পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नांमलांद्र ാ নামের আদিতে যুক্তাকর না থাকে। ইহাদিগের নামের জন্তে 'দা' থাকিবে। যথা—সুখদ, বস্থদা, যশোদা ইত্যাদি। পারদরুক্ষত্রের মতে—পুরুষের নাম তদ্ধিতাপ্ত হওয়া বিধেয় নহে । কিন্তু স্ত্রীর নাম তদ্ধিতান্ত হইলে তত দোষাবহ মহে। যথা—গান্ধারী, কৈকেয়ী ইত্যাদি । নামকরণে ব্রাহ্মণের শর্শ্বন ও দেব, ক্ষত্রিয়ের বর্ধন ও ত্ৰাত, বৈশ্বের ভূতি ৪ গুপ্ত এবং শূদ্রর দাস অস্তে থাকিবে, এবং সকলেরই পূৰ্ব্বে ঐ শব্দ থাকিবে। কালক্রমে নামকরণসংস্কার । অনেক পরিবর্ধিত হইয়াছে। জাতবালকের একাদশ অথবা ! দ্বাদশ দিনে নামকরণ সংস্কার প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না। দাক্ষিণাতো বরং এ নিয়ম অনেকটা প্রতিপালিত হইয়া থাকে। এখন এদেশে অল্পপ্রাশনের সময়ই এই নামকরণ হইয়া থাকে। নামকরণে এই সকল নক্ষত্র বিহিত হইয়াছে, অশ্বিনী, রোহিণী, মৃগশিরা, পুনৰ্ব্বস্ব, উত্তরফাল্গুনী, স্বাতি, অমুরাধা, । উত্তরাষাঢ়, শ্রবণ, ধনিষ্ঠ, শতভিষা, উত্তরভাদ্রপদ ও রেবতী । - -** * * . [ ه د ] নামদেব, একজন দেবভক্ত। যে লশ্নের প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম ও দশম স্থানে শুভগ্রহ থাকিবে, } সেই লগ্নে নামকরণ প্রশস্ত। ( জ্যোতিঃসারস” ) নামকল, ১ মাঙ্গাল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত সেলস্ (সালেম) জেলাস্থ একটা তালুক। এই তালুকের উত্তরপূৰ্ব্বভাগ পাহাড়ে । ঢাকা এবং দক্ষিণপশ্চিমাংশে সমতলক্ষেত্র বিদ্যমান। চাউল ও অন্যান্ত শস্ত এখানে বহু পরিমাণে উৎপন্ন হয়। ২ মাজাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত, সেলম ( সালেম) জেলার একট প্রধান নগর। অক্ষা ১১১৩১৫ উঃ এবং দ্রাঘি" ১৮১২৪ খৃঃ। এই স্থানে নামকল তালুকের প্রধান কৰ্ম্ম । চারী অবস্থিতি করেন । একজন ডেপুটী কালেক্টরও এই | স্থানে থাকেন। ৩০ • ফিট উচ্চ এক পাহাড়ের উপরে এই স্থানট নিৰ্ম্মিত । ইহা এক সময় ইংরাজদিগের অধিকৃত হয়, পরে হায়দারমাল উহা পুনরধিকার করেন। ইহা বিষ্ণুর । আবাসস্থান বলিয়। কথিত । এখানে দুইট অতি প্রাচীন | বিষ্ণুমন্দির আছে। নামগ্রাহ (ত্রি) নাম গুয়াতি গ্রহ-অণু ১ নামগ্রাহক । ভাবে ঘএ । ( পুং ) ২ নামগ্রহণ। “দেবৈনসাৎ পিত্রাৎ নামগ্রাহাৎ” ( ঋক্ ১০১৷১২ ) নামগ্ৰাহম (অব) নাম গ্রহণমূল নামগ্রহণ করিয়া । “নামগ্রাহ্মরোদীৎ সা ভ্রাতরে রাবণাস্তিকে ।” (ভট্ট) নামদার খ, বেয়ারের অন্তর্গত ইলীচপুরের একজন শাসনকৰ্ত্তা। । সলাবৎখায় পুত্র। পিতার মৃত্যুর পর নামদার খ৷ ইলীচপুরের শাসনকর্তৃপদে আরূঢ় হন । তিনি বিশেষ বিজ্ঞতাসহ শাসনভায় বহন করায় ইলীচপুরে প্রায় ২ লক্ষ টাকা সম্পত্তির নামদেব এক জায়গীর প্রাপ্ত হন। তৎপরে নবাব উপাধি ধারণপূৰ্ব্বক ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে জীবলীলা সম্বরণ করেন। তাহার পর তাহার পুত্র ইব্রাহিম খাঁ তাহার পদে অভিষিক্ত হন। বামদেবীর দৌহিত্র। ইনি অতি শিশুকাল হইতেই কৃষ্ণভক্ত ছিলেন, সদাই কৃষ্ণপূজা করিতেন। একদা বামদেব স্থানান্তরে যাইবার সময় নামদেবকে বলিয়া গিয়াছিলেন, তুমি প্রতিদিন কৃষ্ণবিগ্রহকে দুগ্ধ প্রদান কয়াইবে । নামদেব দুগ্ধ লইয়া' কৃষ্ণবিগ্রহের নিকট উপস্থিত হইয়া বিগ্রহকে দুগ্ধপান করিপ্লার জন্ত বারবার অনুরোধ করিতে লাগিলেন, অবশেষে যখন দেখিলেন যে, কৃষ্ণ দুগ্ধপান করিলেন না, তিনি আত্মহত্যা করিতে উদ্যত হইলেন। তখন হরি স্বয়ং আবির্ভূত হইয় তাহার হস্তধারণ করিয়া দুগ্ধপান করিলেন। এইরূপে কএকদিন গত হইলে তাহার মাতামহ ফিরিয়া আসিলেন । তিনি এই ব্যাপারদর্শনে প্রত হইলেন। রাজা ( বাদশা ) এই ব্যাপার শুনিয়া নামদেবকে নিজ সভায় লইয়। কিছু আশ্চৰ্য্য দেখাইতে বলিলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই সম্মত হইলেন না। অনন্তর একদিন এক মৃতবৎস সমীপে তাহার প্রস্তুতি গাভি ক্ৰন্দন করিতেছে দেখিয়া, রাজা তাহাকে বলিলেন—এই গাভি বংসের জন্য রোদন করিতেছে দেখিয়াও কি, তোমার মনে দয়া হইল না। পরে নামদেব বৎসকে বাচাইয়। দেন। একদা কোন বণিক তুলাদান কৰ্ম্মে তাহাকে সুবর্ণদান করিতে ইচ্ছা করিয়া তাহকে আহবান করেন । তিনি একটা তুলসীপত্রে কৃষ্ণনাম লিখিয়া তৎপরিমিত সুবর্ণ প্রার্থনা করেন । কিন্তু বণিকের ভাণ্ডারের সমস্ত ধনরত্নও তাহার সহিত তুল্য হইল না। তখন সেই ব্যক্তি কৃষ্ণনামমাহাস্থ্য দেখিয় তাহার নিকট কৃষ্ণনামে দীক্ষিত হইলেন। নামদেব রঙ্গনাথঠাকুরের মন্দির পশ্চাতে বসিয়া কৃষ্ণনাম গান করাতে রঙ্গনাথের মন্দিরদ্বার সেইদিকে ফিরিয়াছিল । ইহার চরিত্রে এইরূপ অনেক অদ্ভুত ঘটনার উল্লেখ আছে। (ভক্তমাল) নামদেব, মহারাষ্ট্রর একজন প্রসিদ্ধ ভক্তকবি। তাহার পিতার নাম দামাশেঠ ও মাতার নাম গোনাই । বহুদিবসাবধি ইহদের সস্তানাদি না হওয়ায়, অবশেষে পন্টরপুরন্থ বিঠোবা দেবের স্থানে উপাসনা করিতে থাকেন। কথিত আছে, দামাশেঠী একদিন প্রাতে ভীমানদীতে স্বান করিয়া প্রত্যাবৃত্ত হইবার সময় পথিমধ্যে ১২ বৎসর বয়স্ক এই নামদেবকে হঠাৎ প্রাপ্ত হন ও তাহাকে বাট আনিয়া অপত্যনিৰ্ব্বিশেষে প্রতিপালন করেন । নামদেব নিজে কহেন যে, তিনি তাহার মাতা গোমাইএর প্রখম সন্তান। র্তাহার পিতা জাতিতে সিম্পি অর্থাৎ দরজী ছিলেন। তাছার স্ত্রীর নাম রাজাই ।