পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निष्ठrॉममा [ 558 J नेिऊTjनमा নিতাইৰ দেখা পাইতেন, নিতাইকে খাওয়াইতেন পাওয়াইতেন, আদর করিতেন। ভাবের আবেশে আবার কখন কখন বা ਾਂ গাটা হা-হুতাস করিতেন। ভাবে ভাবে এইরূপ * ৪৯৫ । বস্তুতঃ ট্যান্তেষ্ট তাহার বাচিরা থাকিতে পারিয়াছিলেন। ঠান্তাদের বিরহব্যথা অনেক পরিমাণে দূরীভূত হষ্টয়াছিল। ভক্তিরত্নাকর বলেন— “কোথা নিতানন্দ বলি ধূলায় লোটায় । কি কহিতে কিবা কহে পাগলের প্রায় ॥ ক্ষণে কহে নিতানন্দ হৈল অনেকক্ষণ । মাইস কোলে করি মোর যুড়াউক জীবন ॥ ক্ষণে কহে মোর আগে চলহ হাটিয়া। পাকিয়াছে ধাগু মাঠে চল দেখি গিয়া ॥” *ক্ষণে কৰে চল বাপ হাটে শীঘ্ৰ যাই । যে ইচ্ছা তোমার তাছা কিনিব তথাই ॥" ইত্যাদি। যাহাহউক, নিত্যানন্দ আর গৃহে ফিরিলেন না। তিনি যথারীতি সন্ন্যাসাশ্রম অবলম্বন করিলেন। নিত্যানন্দের গুরুর নাম লক্ষ্মীপতি। নিতানশা ২০ বৎসর পর্য্যন্ত নানাতীর্থে ভ্রমণ করেন। ঐমহাপ্রস্তুর গুরু ঈশ্বরপুরী ঐ সময় বৃন্দাবনে ছিলেন, তিনি দেখিলেন, একটা তরুণ সন্ন্যাসী পাগলের স্থায় ঐকৃষ্ণকে অন্বেষণ করিয়া ফিরিতেছেন । ঈশ্বরপুরী তাহার ভাব বুঝিলেন, বুঝিয়া বলিলেন, "ঠাকুর । এখানে কি দেখিতেন্তু, তোমার কানাই, নবদ্বীপে শচীর ঘরে জন্ম নিয়াছেন, যাও তথায়, তিনি তোমারই অপেক্ষা করিতেছেন।” নিতাই শুনিরাষ্ট নবদ্বীপ অভিমুখে ধাবিত হইলেন। অদ্বৈত-প্রকাশে লিখিত আছে, নন্দন আচার্য্যের ঘরে মহাপ্রমু গিয়া নিত্যানন্দের সহিত সাক্ষাৎ করেন । সে মিলনgগু অতি চমৎকার ।

  • গেীরস্তুর্য্যের ছটা পড়ি নিত্যানঙ্গ চাদে । শুদ্ধ প্রেমামৃতজোৎস্নায় ব্যাপে অবিচ্ছেদে ॥ গুঞ্জারে ভাগবতের শ্লোক পঢ়াইলা । শুনি নিতানঙ্গ গ্রেমে মূচ্চিত হইল । চেতন পাইয়। প্রভু করয়ে ক্রমান । কন্তু নাচে কন্তু হাসে উনমত্ত সম । কছু কৃষ্ণ পাইলু বুলি ছড়িয়ে হুঙ্কার। কছু অবিশ্ৰান্ত নেত্ৰ বহে অশ্ৰধার ॥” (অদ্বৈতপ্র” ) এইরূপে ১৪৩৯ শকে মহাপ্রভুর সহিত র্তাহার সন্মিলন হয় । সাগরে যখন নদী মিলিত হয়, সে নদী যতই কেন বড় হউক না, তখন তাহার আর স্বতন্ত্রতা থাকে না, নিতাইরও

ठ५°झ अग्नि चङङ्गठ ब्लश्शि न । "निमाई नि७fहे शहै ভাই, একে অন্যে ভেদ নাই” উভয়ের কার্য, উভয়ের বাবহারে এক, উভয়ে আর ভেদ রছিল না । নিতাইর স্বতন্ত্রত। একবারেই ছিলনা। [ চৈতন্ত-চন্দ্র শব্দ দেখ। ] শ্ৰীমহাপ্ৰভু স্বয়ং সন্ন্যাসী, তাহার প্রধান প্রধান পার্শ্বগণের প্রায় অধিকাংশই সন্ন্যাসী । ইহাতে এই ফল হইল যে, লোকের গার্হস্থ্য আশ্রমের উপুর বিরাগ জম্মিল । দলে দলে অনধিকারী লোক সন্ন্যাসী হইতে লাগিল। এ স্রোত ফিরাইতে হইবে। মহাপ্ৰভু দেখিলেন, নিতাই ব্যতীত আর উপায় নাই। র্তাহার প্রায় সমকক্ষু ব্যতীত অপরের উদাহরণে লোক মুগ্ধ হইবে না। তাই প্রভু নীলাচলে নিতাইর ছুটী হাত ধরিয়া বলিলেন, “ভাই ! জীবের উষ্কারের জন্ত তোমার অবতার । জীবের হিতের জন্ত তুমি বিবাহ কর । লোকে দেখুক যে, বিবাহ করিলেই যে ধৰ্ম্ম হয় না, তাহা নহে।” যদিও এই কার্যাট নিতান্ত অনভিপ্রেত, নিতাই তবু প্রভুর আজ্ঞ শিরোধাৰ্য্য করিলেন। যথাসময়ে নিতাই গৌড়ে আগমন করিলেন । অদ্বৈতপ্রকাশে লিখিত আছে,--নিতাইচাদ তাহার কৃপাপাত্র উদ্ধারণদত্ত সহ বেড়াইতে বেড়াইতে অম্বিকায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাহার মনোমোহনরূপ যে দেখে, সেই মোহিত হইতে লাগিল। ঘটনাক্রমে এখানে স্বৰ্য্যদাস পণ্ডিতের সহিত নিত্যানন্দের সাক্ষাৎ হইল। সুৰ্য্যদাস তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলে উদ্ধারণ উত্তর করে,—

  • . ... ইহে ব্রাহ্মণ উত্তম । রাঢ়ীয়শ্রেণী সৰ্ব্বশাস্ত্রে অতি শ্রেষ্ঠতম | স্থায়চূড়ামণি ইহার শাস্ত্রের আখ্যাতি। নিত্যানন্দ নাম প্রেমানন্দপুরে স্থিতি ॥” (অ’ প্র” ) স্বৰ্য্যদাস অতি যত্নে তাহাকে আলয়ে লইয়া গেলেন। র্তাহার পত্নী এই অবধূতের অসামান্তরূপদৰ্শনে বিমুগ্ধ হইয় তাহাকে কস্তাদান করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। কিন্তু স্বৰ্য্যদাস লোকলজ্জায় বিশেষতঃ আত্মীয় স্বজনের অসন্মতি দেখিয়া অজ্ঞাতকুলশীলকে কস্তাদান করিতে পারিলেন না ।

নিত্যানন্দ তথা হইতে বিদায় হইয়া উদ্ধারণের সহিত গঙ্গাতীরে অসিয়া বাস করিলেন। ঘটনাক্রমে একদিন সুৰ্য্যদাস র্তাহার কন্যা বনুধার মৃতদেহ লইয়া সৎকার উদ্দেশে গঙ্গাতীরে আসিলেন। অবধূত মৃতদেহ দর্শন করিয়া স্বৰ্য্যদাসকে জানাইলেন— , “ এই কল্পায় যদি মুঞি জীয়াইতে পারি। তবে মোরে কম্ভা দিব৷ কহ সত্য করি ॥ শুনিয়া পণ্ডিত কহে অার বন্ধুগণ। জীয়াইলে কল্প দিব করিলাম পণ ॥