পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারায়ণস্বামী এ সময় তাহার প্রায় লক্ষাধিক শিষ্য। সকলেরই বিশ্বাস . স্বামী নারায়ণ শ্ৰীকৃষ্ণের অবতার। ১৮২৫ খৃষ্টাব্দে ২৬এ মার্চ, খৃষ্টানপুঙ্গব বিসপ হিবরের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয়। বিসপगरुिल স্বাধী নারায়ণ সম্বন্ধে অনেক কথা লিখিয়াছেন।* * যখন স্বামী বিসপের সহিত দেখা করিতে আসেন, তখন তাহার সহিত ছুইশত সশস্ত্র অশ্বারোহী ও বহুসংখ্যক সশস্ত্র পদাতি ছিল। তথন স্বামীর সমস্ত কেশজাল পঙ্ক হইয়াছে, শ্বেত শ্মশ্র বক্ষের উপর ছড়াইয় পড়িয়াছে, বৃহৎ উর্ষীয তাঙ্গর শির শোভিত করিতেছে। তাহার উজ্জল কান্তিদর্শনে বিসপেরও মনে একটু ভক্তির উদ্রেক হইয়াছিল। বিশপ স্বানীর মুখে তাছার মত শুনিতে চাহেন। স্বামিজী বলিয়াছিলেন, ‘ভূবনস্রষ্ঠ ঈশ্বর এক বই দুই নহে। যে তাহাকে তদগদচিত্তে । ভাবে, তিনি তাহারই হৃদয়ে বাস করেন। সমস্ত জগৎ তাহরই নিয়মে পরিচালিত হইতেছে। আমি তাহাকেই শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়া জানি । তিনিই ব্রহ্ম। এই যে কৃষ্ণমূৰ্ত্তি দেখিতেছ, প্রকৃত ইহা ঈশ্বরের মুষ্ঠি নহে। সেই ঈশ্বরকে অনায়াসে লাভ করিবার জন্য এই কমনীয় মূৰ্ত্তির আমরা পূজা করি, ভাবন করি। সেই ঈশ্বর মানবের পরিত্রাণের জন্ত খৃষ্টান, মুসলমান, হিন্দু প্রভৃতি সকল জাতির মধ্যেই অবতীর্ণ হইয়া | ছেন । ভক্তগণের উদ্ধারের জন্তু এই কৃষ্ণরূপেও তিনি অবর্তীর্ণ হইয়াছিলেন। ঈশ্বরের নিকট জাতিভেদ নাই। সকলেই একজাতি, একবর্ণ। পরস্ত্রকাতরতা ও ধনলোভ মহাপাপ। আমি শিষ্যগণকে এই মহাপাপ হইতে নিলিপ্ত থাকিতে উপদেশ দিই। জীবন্ততাও মহাপাপ। সৰ্ব্বজীবে দয়াপ্রদর্শনই শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম ।” । ১৮৮৬ সংবতে ( ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে ), গঢ়ড়াগ্রামে কাঠসদ্ধারের বাটতে স্বামিজী একট বৃহৎ মনির নিৰ্ম্মাণ করেন। উক্ত বর্ষে জ্যৈষ্ঠমাসে শুক্লদশমীতে তিনি দেহ বিসর্জন করেন । । | | শিষ্যগণ তাতার পাথরের পাদুকা উক্ত মন্দিরে পূজার্থ স্থাপন । করেন। এতদ্ভিয় যেখানে যেখানে গিয়া স্বামিজী ধৰ্ম্মপ্রচার । করেন, সেই সেই স্থানেই গঙ্গর শিষ্যগণ তাহার স্মরণার্থ | ‘চৌড়া’ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। তাহার মৃত্যুর পরও গুজরাত ও কাঠিয়াবাড়ের বহু সহস্ৰ । লোক তাহার মতামুবর্তী হইয়াছে । এই সকল লোক স্বদেশীয় লোকদিগের নিকট কত যে নিগ্রহ, কত ধে উৎপীড়ন गश् | করিয়াছে, তাছ। বর্ণনার অতীত । শত শত লোক প্রাণ দিয়াছে, ! তথাপি স্বামিজীর প্রতি র্তাহাদের আটল ভক্তি পরিত্যাগ করিতে | | | |

  • Bishop Heber's Journal (4to ed. ) Vol, II. p. 140-144f. !

[ 8b, ) নারায়ণী - - পারে নাই। অন্ধ বিশ্বাসে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক স্বামী নারায়ণের মত মানে এবং সেই মতানুসারে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করে। স্বামী নারায়ণ শিক্ষাপত্র’ নামে ২১২ শ্লোকে একথানি উপদেশগ্ৰন্থ ও ৫০ • শ্লোকে তাহার টীকা লিথিয় গিয়াছেন। এতদ্ভিন্ন এই সম্প্রদায়িগণের মত বিস্তৃতভাবে বুঝাইবার জন্য ২৪০০০ শ্লোকে ‘সৎসঙ্গজীবন’ নামে একখানি বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করিয়া গিয়াছেন । ১৮২১ খৃষ্টাব্দে তাহার মত বহুল প্রচারিত হইলে তিনি অযোধ্যা হইতে রামপ্রতাপ ও ইচ্ছারামকে আনাইয়াছিলেন। তিনি আপনার গদী দুইভাগে বিভক্ত করিয়া দেন—উত্তর ভাগ ও দক্ষিণ ভাগ । উত্তর ভাগের গদী আহ্মদাবাদে ও দক্ষিণভাগের গদী বড়তালে প্রতিষ্ঠিত । র্তাহার মৃত্যুর পর রামপ্রতাপের পুত্ৰ অযোধ্যাপ্রসাদ উত্তরভাগে ও ইচ্ছারামের পুত্র রঘুবীর দক্ষিণভাগে আচার্য্যপদ লাভ করেন। এখন আহ্মদাবাদে অযোধ্যাপ্রসাদের পুত্ৰ কেশবপ্রসাদ ও বড়তালের গদীতে রঘুবীরের ভাতুপুত্র ভগবৎপ্রসাদ অধিষ্ঠিত আছেন। নারায়ণাবলী, ঔদ্ধদেহিক ক্রিয়াবিশেষ। দক্ষিণাত্যে শৈব গোস্বামীরা পালন করিয়া থাকেন । র্তাহার বলেন নে শঙ্করাচার্য এই সংস্কার প্রবর্তন করেন। নারায়ণাশ্রম (জী) নারায়ণন্ত আশ্রম। তীর্থভেদ। “বারাণসী মধুপুরা পম্পী বিন্দুসরস্তথা । নারায়ণাশ্রমে লন্দা সীতা রামাশমাদয়ঃ " " ভাগ ৭১৪৷২৬ ) নারায়ণাশ্রম, নৃসিংহাশয়ের শিষ্য । ইহার রচিত অদ্বৈত দীপিকাবিবরণ, ভেদধিক্কারসংক্রিয়া, নারায়ণাশ্রমীয় প্রভৃতি ংস্থত গ্রন্থ পাওয়া যায় । নারায়ণাস্ত্র ( ক্লী ) নারায়ণস্ত অস্ত্রম | বিষ্ণুর অস্ত্রভেদ | শঙ্খ, চক্র, গদা ও থঙ্গা ইহা নারায়ণের অস্ত্র । "হরিনারায়ণাস্ত্রেণ রুদ্রং বিবাধ কোপবান । নারায়ণং পাশুপতমুভেহস্থে ব্যোমি রোধিতে ॥” ( বরাহপু ) নারায়ণী ( পুং ) বিশ্বামিত্ৰপুত্রভেদ । নারায়ণী (স্বী ) নারায়ণন্তেবমিতি অণু উীপ। দুর্গ । “সৰ্ব্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সৰ্ব্বার্থসাধিকে । শরণে ত্র্যম্বকে গেরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।” ( মার্কণ্ডেয়পু ৯১৯ ) সুপাশ্বাপা পীঠস্থানে এই মূৰ্ত্তি বিরাজিত। (দেবীভাগ ৭২০৬৬) দেবীপুরাণে ভগবতীর নারায়ণী নামের নামনিরুক্তি লিখিত আছে, দেবী ভগবতী নার অর্থাৎ জল বা নরসমূহের আশ্রয়স্বরূপ বলিয়া তাহার নাম নারায়ণী । দেবীই চরাচর সকল জগতে পরিব্যাপ্ত রহিয়াছেন।