পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মারী যে নারীর হন্তে বা পদে অশ্ব, গজ, বিশ্বতরু, ধূপ, ৰাণ, যব, তোমর ( লৌহশাবল ), ধ্বজ, চামর, মালা, ক্ষুদ্র পৰ্ব্বত, কর্ণভূষণ, বেদিক, শঙ্খ, ছত্র, কমল, মীন, স্বস্তিক, চতুষ্পথ, সৰ্পফণা, উত্তম রথ ও অঙ্কুশ প্রভৃতি যে কোন চিহ্ন থাকে, সে স্ত্রী রাজমহিষী হয়। যাহার মণিবন্ধ নিগূঢ়, হস্ত পদ্মের অভ্যন্তরভাগের স্তার স্বল্পগু, করতল নিয়ও নহে ও উন্নতও নহে সেই সকল স্ত্রীলোক অতীব ঐশ্বর্যশালিনী হয়। নারীদিগের উদ্ধ রেখা থাকিলে সকলপ্রকার সৌভাগ্যলাভ হইয়া থাকে। যে রেখা মণিবন্ধ হইতে উধিত হইয়া করতলের মধ্যভাগ দিয়া মধ্যমাঙ্গুলি পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, তাহাকে উদ্ধরেথ কহে । যাহার অঙ্গুষ্ঠের নিম্নে রেখা অল্প ছিন্নভিন্ন ভাবে থাকে, তাহার আয়ু অল্প এবং ঐ রেখা দীর্থভাবে ছিন্নভিন্ন থাকিলে দীর্ঘায়ু হয় । স্ত্রীলোকের হস্তে এই রেখা থাকিলে শুভ ও না থাকিলে অশুভ হয় । গমনকালে যে নারীর চরণের কনিষ্ঠ কিংবা অনামিকা অঙ্গুলী মৃত্তিকাম্পূষ্ট হয় না অথবা তর্জনী বৃদ্ধাঙ্গুলীর উপর দিয়া যায়, সেই স্ত্রী নিশ্চয়ই কুলটা হয় । যে স্ত্রীর জঙ্ঘার উপরিভাগে দুইটী লোমময় ও “শিরাবিশিষ্ট মাংসপিণ্ড থাকে, উদর কলসীর ষ্ঠায় স্থল ও গুহাদেশ বামাবর্ত হইয়। অল্প নিম্ন হয়, সে স্ত্রী চিরদুঃখিনী হয়। যদি গ্রীবাদেশ ক্ষুদ্র ও যোনি দীর্ঘাকৃতি হয়, তবে তাহার কুলধ্বংস হয় । যে স্ত্রীর গল! মোট ও চক্ষু টেরা বা পিঙ্গলবর্ণ অথবা চঞ্চল হয়, সে অত্যন্ত প্রচণ্ডী ও কলহপ্রিয়া হইয়া থাকে। যে নারীর গণ্ডদেশ শ্বেতবর্ণ ও কৃপবৎ নিম্ন, সে সর্তীর দ্যায় থাকিলেও ব্যভিচারিণী হইবে । যাহার কপালে লম্বমানরেখা থাকে, তাহার দেবর নষ্ট হয় । নারীদিগের উদরে ঐ লম্বমান রেখা থাকিলে তাহার শ্বশুরের মৃত্যু ও নিতম্বের উপরিভাগে ঐ রেখা থাকিলে স্বামী বিনষ্ট হয় । যাহার অধরের নিম্নে লোম জন্মে, সে অসৌভাগ্যবতী ও অশুভভাগিনী। যাহার স্তন লোমে পরিপূর্ণ, কর্ণযুগল ও দন্তসমূহ সমান নহে, সেই সকল নারী ক্লেশ ও ভয়ের কারণ হয় । যে নারীর দস্তমূলে কৃষ্ণবর্ণ মাংস থাকে, সে চৌর্য্যবৃত্তি অবলম্বন করে ও দস্তুসমূহ দীর্ঘ হইলে তাহার স্বামীর মৃত্যু হয় । যে স্ত্রীর হস্ত শুষ্ক, বিষম ও শিরাময়, সে দরিদ্র হয়, যে স্ত্রীর পদের অনামিকা ও অঙ্গুষ্ঠ গমনকালে মুক্তিক স্পর্শ করে না, তাহার পতির মৃত্যু হয় এবং ষে স্বেচ্ছাচারিণী হইয়া থাকে। যে স্ত্রীর গমনকালে ভূমিকম্প হয়, সে শীঘ্র পতিঘাতিনী ও স্বেচ্ছাচারিণী হইয়া থাকে। যাহার চরণের অঙ্গুলি সকল পরস্পর সংলগ্নপ্রায়, নখ তাম্রবর্ণ, পদস্বয় উচ্চ শিরাযুক্ত ও কুৰ্ম্মপৃষ্ঠের স্থায় সমুন্নত এবং গুজফ গৃঢ় Χ >Q [ &१ J নারী ভাবাপন্ন হয় । সে রাজী হইয়া থাকে । যে কামিনীয় পদতলে রেখা থাকিবে সে রাজমহিষী হইবে। যাহার মধ্যম অঙ্গুলি অঙ্ক অঙ্গুলির সহিত মিলিত থাকে, তাহার উজু ভোগ ইয়া থাকে। যাহার অঙ্গুলি দীর্ঘ সেই রমণী কুলটা হইবে। যাহার অঙ্গুলি কৃশ সেই নারী অতি মির্ধন, অঙ্গুলিখৰ্ব্বে অল্প পরমায়ু এবং অঙ্গুলি ভগবৎ হইলে সেই রমণী ভগ্ন অবস্থায় থাকিবে । অঙ্গুলি চেপ্‌টা হইলে দাসী, অঙ্গুলি বিরল হষ্টলে দুঃখিনী এবং গায় গায় সংলগ্ন থাকিলে পতিনাশ হয় । যে নারীর চরণের নখ সমুদয় স্নিগ্ধ, সমুন্নত, তাম্রবর্ণ, গোলাকার ও সুদৃশ্ব এবং যাহার পদতলের পৃষ্ঠদেশ উন্নত, সেই রমণী রাজমহিষী হয় । য়ে নারীর পাধি দেশ সমান সেই নারী সুলক্ষণা। যাহার পাঞ্চিদেশ পৃথু সে দুর্ভাগিনী, উন্নত হইলে কুলটা এবং দীর্ঘ হইলে দুঃখভাগিনী হয় । নারীদিগের কটিদেশের পরিধি যদি এক হস্ত হয় এবং নিতম্ব সমুন্নত ও মসৃণ হয়, এই লক্ষণ শুভস্বচক। নারীদিগের নিতম্ব যদি উন্নত, মাংসল ও স্থূল হয়, তাহা হইলে ঐশ্বৰ্য্যলাভ এবং ইহার বিপরীত হইলে দারিদ্র্যভোগ হয় । নাভি গভীর ও দক্ষিণাবর্ত হওয়া মঙ্গলদায়ক । যাহার নাভি বামাবর্ত, অগভীর ও উচ্চ তাহারা শোভমান নহে । নারীদিগের স্তনদ্বয় যদি ঘন, গোল, দৃঢ়, স্থল ও সমান হয়, তাহা হইলে প্রশস্ত ও ঐ স্তনদ্বয় যদি বিরল ও সুহ্ম হয়, তাহা হইলে কল্যাণকর । যে নারীর দক্ষিণ স্তন উন্নত, সে পুত্র এবং যাহার বাম স্তন উন্নত সে সৌভাগ্যশালিনী সুন্দরী কন্ত প্রসব করে। যাহার স্তনদ্বয়ের মূলদেশ স্থল এবং উপরিভাগ ক্রমশঃ ক্লশ হইয়া অগ্রভাগ সুহ্ম হইয়াছে, সেই রমণী বাল্যকালে সুখভোগ করিয়া পরে দুঃখভাগিনী হইয়া থাকে। যাহার পাণিতল মুকু, রক্তবর্ণ ছিদ্ররহিত, অল্পরেখাবিভূষিত, প্রশস্ত রেখাযুক্ত ও মধ্যভাগে উন্নত সেই নারী সৌভাগ্যশালিনী হইয় থাকে । নারীদিগের করতলে বহু রেখা থাকিলে বিধবা, নির্দিষ্ট রেখা না থাকিলে দরিদ্র এবং শিরাল হইলে ভিক্ষুকী হইয়া থাকে । যে নারীর করতলে দক্ষিণাবর্তমণ্ডল, সে নারী রাজমহিষী হয়, অথবা স্বয়ং সাম্রাজ্যে অভিষিক্ত হইয়। থাকে। করতলে শঙ্খ, ছত্র ও কমঠ চিহ্ন থাকিলে রাঙ্গমাত হয়। যে নারীর অঙ্গুষ্ঠমূল হইতে আরম্ভ করিয়া একটা রেখা কনিষ্ঠাঙ্গুলিমূল পৰ্য্যন্ত গমন করে, সেই নারী পতিঘাতিনী হইয়া থাকে। রমণীদিগের মধ্যে যাহার চক্ষু গোচক্ষু সদৃশ ও পিঙ্গলবর্ণ সে অত্যন্ত গৰ্ব্বিত, পারাধতের স্থায় চক্ষু হইলে দুঃশীল এবং রক্তবর্ণ হইলে পতিঘাতিনী হইয়া থাকে । কোটরনয়ন হইলে ফুষ্ট, গঙ্গচক্ষু হইলে অপ্রশস্তলক্ষণা এবং বামচক্ষু