পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারিকেল দ্বীপ ' জাগ দিতে লাগিলে, তৈল জলের উপর ভাসিয়া উঠে। এই ভৈল অতিপরিষ্কার ও তরল। সাধারণতঃ নারিকেলের শাস বাণীযন্ত্রে 'ফেলা পেষণক্রিয়া দ্বারা নারিকেলতৈল প্রস্তুত হইয়া থাকে। কোন কোন স্থানে নারিকেলের শাস অঙ্গুক্তিাপে বা পূর্বকিরণে ভাল রূপ শুকাইয়। পরে ঘাণীতে পিষিয়া তৈল প্রস্তুত করে। এইরূপ নানা স্থানে নানা উপায়ে নারিকেল হইতে তৈল বাহির করা হইয়া থাকে। নাতিশীতোষ্ণ দেশে নারিকেলতৈল শূকরের চব্বির দ্যার ঘন ও শুত্র। গ্রীষ্মপ্রধান স্থানে নারিকেলতৈলের রং শুভ্র, এবং জলের স্তায় তরল। টাটুক অবস্থায় ইহা সুগন্ধি থাকে, কিন্তু একটু পুরাতন হইলেই উগ্র গন্ধবিশিষ্ট হয়। য়ুরোপে বাতি ও সাবান প্রস্তুত জষ্ঠ এই তৈলের বহুল ব্যবহার হয়। দাক্ষিণাত্যে রন্ধনক্রিয়, নানা স্থানে প্রদীপে পোড়াইবার জন্য, চিত্রকার্য্যে, সাবান প্রস্তুত করিতে ও গায়ে মাখিবার উদ্দেশে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। যখন অত্যন্ত টাটুকী থাকে, তখন ঔযধার্থেও ব্যবহৃত इहे८ठ cनथ गाग्न । - কোচীনে সৰ্ব্বোত্তম নারিকেলতৈল প্রস্তুত হয়। মাগ্রাজ প্রেসিডেন্সি ও তিরুবাঙ্কোড়ে বিপুল নারিকেলতৈলের ব্যবসা | আছে । মালদ্বীপ ও লাক্ষাদ্বীপে তৈল হয় না। নারিকেলতৈলের আপেক্ষিক গুরুত্ব ৮৯২ । পরীক্ষা দ্বারা জানা গিয়াছে যে, নারিকেলতৈলের সহিত কতকগুলি কঠিন ও বাষ্পীয় অন্ন আছে। গ্লিসিরি অন্ন ইহার একটা প্রধান অঙ্গ। এই তৈল লেবনে কড লিভার তৈলের স্তায় উপকার পাওয়া যায়। ইহা অঙ্ক দ্রব্যের সহিত মিশাইয় নানা প্রকার ঔষধ প্রস্তুত হইয়া থাকে। নারিকেল দ্বীপ, প্রাচীন সংস্কৃত সাহিতা-বর্ণিত একটা দ্বীপ। কথাসরিৎসাগর পাঠে জানা যায়, ভারতীয় বণিকগণ সমুদ্রপথে এই দ্বীপে যাতায়াত করিতেন। এই দ্বীপ কোথায় ? এ সম্বন্ধে মতভেদ অাছে। কেহ বলেন, আন্দামানদ্বীপের নিকট যে নারিকেল গাছ বেষ্টিত ক্ষুদ্র দ্বীপাবলী পৃষ্ট হয়, তাছাই নারিকেলম্বীপ, আবার কাহারও মতে—বর্তমান মালদ্বীপ। চীনপরিত্রাজক হিউএন্‌সিয়াং এই দ্বীপে গিয়াছিলেন। তাহার বর্ণনায় জানা যায়, যে সিংহলদ্বীপ হইতে (১• • • লি ) প্রায় শত ক্রোশ দক্ষিণে নারিকেলীপ অবস্থিত। এরূপ স্থলে উপরোঞ্জ উভয়স্থানকেই প্রাচীন নারিকেল দ্বীপ বলিয়া গ্রহণ করা স্বায় না। তবে কোথায় ? সুমাত্রাদ্বীপের দক্ষিণ । ১৬৯৮-৯ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কাপ্তেন কিলিং সুমাত্রার দক্ষিণে একটী দ্বীপ আবিষ্কার করেন। এই দ্বীপ এখন আবিষ্কৰ্ত্তার [ &8 নারিকেল দ্বীপ সামানুসারে কিলিং’ নামে খ্যাত হইয়াছে বটে, কিন্তু স্থানীয় লোকের ‘কোকো" অর্থাৎ নারিকেলম্বীপ বলিয়াই জানে । হিউএন্‌সিয়াংএর বর্ণনায় এই দ্বীপই প্রাচীন নারিকেল দ্বীপ रुशिग्न भएन झ्म्न । ১৮২৩ খৃষ্টাঙ্গ পর্যন্ত এই দ্বীপের বিশেষ বিবরণ কিছুই পাওয়া যায় নাই। তৎপরে আলেকজণ্ডার হেরার কতকগুলি মলয়দেশীয় স্ত্রী ও পুরুষ লইয়া এই স্থানে যাইয়া বাস করেন । তৎপরে আরও ক একটা উপনিবেশ স্থাপিত হয়। দক্ষিণ কিলিং, উত্তরকিলিং, সেলিম, বেরিয়াল, রস, ওয়াটার, ডাইরেকূস ও হর্সবার দ্বীপপুঞ্জ এই কিলিং দ্বীপের অন্তর্গত । অক্ষা ১১ ৫• দক্ষিণ ও দ্রাঘি ৯৬ ৫১/৩% পুৰ্ব্ব মধ্যে উত্তর কিলিং দ্বীপ অবস্থিত। এই সমস্ত দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বড় বড় গুলিতে বিশুদ্ধ জল আছে । এখানে নারিকেল, শূকর ও অন্যান্ত গৃহপালিত পশু এবং ইক্ষু পাওয়া যায় । আডমিরাল ফিজরয় বলেন যে, এই দ্বীপের কাকড়ায় নারিকেল ও মৎস্তে প্রবাল ভক্ষণ করে। কুকুরে মৎস্ত ধরে এবং মনুষ্য কচ্ছপপৃষ্ঠে আরোহণ করে অধিকাংশ সমুদ্রপক্ষী বৃক্ষশাখায় থাকে এবং ইদুরের প্রায়ই বড় বড় তালগাছে বাসা বাধে। এখানে সৰ্ব্বদাই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দক্ষিণ কিলিং দ্বীপে ৯ মাইল লম্বা ও ৬ মাইল প্রস্থে একটী অল্পগভীর হ্রদ আছে। এই হ্রদের জল স্থির এবং ইহার চতুর্দিকে অনেক নারিকেল গাছ দৃষ্ট হয়। এখানে মারিকেলভূক্ষক, বিলুস লেষ্ট্রে, দয়া প্রভৃতি নানা প্রকার কাকড় পাওয়া যায় । ইহাদের মধ্যে কাহারও ক্ষুদ্র, কাহার ও লম্বা লেজ আছে এবং পাগুরিপশুর সহিত ইহাদের অনেক সোসাদৃশু পরিলক্ষিত হয়। নারিকেল গাছ হইতে যে সমস্ত নারিকেল মাটিতে পড়ে, তাহ ভক্ষণ করিয়া ইহারা জীবন ধারণ করে। তবে ইহাদের গাছে উঠিয়া নারিকেলপাড়ার কথা, কেবল প্রবাদ মাত্র। ইহাদের সন্মুথের পায়ের অগ্রভাগে অত্যন্ত দৃঢ় ও কাঁচির স্তায় ছিদলবিশিষ্ট দাড়া আছে এবং সৰ্ব্ব পশ্চাৎপদেও ঐরূপ দাড়া দৃষ্ট হয়, কিন্তু এই দাড়া মতান্ত সরু ও অপেক্ষাকৃত ছৰ্ব্বল। নারিকেল বৃক্ষ হইতে পতিত হইলে, উক্ত কাকড়া ঐ নারিকেল লইয়া সম্মুখের পদদ্বয়ের সাহায্যে ইহার ছোবড় তুলিয়া ফেলে। পরে এই ছোবড়াশূন্ত নারিকেলের মালার উপর নিয়ত তাঁহাদের সম্মুখের পায়ের অগ্রভাগ দ্বারা আঘাত করিতে করিতে ছিদ্র করিয়া ফেলে ঐ ছিদ্র দ্বারা উহাদের পশ্চাতের সরু পায়ের সাহায্যে নারিকেলাস্ত্যন্ত্ররন্থ সমস্ত শাল বাহির করিয়া ভক্ষণ করে। ইহায় মৃত্তিকায় গৰ্ত্ত করিয়া তাহার ভিতরে নারিকেলের ছোবড়া