পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নায়িকা [ २¢ ] নায়িকা এবং মধ্যম লজ্জাবতী তাহীকে মথ্যা কহে । সমস্ত রতিকীৰ্য্যে কুশল, কামান্ধ, গাঢ়তারুণ্য, প্ৰগলভত, ভাবোন্নত ও অল্পলজ্জাযুক্ত হইলে তাহাকে প্ৰগলভ নাসিক কহে। মধ্য ও প্ৰগলভানায়িকা ধীর, অধীর, ধীরাধীরা ভেদে ৬ প্রকার। { ধারানায়িকা দেখ। ]; • পরকীয়ানায়িক পরোঢ় ও কল্পক এই দুই প্রকার । উৎসবাদিতে নিরতা, কুলট ও লজ্জাবিহীন হইলে তাহাকে পরোঢ়নায়িক কহে। যাহার বিবাহ হয় নাই, নবযৌবনা ও লজ্জাবতী, তাহার নাম কন্ঠক । | ধীর, কলাপ্ৰগলভ এবং বেঙ্গ হইলে তাহাকে সামান্ত । নায়িক কহ যায়। এই সামান্তনায়িক নিগুণে দ্বেষ করে না বা | অধিকগুণে অমুরক্ত হয় না । কেবল বিত্তমাত্র অবলোকন করিয়া বাহিরে অনুরাগ প্রদর্শন করিয়া থাকে। বিজ্ঞান হইলে পুরুষকে গৃহ হইতে বাহির করিয়া দেয়। তস্কর, ; পওক, মূৰ্খ, সুখপ্রাপ্তধন, যাহার নিকট ধন ইচ্ছা করিলেই পাওয়া যায়, লিঙ্গী ও ছন্নকাম এই সকল লোক প্রায় ইহাদের প্রিয়-হইয়া থাকে । ইহার মদনায়ত্ত এবং কোন কোন ! স্থলে সত্যায়রাগিণী। এই নায়িক রক্ত বা বিরক্ত হউক, ইহাতে রতিসুলভ। ইহা আবার ৮ প্রকার। যথা—স্বাধীনভত্ত্বক, থাগুত, অভিসারিক, কলহান্তরিত, বিপ্রলব্ধ, প্রোষিতভর্তৃক, বাসকসজ্জা ও বিরহোৎকষ্টিতা। কান্ত রতিগুণে আকৃষ্ট | হইয়া যাহার সঙ্গ পরিত্যাগ করে না এবং যে বিচিত্র বিভ্রমাসক্ত, তাহাকে স্বাধীনভর্তুক কহে । প্রিয় অন্তসম্ভোগচিহ্নিত হইয়া যাহার পাশ্বে আগমন করে এবং যে ঈর্ষাকষায়িত তাহাকে খণ্ডিতানায়িকা কহে। যে মন্মথবশংবদ হইয়া কান্তকে অভিসার করায় বা স্বয়ং অভিসরণ করে, তাহাকে অভিসারিক কহে । ক্ষেত্র, বাটী, ভগ্ন দেবলয়, দূতীগৃহ, বন, শ্মশান, নদীপ্রভৃতির তট ও অন্ধকার যে কোন স্থান, এই ৮ট অভিসার করিবার স্থান । যে ক্রোধপুৰ্ব্বক চাটুকার প্রাণনাথকে পরিত্যাগ করিয়া পরে সস্তুপ্ত হইয়া থাকে, তাহাকে কলহান্তরিত নায়িক কহে । প্রিয় সঙ্কেতস্থাননির্দেশ করিয়া পরে নিকটে আসে না ও সেই হেতু যে নিতান্ত অবমানিত, তাহাকে বিপ্ৰলন্ধানায়িকা কহে । নান। কার্যাবশতঃ যাহার নায়ক দূরদেশে গমন করিয়াছে, মনোভাবছঃথার্তা তাহাকে প্রোষিতভৰ্ত্তকানায়িক কহে । • যে প্রিয় সমাগম হইবে জানিয়া বাসর সাজায় ও নিজে সাজসজ্জা করে, তাহাকে বাসকসজ্জা কহে । যাহার প্রিয় আসিবে বলিয়া কৃতনিশ্চয় ছিল, হঠাৎ কোন কারণে যদি না আসিতে পারে, তাহা হইলে সেই বিরহাতুরাকে উৎকষ্ঠিতা X - নায়িক কহে। ইত্যাদি নানাপ্রকার নায়িকার ভেদ আছে, বাহুল্য ভয়ে তাহ লিখিত হইল না । 9 এই সকল নায়িকার অষ্টাবিংশতি সত্ত্বজ অলঙ্কার আছে। ইহার মধ্যে ভাব, হাব ও হেলা এই তিনটী অঙ্কজ । শোভ, কাস্তি, দীপ্তি, মাধুর্য, প্ৰগলভতা, ঔদার্ষ্য ও ধৈর্য্য অযত্নসিদ্ধ। লীলা, বিলাস, বিচ্ছিত্তি, বিবেবাক, কিলকিঞ্চিত, মোট্রায়িত, কুট্রমিত, বিভ্রম, ললিত, মদ, বিকৃত, তপন, মেীপ্ত, বিক্ষেপ, কুতূহল, হসিত, চকিত ও কেলি এই অষ্টাদশ প্রকার অলঙ্কার স্বভাবজ । নিৰ্ব্বিকার চিত্তে প্রথম বিক্রিয়ার নাম ভাব, অভিমত নায়কদর্শনে নায়িকার প্রথমে ভাব উপস্থিত হয়। ভ্রনেত্ৰাদি বিকার স্বারা সম্ভোগেচ্ছ প্রকাশ এবং যদি অল্প পরিমাণে বিকার লক্ষিত হয়, তাহা হইলে তাঁহাকে হাব কহে । যে সময় নায়িকার অত্যন্ত বিকার লক্ষিত হয়, তাহাকে হেলা কহে । রূপ ও যৌবনবশতঃ যে সৌন্দৰ্য্য এবং ভোগাদি দ্বারা যে অঙ্গভূষণ, তাহাকে শোভা কহে। মদনবন্ধিত ট্যুতির নাম কান্তি । অতি বিস্তীর্ণ কাস্তির নাম দীপ্তি। সকল অবস্থাতেই মধুরতাকে রমণীয়তা কহে। ভয়শূন্যের নাম প্রাগলভ্য। সৰ্ব্বদ বিনয়ের নাম ঔদার্য্য। আত্মশ্লাঘারহিত আচঞ্চল মনোবৃত্তির নাম ধৈর্য্য । অঙ্গ, বেশ, অলঙ্কার, প্রেমবাক্য প্রভৃতি দ্বারা প্রিয়ের অনুকরণ করিলে তাহাকে লীলা কহে । প্রিয়সন্দর্শনাদি জন্য যান, স্থান-আসন প্রভৃতির বৈচিত্র্যকরণের নাম বিলাস । কাস্তি বৃদ্ধি হয় এইরূপ অলঙ্কার রচশার নাম বিচ্ছিত্তি। অত্যন্ত গৰ্ব্ববশতঃ প্রিয় বস্তুতে অনাদরের নাম বিবেবাক । প্রিয়জনের সঙ্গমাদি হর্ষজনিত হান্ত, অনশ্রীরোদন, ভয়, মান, শ্রম প্রভৃতির সম্মিলনের নাম কিলকিঞ্চিত। প্রিয়ায়ত্তচিত্তে প্রিয়তমের কথা প্রভৃতিতে কর্ণকওয়নাদির নাম মোট্টায়িত। প্রিয়তম কর্তৃক কেশ, স্তন ও অধরাদির গ্রহণে মস্তব ও হস্তাদির যে কম্প, তাহাকে কুটুমিত কছে । প্রিয়তমের আগমনে অস্থানে অলঙ্কার ধারণের নাম বিভ্রম। সুকুমারতাবশতঃ অঙ্গবিক্ষেপকে ললিত, যৌবনকালে গৰ্ব্বজাত বিকারকে মদ, বলিবার সময় লজ্জাবশতঃ আকথনকে বিকৃত, প্রিয়বিরহে কন্দৰ্পবিকারচেষ্টিতকে তপন, যে বস্তু জানা আছে সেই বস্তু যেন অজ্ঞাত বলিয়া প্রিয়তমের নিকট জিজ্ঞাসাকে মৌদ্ধ, প্রিয়তম সমীপে ভূষণের অৰ্দ্ধ রচনা, প্রিয়তমের প্রতি নিরীক্ষণ ও মন্দ মন্দ রহস্তালাপকে বিক্ষেপ, রমণীয় বস্তু দর্শনে ঔৎসুক্যকে কুতূহল, যৌবনপ্রকাশজাত নিরর্থক হস্তিকে হসিত, প্রিয় সমীপে অতি অল্প কারণে ভয় বিহবল হইলে তাহাকে চকিত এবং বিহারকালে প্রিয়তমের সহিত ক্রীড়াকে