পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারায়ণ-বন [ 88 নারায়ণবলি গবাসম্বন রাজার চারিট পুত্র ছিল, ১ম আকাশ, ২য় উচ্ছল, ৩য় বাঙ্কটেশ এবং ৪র্থ বৰ্ম্ম । পিতার মৃত্যুর পর আকাশরাঙ্কু সিংহাসনে অধিরোহণ করেন। বর্তমান নারায়ণ •বন নগরের তিন মাইল দক্ষিণে ইনি আকাশরাজপুর নামে একটা নগর এবং আকাশরাজ-কোট্টাই নামে দুইটী দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন। এক্ষণে উছার ভগ্নাবশেষ মাত্র দৃষ্ট হয়। আকাশরাজের যথাসময়ে পুত্রকন্ত না হওয়ায় তিনি পুত্রেষ্টিযাগ করিতে কৃতসংকল্প হন। যজ্ঞস্থলের সীমানির্দেশকালীন তিনি একটা স্বর্ণপদ্ম প্রাপ্ত হন এবং তাছাতে একটা স্বর্ণবর্ণের কন্যা রহিয়াছে দেখিলেন। পদ্ম হইতে জন্ম হেতু এই অযোনিসম্ভব। কস্তার পদ্মাবতী নাম রাখেন। যজ্ঞ সমাধা হইলে যথাসময়ে রাজার একটী পুত্র জন্মিয়ছিল । পদ্মাবতী বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, নারায়ণবনে ভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেন। এক দিন ব্যঙ্কটেশস্বামী এখানে পদ্মাবতীকে দেখেন এবং তাহার রূপে মুগ্ধ হইয়া কর প্রার্থনা করেন ; তাহাতে পদ্মা অসম্মতি প্রকাশ করিলে ব্যঙ্কটেশ রাজার নিকট কহিলেন । রাজ শাস্ত্রানুসারে বিবাহ দিতে স্বীকৃত হইলে রাঙ্কটেশস্বামী নারায়ণবনে পদ্মাবতীর পাণিগ্রহণ করেন, রাজার প্রার্থনানুসারে তাছারা এই বনে অবস্থান করিলেন এবং তঁাহাদের বাসের জন্তু রাজা মনির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । অস্থাপি তিনি এখানে কল্যাণ-বাঙ্কটেশ নামে পূজিত হইয়। থাকেন । আকাশরাজের মৃত্যুর পর তদীয় পুত্র বসম্বর্ণ রাজা হন। অপুত্রক থাকায় তদীয় পিতৃব্য ব্যঙ্কটেশ রাজা হইলেন । ইহার বংশধরেরা এখানে সপ্তম পুরুষ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। পরে রামরাজ নামে জনৈক রাজা উক্ত বংশের শেষ রাজা রিবন্ধকে পরাজিত করিয়া রাজ্য অধিকার করেন। রামরাজের বংশধরেরা এই স্থানে একাদশ পুরুষ পৰ্য্যস্ত রাজত্ব করিলে পর বিজয়নগররাজ র্তাহাকে পরাজিত ও তদ্রাজ্য হস্তগত করিয়া লন। অতঃপর কারকেট-নগরের পোলিগারেরা এই স্থান অধিকার করিয়া এখন পর্য্যস্ত ভোগদখল করিতেছেন । বৰ্ত্তমান সময়ে পোলিগারের জমিদার নামে অভিহিত হইয়াছেন । এখন ইহার কারবেট নগরে বাস করিতেছেন। পূৰ্ব্বে ইহাদের কোন আত্মীয় নারায়ণবনে বাস করিতেন। সেই অবসবাটী পুরাতন এবং ভগ্ন হইয়া গিয়াছে। কল্যাণবন্ধটেশ-মন্দিরের বিগ্রহের মূর্তি তিরুপতির বিগ্রহের সদৃশ, কিন্তু অপেক্ষাকৃত বড়। স্ত্রীরামানুজমতাবলম্বীরা ঐ বিগ্রহের পূজা করিয়া থাকেন। দেবসেবার্থ জমীদারের কয়খনি গ্রাম দান করিয়াছেন। এখানে বেদপাঠের চর্চা বিলক্ষণ আছে। ইহার নিকটেই পদ্মাবতী ও থামুমার মন্দির আছে । মন্দির দুইটী ৫াণিট প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত। প্রবাদ আছে, বেঙ্কটেশস্বামী রঙ্গনাথ শ্ৰীবল্লীপুরের বিষ্ণু শেঠ নামক এক বণিকের থামু নামী এক কস্তার পাণিগ্রহণ করিয়া নারায়ণবনে আসিয়া একত্র বাস করেন । এই মন্দির হইতে প্রায় দেড় মাইল দূরে অগস্ত্যেশ্বরের মন্দির। এই মন্দিরটা অতি পুরাতন নীল ( মরকত ) পাথরে নিৰ্ম্মিত এবং পরিষ্কার কারুকার্য্যবিশিষ্ট । এই মন্দিরের গাত্রসংলগ্ন অনুশাসন পাঠে, জানা যায়, কুলোর রাজার একাদশ বর্ষ রাজত্বকালে ৮২৬ শকাব্দে বেলুরপঙ্ক মণিবাস নাগদেব অগস্ত্যেশ্বরদেবের ব্যয়নিৰ্ব্বাস্থার্থ চালুক্যপুর নামে এবং ১০৭৮ শকে উৎকীর্ণ অপর একখানিতে রাণী ত্রিভুবনমল্লদেব | দেবসেবার জন্ত কতকগুলি জমি দান করেন । | এই মন্দির হইতে প্রায় বার শত ফিটু অন্তরে পূৰ্ব্বোক্ত মহিষাসুরমর্দিনীর মন্দির কেমপুলাপালয়ম্ নামক স্থানে বিদ্যমান রহিয়াছে। দেবীর মূর্তি অষ্টভূজা, একপদ সিংহের উপর ও অপর পদ সোমকামুরের উপর। মূৰ্ত্তি প্রায় ৮ ফিটু উচ্চ হইবে । শ্রাবণ মাসে ১৫ দিন ধরিয়া দেবীর উৎসব হইয়া থাকে। এখানকার পূজারির ব্রাহ্মণ নহে, ইহারা তকশ্রেত্ৰীয় নামক নীচ শূদ্র । ইহারা সময় সময় দেবীর অৰ্চনাকালীন ব্রাহ্মণদিগেরও পৌরোহিত্য করে এবং পূজার সময় যজ্ঞোপবীত ধারণ করে মাত্র, সংস্কৃত না জানিলেও ইহার বেশ মন্ত্রেচিচ্চারণ করিয়া থাকে । ۰ دهه নারায়ণবন্দ্য, একজন বঙ্গবাসী বৈয়াকরণ । ইনি ১৬৬৫ পৃষ্টাব্দে ধাতুরত্নাকর ও সারাবলী নামে সংস্কৃত ব্যাকরণ প্রণয়ন করেন । নারায়ণবৰ্ম্মন (ত্রি) নারায়ণময়ং পরং বৰ্ম্ম। নারায়ণময়, শ্রেষ্ঠ নারায়ণকবচ । দেবরাজ ইঞ্জ এই নারায়ণকবচ দ্বারা রক্ষিত হইয়। রিপুসেন সকল অবলীলাক্রমে জয় করিয়া ত্রিলোকীর ঐশ্বৰ্য্য সম্পত্তি ভোগ করিয়াছিলেন । এই কবচের শেষ বিবরণ ভাগবতের ৬ষ্ঠ স্বন্ধে ৮ম অধ্যায়ে লিখিত আছে। নারায়ণবৰ্ম্ম, গোঁড়াধিপ ধৰ্ম্মপালের একজন মহাসামন্তাধিপতি । [ পালরাজবংশ দেখ। ] নারায়ণবলি (পুং ) নারায়ণায় নারায়ণমুদ্ধিগু দেম্বো বলিঃ। মুতপতিতাদির প্রায়শ্চিত্তাত্মক কৰ্ম্মবিশেষ । দুৰ্ম্ময়ণ মুতের অর্থাৎ অবৈধ আত্মঘাতিদিগের ঔপ্তদেহিক ক্রিয়া সম্পাদনের জন্ত নারায়ণ প্রভৃতি পঞ্চদেবতার উদেশে দেয় বলি ।