ নাই অথচ নারদ, ব্রহ্ম, সাম্ব প্রভৃতি পুরাণেও গুণ্ডিচাগারের উল্লেখ আছে । কিন্তু এখনকার গুণ্ডিচ-মন্দির দর্শন করিলে সমধিক প্রাচীন বলিয়া বোধ হয় না । বৰ্ত্তমান গুণ্ডিচ-মন্দিরের চারিদিকে ৫ ফিট বিস্তৃত ও ২০ ফিটু উচ্চ প্রাচীর অাছে, ইহার প্রাঙ্গণ দৈর্ঘ্যে ৪৩২ ফিটু ও প্রস্থে ৩২১ (২৫) “কপালমোচমং নাম ক্ষেত্রপালং বমেশ্বরম্। भार्क८९ब्र१ ठt५णाम९ विष*१ औशक% कम् । বটমূলে ধটেণক লিঙ্গানষ্ঠে মহেশেভূ " (উৎকলখ • জ: ) कणालcमtठभ, cकल्ल'ोज, य६मचन्न, मार्क८७ङ्ग, ईश्वाम, दिएववव्र, दुश्ब्र ও নীলষষ্ঠ মহেশের এই জইলিঙ্গৰূর্ব এক্ষেত্রে বিরাজ করিতেছেন। किt । धाईौदग्नग्न *क्रिभांशाण निश्चाब्र, फेखब्रांशc* बिछद्रषाग्न ও মধ্যস্থলে দেবাগার । এই দেবাগার আবার চারিভাগে বিভক্ত—দেউল বা মূলমন্দিরদৈর্ঘ্যে ৫৫ ফিটু ও প্রস্থে ৪৬ধিস্ট ; মোহন দৈর্ঘ্যে ৪৮ ফিট, নাটমন্দির দৈর্ঘ্যে ৪৮ ফিটু ও প্রন্থে ৪৫ ফিট এবং ভোগমণ্ডপ দৈর্ঘ্যে ৫৯ ফিটু ও প্রন্থে ২৬ ফিট । মূলমন্দির বা দেউল উচ্চে ৭৫ ফিট, ইহার মধ্যে কালপাথরে নিৰ্ম্মিত ১৯ ফিট দীর্ঘ ও ৩ ফিট উচ্চ এক রত্নবেদী অাছে। রথযাত্রার সময়ে দারুমূৰ্ত্তি আসিয়া এই রত্নবেদীর উপর সাত দিন অবস্থান করেন । রথযাত্রাকালে দারু ব্ৰহ্ম সিংহদ্বার দিয়া এখানে প্রবেশ করেন এবং বিজয়ম্বার দিয়া বাহির হন । প্রবাদ অাছে, এই স্থানেই বিশ্বকৰ্ম্ম। প্রথমে দারুব্রহ্মের ওঁকার মূর্তি নিৰ্ম্মাণ করেন । চক্ৰতীর্থ। বালগণ্ডি-নালার ধারে সমুদ্রতীরে একটী ক্ষুদ্র সরোবর আছে, তাহারই নাম চক্ৰতীর্থ। পাওরি বলিয়া থাকে, এই চক্রতীর্থের ধারে প্রথমে ব্রহ্মদারু ভাসিয়া আসিয়। ছিল । এখানে আসিয়া শ্রাদ্ধাদি করিয়া লোকে বালুকার পিগু প্রদান করে। শ্ৰীক্ষেত্রের মধ্যে এই চক্রতীর্থের জলই সৰ্ব্বাপেক্ষা সুমিষ্ট। এই চক্রতীর্থের নিকট উত্তরভাগে চক্রনারায়ণ মূৰ্ত্তি ও তাহার ঈশানকোণে শৃঙ্খলবদ্ধ হনুমানের মূৰ্ত্তি আছে । শ্বেতগঙ্গা —মহামন্দিরের উত্তরভাগে অবস্থিত । ব্রহ্ম ও নারদপুরাণ, কপিলসংহিতা ও উৎকলখওে এই তীর্থের মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে । অতি পুণ্যতীর্থ ভাবিয়াই প্রায় সকল যাত্রীই এই তীর্থ দৰ্শন করিয়া থাকে । ইহার ধারে শ্বেতমাধব ও মৎস্তমাধবমূৰ্ত্তি আছে। কপিলসংহিতা ও উৎকলখণ্ডের মতে, শ্বেতগঙ্গায় স্নান করিয়া শ্বেত ও মৎস্ত্যমাধব দর্শন করিলে সকল পাপদূর ও শ্বেতদ্বীপ লাভ হয়। যমেশ্বর । মহামন্দিরের অৰ্দ্ধ মাইল দূরে যমেশ্বরের মন্দির । উৎকালখণ্ডের মতে মহাদেব এখানে যমের সংঘম নষ্ট করিয়া যমেশ্বর নামে খ্যাত হন । কপিলসংহিতার মতে যমেশ্বরের পুজা করিলে যমদও এড়াইয়। শিবত্ব লাভ করে । অলাবুকেশ্বর । যমেশ্বরের পশ্চিমে অলাবুকেশ্বরের মন্দির। এই লিঙ্গ দেখিতে অনেকট অলাবুর মত, বোধ হয় সেই জন্য ইহার অলাবুকেশ্বর নাম হইয়াছে । কপিলসংহিতার মতে এই লিঙ্গ দর্শন করিলে অপুত্র পুত্রবান এবং কদাকার ব্যক্তিও সুন্দর হইয়া থাকে। কপালমোচন । অলাবুকেশ্বরের নিকটই কপালমোচন, কাশী প্রভৃতি স্থানে কপালমোচনের যেরূপ মাহাত্ম্য বর্ণিত হইয়াছে, এখানকার কপালমোচনের উৎপত্তি ও মাহাত্ম্য সেই রূপ কথিত হইয়া থাকে ।