পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগন্মোহন বসু কাঁপিতে কাঁদিতে লাগিলেন । অবশেষে তাঁহার স্বদেশীয় একজন দয়ালু মহাজন তাঁহার এই দুরবস্থা দেখিয়া তাঁহাকে দেশে পৌঁছাইয়া দেন। এত কষ্ট পাইয়াও জগন্মোহন লেখাপড়া ছাড়িতে পারিলেন না । তাঁহার বাটী হইতে প্রায় এক ক্রোশ দূরে এক মুসলমান মৌলবী বাস করিতেন, জগন্মোহন তাঁহার নিকট পারস্য ভাষা শিক্ষা করিতে লাগিলেন। জগন্মোহনের বাসস্থানের কিছু দূরেই একটা খাল ছিল, বর্ষাকালে কেহই নৌকা বা ডোঙ্গা ব্যতীত ঐ খাল পারাপার হইতে পারিত না, কিন্তু জগন্মোহন প্রত্যহ পারপারের পয়সা দিতে পারিতেন না, কাজেই তিনি প্রত্যহ গামছা পরিয়া পুস্তক ও পরিধেয় কাপড় মাথায় বাধিয়া থাল সাতারিয়া পার হইতেন ও মৌলবীর নিকট যাইতেন । এই সময়ে তিনি গ্রাসাচ্ছাদননিৰ্ব্বাহের জন্তু প্রায় সমস্ত রাত্রি জাগরণপূর্বক স্বহস্তে তৎকালের পাঠশালায় ব্যবহার্য্য পুস্তক দাতাকৰ্ণ, গঙ্গার বন্দন প্রভৃতি লিখিয়া দিয়া কৃষকদিগের নিকট যে তণ্ডুলাদি পাইতেন, তাহাতেই সপরিবারে প্রাণ ধারণ করিতেন । এইরূপ অদম্য উৎসাহে ও চেষ্টায় তিনি একজন সুপ্রসিদ্ধ মুন্সি হইয়া উঠিলেন । প্রথমে ফৌজদারী আদালতে মাসিক ৫ টাকা বেতনে কাৰ্য্যারম্ভ করেন। তাহার কার্য্যকুশলতা ও বিস্তাবত্তায় সস্তুষ্ট হইয়া কালেক্টর সাহেব তাছাকে মীর মুন্সীর পদ প্রদান করেন। ঐ সময়ে তিনি একবার তিন বৎসরের জন্য মেদিনীপুরের দক্ষিণ মাজন প্রভৃতি পরগণার তহলীলদারের পদে নিযুক্ত হন । ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে তিনি অভিলষিত কালেক্টারীর দেওয়ানের পদ লাভ করেন । ক এক বৎসর কার্য্য করিয়া জগন্মোহন অনেক অর্থসঞ্চয় করেন, কিন্তু সে কালের আমলাগণের ন্যায় বিশেষ কুটপন্থা অবলম্বন করিতেন না। তিনি অত্যন্ত উন্নতমনা ও দয়াৰ্দ্ৰচেতা ছিলেন। দেওয়ান হইলে পর তাহার পরিচিত লোকের সম্পত্তি তিনি জানিতে পারিলে বাকী রাজস্বের জন্ত নিলামে বিক্রীত হইতে পারিত না। টাকা দিয়া বিষয়রক্ষা করিতেন। তিনি নিজ গ্রামে এক অতিথিশাল করেন। প্রতিবৎসর জগন্নাথের ও গঙ্গাসাগরের শত শত সন্ন্যাসী যাত্ৰাদিগকে আহাৰ্য্য বস্ত্র ও কিছু কিছু পাথেয় প্রদান করিতেন। মেদিনীপুরের নিজ বাটতে অনেক দরিদ্র সন্তানকে অন্ন দিয়া লেখাপড়া শিখাইতেন এবং অনেক গুলি দরিদ্র ব্রাহ্মণ ও অধ্যাপককে বার্ষিক বৃত্তি দিতেন । কস্তাদারগ্রস্ত যে কোন লোক তাহার নিকট আসিলে তিনি দায়োদ্ধারের জন্ত ষথেষ্ট সাহায্য করিতেন। তাহার দেওয়ান হইবার কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে পিঙ্গল অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হয়, তিনি [ ده ه با ] कुशंश्मिtश्मैौ श्थानानि ●धंट्ठाक मब्रिाजद्र थ¢द्र षtब्र शिङ्गां ऊांशंदमग्र जैौदन ग़कांग्न উপায় করিয়া দিয়াছিলেন। অধিক কি, তাহার পূৰ্ব্বোক্ত নির্দয় প্রভূর মৃত্যু হইলে উহার পুত্রকে লালন পালন করেন ও স্বীয় ভাগিনেয়ীর সহিত তাহার বিবাহ দিয়াছিলেন । , সাধারণের জলকষ্ট নিবারণার্থ তিনি কতকগুলি সরোবর খনন করাইয়াছিলেন । সাতপুত্র রাখিয়া ৩ বৎসরকাল পেনসন ভোগ করিয়া জগন্মোহন ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন । * জগন্মোহিনী (স্ত্রী) জগস্তি মোহয়তি মুহ-শিচ-ণিনি ৬তৎ ন্ত্রিয়াং উীপ। ১ মহামায় । ২ ফুর্গা । জগন্মোহনী সম্প্রদায়, বাঙ্গালাদেশের পূর্বখণ্ডে এই নামে এক শ্রেণীর সম্প্রদায় আছে। বঙ্গে যখন মুসলমান অধিকার, তখন রামকৃষ্ণ গোসাই নামে এক ব্যক্তি এই সম্প্রদায় প্রবৰ্ত্তিত করেন। এই সম্প্রদায়ীরা বলে যে রামকৃষ্ণেরও পূৰ্ব্বে জগন্মোহন গোসাই নামে এক ব্যক্তি এই ধৰ্ম্মোপাসনার স্বত্রপাত করিয়া গিয়াছিলেন বলিয়া তাহারই নামে সম্প্রদায়ের নামকরণ হইয়াছে। প্রবাদ আছে, জগন্মোহন উৎকলের একজন রামানন্দী বৈষ্ণবের নিকট উপদেশ গ্রহণ করিয়া ভেক ধারণ করেন । জগন্মোহনের শিষ্য গোবিন্দ গোসাই, গোবিন্দের শিষ্য শাস্ত গোসাই, এই শাস্তের শিষ্য রামকৃষ্ণ গোসাই । রামকৃষ্ণের সময়ই এই মতের সমধিক প্রচলন হয় । এই সম্প্রদায়ের লোকের বলে যে নুনাধিক পাচহাজার লোক এখন এই সম্প্রদায়ভুক্ত। বাঙ্গালার পুৰ্ব্বাঞ্চলে ইহাদের অনেকগুলি আখড়া আছে । আখড়ার প্রধান পুরুষের উপাধি মোহান্ত । শিষ্যদিগের অভীষ্ট সিদ্ধ হইলে তাহার আখড়ায় মানসিক ভোগাদি প্রদান করে, এইরূপে সংগৃহীত অর্থ ও দ্রব্যাদি দ্বারাই ঐ সকল আখড়ার ব্যয় চলে। ইহারা নিগুৰ্ণ উপাসক, কোন সাকার দেবতার অর্চনা করে না । গুরুকেই মূৰ্ত্তিমান পরমেশ্বর বলিয়া স্বীকার করে ও তাহাকেই ত্ৰাণকৰ্ত্তা বলে । দীক্ষাকালে ইহার “গুরু সত্য” এই বাক্য উচ্চারণপূর্বক গুরুকে প্রত্যক্ষ দেবতা বলিয়া স্বীকার করে ও তাহার নিকট ব্ৰহ্মনাম গ্রহণ করিয়া তাহার উপাসনা অবলম্বন করে। ইহাদের কোন সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ নাই, কতকগুলি ধৰ্ম্মসঙ্গীতই প্রধান অবলম্বন । এই সকল সঙ্গীতের নাম নিৰ্ব্বাণ-সঙ্গীতজ্ঞ ।

  • १५itन 4क ठेौ भिक्तं!१-नत्रौङ छक,ऊ श्ल--

¥tfafo xtaw ! जापूछ लाई, भू4ञ्चक्र सङ्ग ८कभम छाप्न थाह । झाफ़ि ब्र नरूण मtब्रt, यडूब्र गरन ज७ झाँका, काळु कttग अt ६ अकj नtई t