পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়ম নিয়তাহার ( ত্ৰি ) নিয়ত আহার যেন। পরিমিতাহারী, श्रृङाङ ौं । নিতি (গ) নিমাতেনেয়া নিম করণে ক্তি। ১ ভাগ। २ ?मत । ७ अग्नष्ठे । "আসাদতস্ত তমসা নিয়ন্তের্নিয়োগাদাকাঙ্গতঃ পুনরপক্রমণেন কালম্ ॥” ( মাঘ ৪৩৪ ) ৪ নিয়ম। (মেদিনী ) এ চতুৰ্দ্দশধারিণী দেবযোষিদগণের অন্যতম স্ত্রী । ( অগ্নিপু গণভেদনামা” ) নিয়ন্তী (স্ত্রী) নিয়মতে কালো হয়, নি-যম-ক্তি, বাহুলকাৎ উীম্‌। তুর্গ, ভগবতী । “স্মৃতিঃ সংস্মরণাদেবী নিয়তী চ নিয়ামত ॥” ( দেবীপু নিরুক্তাধ্যায় ) নিতেন্দিয় (ত্রি) নিযতানি ইঞ্জিয়ানি যেন। সংযতেজিয়, ইঞ্জিয়দমনশীল । নিমন্তব্য (ক্লী) নি-যম-তবা। নিয়মনীয়, দমনযোগ্য, শাসনযোগ্য। "যে জোষ্ঠে বিনিকুৰ্ব্বত লোভা ভ্রাতুন যবয়সঃ। সৌহজ্যেষ্ঠঃ স্তাদভাগশ্চ নিয়ন্তব্যশ্চ রাজভিঃ ॥” ( মতু ৯,২১৩ ) নিয়ন্ত্রণ ( ) নিয়ন্ত্রি-লুই। প্রতিবন্ধদূরীকরণ, একত্র স্থাপমাৰ্থ ব্যাপারভেদ । “অনেকীৰ্থস্ত শাস্তৈকার্থে নিয়ন্ত্রণক্ষপং বিশেষং” ( সাহিত্যঙ্গ” ২ পরি” ) নিয়ন্ত্রিত (ত্রি) নিয়ন্ত্রিক। ১ অবাধ, অনর্গল । "মাগচ্ছেৎ সৰ্ব্বথ সে৷ বৈ মম পাশ্বে নিয়ন্ত্রিতঃ "(ভাগ” ২৬৫২) ২ কুতনিয়মন । ৩ প্রতিবন্ধাদি দ্বারা একত্র স্থাপিত । “অনেকাখন্ত শব্দস্ত সংযোগাদৈার্নিয়ন্ত্রিতে।” ( সাহিত্যদ' ) নিয়ন্থ (ত্রি) নিযুচ্ছতি অশ্বাদানিতি নি-যম-তৃচ্ছ। ১ নিয়মকারী, শাসক, শিক্ষক । ( পূ: ) ২ অশ্বনিয়মকারী, সারথি । “রে থামাত্রমাপ ক্ষুন্নাদামনেবিলুনঃ পরং । ন বার্তাযুঃ প্রজাস্তস্ত নিয়ন্থনেমিবুৰ্ত্তয়ঃ ॥" ( রঘু ১ল" ) ৩ বিষ্ণু । ( ভারত ১৩১৪৯৷১০৫ ) নিয়ম (পুং ) নিয়মনমিতি নি-ঘম-অপ্ত। ( যম সমুপনিবিষ্ণু চ। প৷ ৩৩৬৩ ) ১ প্রতিজ্ঞ, অঙ্গীকার । ২ নিত্য। ৩ আগন্তুক সাধন কৰ্ম্মরূপত্ৰত । “নিযমং প্রথমং কৃত্বা পশ্চাৎ পূজাং সমাচরেৎ ” ( দেবীভাগ” ৩২৬৷২৫ } প্রথমে নিয়ম কবিয়া অর্থাৎ কার্যারম্ভের পূৰ্ব্বে উপবাসাদি করিয়া, পরে পূজা করিতে ইষ্টবে। ৪ নিয়ন্ত্রণা। এ নিশ্চয়। *নিবমো যন্ত্রণায়াঞ্চ প্রতিজ্ঞানিশ্চয়ে ত্ৰতে ' ( মেদিনী ) ৬ যোগাঙ্গবিশেষ । পাতঞ্জলদর্শনে ইহার বিষয় এইরূপ शिश्७ि फारह [ ১৫২ ] নিয়ম “যমনিয়মাসনপ্রাণায়ামপ্রত্যাহারধারণাধ্যানসমাধয়োহষ্টাবঙ্গানি।” ( পাত” দ’ ২২৯ ) যম, নিগম, আসন ও প্রাণায়াম প্রভৃতি যোগের আটটী অঙ্গ। যোগাভ্যাস করিতে হইলে, পরপর যমনিযমাদি সাধন করিতে হর। প্রথমে ধম তৎপরে নিয়ম অর্থাৎ যম নামক যোগাঙ্গ সিদ্ধ হইলে, নিয়মযোগাঙ্গের অনুষ্ঠান করিতে হয়। " অহিংসা, সত্য, অস্তেয়, ব্ৰহ্মচর্য ও অপরিগ্রহ এই পাচপ্রকার কার্যোর নাম যম । যমযোগাঙ্গ অঙ্গুষ্ঠান করিয়া নিয়মযোগাঙ্গ সাধন করিতে হয়, এইজন্ত সংক্ষেপে যম যোগাঙ্গের বিষয় লিখিত হইল। প্রথমে অহিংসামুষ্ঠান, কেবল প্রাণিবধ পরিত্যাগ করিলেই যে অহিংসাকুষ্ঠান সিদ্ধ হয় তাহী নহে, কোনও উপলক্ষে বা কোন সময়ে প্রাণিগণকে কায়িক, বাচিক বা মানসিক কোন প্রকার পীড়া ন দিলেই অহিংসামুষ্ঠান সিদ্ধ হয়। এই অহিংসাকুষ্ঠান পরাকাষ্ঠ প্রাপ্ত হইলে, চিত্ত নিৰ্ম্মল হয় । তাহার পর সত্যানুষ্ঠান ; সত্যনিষ্ঠ হইলে চিত্ত শীঘ্রই যোগশক্তিলাভের উপযুক্ত হয়। তাছার পর অচৌর্য্য। সেই সঙ্গে ব্ৰহ্মচর্য থাকা আবশুক। ব্রহ্মচর্যের মূল অর্থ বীর্যধারণ। শরীরে যদি শুক্ৰধাতু প্রতিষ্ঠিত থাকে, বিকৃত, স্থলিত বা বিচলিত না হয়, আচল, অটল বা স্থিরভাবে থাকে, তাহা হইলে সমস্ত বুদ্ধীজিয়ের ও মনের শক্তিবুদ্ধি হয়। চিত্তের প্রকাশশক্তি বাড়িয়া যায়। ব্রহ্মচর্যের সঙ্গে অপরিগ্রহকৃত্তি অবলম্বন করিতে হইবে। লোভপূর্বক দ্রব্যগ্রহণের নাম পরিগ্রহ। কেবল দেহযাত্র। নিৰ্ব্বাহের, বা শরীররক্ষার উপযুক্ত দ্ৰব্যস্বীকার করাকে পরিগ্রহ স্বীকার করা হয় না । এইরূপ অনুষ্ঠান করার নাম অপরিগ্রহ। এই অপরিগ্রহে চিত্তে যোগোপযুক্ত বৈরাগ্যের বীজ উৎপন্ন হয়। অহিংসাদি এই পঞ্চবিধ যম— জাতি, দেশ ও কাল দ্বারা বিচ্ছিন্ন না হয়। এই যমযোগাঙ্গ দৃঢ় হইলে নিয়ম নামক যোগাঙ্গ অনুষ্ঠান করিতে হয় । “শোচসম্ভোষতপঃস্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধাননি নিয়মাঃ ।” ( পাত” দ” ২৩২ ) শৌচ, সন্তোষ, তপস্তা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর-প্রণিধান এই পাঁচ প্রকার অমুষ্ঠেয় ক্রিয়ার নাম নিয়ম । শৌচ দ্বিবিধ—বাহশৌচ ও আভাস্কর শৌচ ৷ মৃত্তিক, গোময় ও জলদি দ্বারা শরীর পরিষ্কার করিবে। সত্ববৃদ্ধিকারক ও বুদ্ধিপুৰ্ব্বক পবিত্র দ্রব্য আহার করিবে । মৈত্রী, করুণাপ্রভৃতি সাগণ অবলম্বন করিয়া কালযাপন করিতে হইবে। এইরূপ অনুষ্ঠান করিলে শরীর ও মন বিশুদ্ধ হইয়া উঠে । অমৃত নামক চেতাত্মা বা অধ্যাত্মিক-তেজ শুদ্ধ ও সবল হয়।