পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারোজী মাইল । এখানে কোলি ও নায়কড় নামক ছুইজাতীয় লোক বাস করে। এখানকার রাজবংশ কোলি-জাতীয় । নায়কড়াগণ ভালদিগের সহিত একযোগে অনেকবার বিদ্রোহ উপস্থিত করিয়াছে, কিন্তু এখন তাহারা শাস্তস্বভাব হইয়াছে। এই দেশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড় ও নিবিড় অরণ্যে পরিবেষ্টিত। এখানে পুষ্করিণী ও কুপ মধ্যে সুস্বাস্থ জল এবং খনি মধ্যে অল্প পরিমাণে সীসা পাওয়া যায়। জমি বেশ উর্ধ্বয়া, উহাতে যথেষ্ট ধান্ত উৎপন্ন হয়। নায়কড়া ও কোলিরা পূর্বে কাঠুরিয়ার কাজ করিত। এখন ইহার রীতিমত চাষবাস আরস্ত করিয়াছে। ১৮২৬ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত ইহার দহতো দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ করিত। এই রাজ্য প্রথমে গাইকবাড়ের হস্তগত থাকে, কিন্তু ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে প্রজাবিদ্রোহ হওয়ায় গাইকবাড় ইংরাজের সাহায্য গ্রহণ করেন ও রাজ্যের অৰ্দ্ধেক রাজস্ব ইংরাজ গবমেণ্টকে অর্পণ করেন । তদবধি এই রাজ্য ইংরাজের কর্তৃত্বাধীনে রহিয়াছে। ১৮৫৮ ও ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে এখানে পুনরায় প্রজাবিদ্রোহ উপস্থিত হয় এবং নায়কড়াগণ রাজ্যস্থাপনের চেষ্টা করে। জম্বঘোরা এই রাজ্যের মধ্যে একটা প্রধান স্থান। এখানকার অধিপতি বা সর্দার ঝোতবর নামক পল্লীতে বাস করেন। এই রাজ্য বুটশ গবমেণ্ট দ্বারা শাসিত। ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দের চুক্তিপত্র দ্বারা রাজ্যের অর্থাংশ কর স্বরূপ উক্ত সর্দার বা শাসনকর্তীকে অর্পণ করা হয়। এখানে একটী ঔষধালয় ও একটী দেশীয় বিদ্যালয় আছে । নারুম্ভদ ( ত্ৰি ) ন আরম্ভদ । অনাহত, যাহার শরীরে কোন প্রকার আঘাত লাগে নাই । মারেয় (পুং) সত্ৰাজিৎপুত্র ভঙ্গকারের পুত্রভেদ । (হরিব ৩৯ অ') নারেস, আধুনিক রাগবিশেষ। এই রাগ বেলাবেলী ও কানড়া যোগে উৎপন্ন। (সঙ্গীতরত্নী” ) নারৈণ, রাজপুতনার জয়পুর রাজ্যের মধ্যবর্তী একটা নগর। জয়পুরের ৪০ মাষ্টল পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে কতকগুলি সুন্দর মন্দির অাছে। দাছ্‌পন্থীদিগের প্রধান স্থান বলিয়া বিখ্যাত। জয়পুর রাজ্যের পদাতিক সৈন্তগণ এখানকার দাণ্ডুপন্থী হইতে উৎপন্ন এবং তাহার। ‘নাগা' নামে খ্যাত। তাহার একমাত্র ঈশ্বর উপাসনা করে । ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহকালে তাহারা গবর্মেন্টের অনেক সাহায্য করিয়াছিল। নারোজী দাদাভাই, ১৮২৫ খৃষ্টাব্দে বোম্বাই নগরে ঋরসিক বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ৪ বৎসর বয়ঃক্রমকালে তাহার পিতৃবিয়োগ হয়। তিনি শৈশব হইতেই অতি বুদ্ধিমান ও চতুর ছিলেন। এই জন্ত তাহার খুল্লতাত ও মাতা তাহার শিক্ষার প্রতি আদৌ অযত্ন করেন নাই। বিদ্যাশিক্ষার্থ তিনি [ &సి ] মারোজী প্রথমে এলফিনিষ্টোন-কলেজে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি স্বীয় অধ্যবসায় ও বুদ্ধিগুণে সত্বরই শিক্ষকদিগের প্রিয়পাত্র इहैग्नां खेरठन । • * এই কলেজেই তাহার বিদ্যাভাস শেষ হয়। তৎপরে আইন অভ্যাস জন্য র্তাহার বিলাত যাওয়ার কথা হয়, কিন্তু কোন কারণ বশতঃ তাহ ঘটে নাই। তখন তিনি একটা স্কুলে সহকারী প্রথম শিক্ষক নিযুক্ত হন । তাহার অল্পদিন পরে তিনি এলফিনিষ্টোন-কলেজে অঙ্ক ও দর্শনশাস্ত্রের শিক্ষকের পদ গ্রহণ করেন। দাদাভাই শিক্ষক নির্বাচিত হইলেও, সকল সময় র্তাহার নির্দিষ্ট কার্য্যের জন্ত ব্যয় না করিয়া, সাধারণের হিতকর প্রস্তাব উদ্ভাবন ও তাহা কার্য্যে পরিণত করিবার চেষ্টায় নিযুক্ত থাকিতেন। বোম্বাই সহরে প্রথম যে সমস্ত বালিকাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়, সে সমস্ত চিরকালই তাহার নিকট কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ থাকিবে । বালকদিগের সাহিত্য ও দর্শন-সভা র্তাহারই প্রধত্বে এত উন্নত হক্টরছে। ৪৫ বৎসরকাল তিনি গুজরাতের “জ্ঞান-বিস্তারিণী-সভার" সভাপতি ছিলেন । তিনি গুজরাতের ‘সমাচারদর্পণ নামক দৈনিক সংবাদ পত্রে “সক্রেটিস ও ডাওজিনিসের কথোপথন” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখিতেন। তৎপরে ১৮৫১ খৃষ্টাব্দে নিজে ‘রস্ত গোফতর" নামক একখানি সংবাদপত্র বাহির করেন ও পারসীদিগের মধ্যে তিনিই “একেশ্বর উপাসকদিগের পথপ্রদর্শক” নামক একটা নুতন পারসীসভার প্রথম সম্পাদক হন। এই কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়া তিনি সভার উদ্দেশু অনেক পরিমাণে সফল করিয়াছিলেন । তিনি সৰ্ব্বদেশীয় পীলোকদিগের পূর্বকালীন অবস্থার বিষয় লিথেন ও তাহা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। বাবসা উপলক্ষে ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে নরোজী প্রথম ইংলণ্ডে যাত্রা করিলেন। ব্যবসায়ে বিশেষ অনুরাগবশতঃ ইংলণ্ডে যাত্রা করুন বা না করুন, ইংলণ্ডের সহিত ভারতের সম্বন্ধ নৈকটা করিতে চেষ্টা করাই যে র্তাহার ইংলণ্ডযাত্রীর প্রধান উদ্দেশু ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। ইহার পর তিনি নিতান্ত আবখ্যক ভিন্ন আর স্বদেশে আসেন নাই। ইংলণ্ডে যাইয়া ভারতের তত্ত্বান্বেষণ সম্বন্ধে এবং ভারতের সংবাদপত্রের প্রতি ইংরাজদিগের মনাকর্ষণের জন্ত তিনি বিশেষ চেষ্টা করিতে থাকেন। তিনি বোম্বাই ও অন্যান্ত স্থানের বন্ধুবান্ধবের পুত্রদিগকে বিলাত পাঠাইবার জন্য অনুরোধ করিয়া অনেককে বিলাত লইয়া গিয়াছেন ও অভিভাবকরূপে তাছাদিগের সাহায্য ও পরিদর্শন প্রভৃতি করিয়াছেন । তিনি অতি সত্যবাদী। র্তাহার একটী বন্ধুকে ঋণদায় হইতে উদ্ধার করিবার জষ্ঠ তাহার ৩ লক্ষ টাকা লোকসান হয় ও বোম্বাই সহরে