পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরুৎপাত [ پوانډ ] নিরুদ্ধ দেবরাজধজন প্রভৃতি তাহার টকা করিয়া গিয়াছেন। ২ নিয়োগার উক্ত। ৩ নিযুক্ত। ( নীলকণ্ঠ ) নিকতাকার (পূ) নিরক্ত নামগ্রন্থং করোতীতি কু-অণু। ১ যাঙ্ক। ২ শাকপুণি । ৩ স্ত্রেীলক্টিৰী। ৪ মেঘদূতের একজন টীকাকায়। মল্লিনাথ ইহার নামোল্লেখ করিয়াছেন। নিরুক্তকৃৎ (পুং ) নিরুক্তং করোতি কু-ক্ষিপ্ত তুক্‌চ। নিরক্ত কার । নিরুক্তজ (পুং ) নিরক্ত নিযুক্তঃ অসাং পুত্রমুৎপাদয়েছাক্তঃ অন্তস্তন্মা জায়তে জন-ড। ক্ষেত্ৰজ পুত্র। “আত্মা পুত্রশ বিজ্ঞেয়ং মৃতঃ প্রস্থতজ স্তথা।"(ভারত অম্বু"৪৯অ") “নিরুক্তজঃ স্বক্ষেত্রে অন্তরেতঃসেকাখমুক্তস্তজঃ (নীলকণ্ঠ) নিরুক্তবৎ (পুং ) নিরুক্তকার। নিরুক্তি (স্ত্রী) নির্বচ-কিন্‌। নির্বচন, প্রকৃতি ও প্রত্যয়াদি অবয়বাৰ্থ কথনদ্বারা সুমুদিতাৰ্থবোধন । একটী বাক্য বলিলে, তাহার প্রকৃতি ও প্রত্যয় প্রভৃতি সকল অবয়ব বিশেষের অর্থ কথন । যথা— “কিং কারণং জগৎকারো নামৈতৎ প্রথিতং ভুবি। জরৎকারু নিরুক্তিত্বং যথাবৎ বক্তযর্থসি।” সেীতিরুবাচ। জরেতি ক্ষয়মাহুর্বৈ দারণং কারুসংজ্ঞিতং । শরীরং কার তস্যাসীৎ তস্য ধীমান শনৈঃ শনৈঃ ॥ ক্ষপয়ামাস তীত্রেণ তপসেত্যত উচ্যতে । জরৎকারুরিতি ব্ৰহ্ম বামুকের্তগিনী তথা ॥”(ভারত ১৪• অ") : জরৎকারু নাম জগতীতলে প্রসিদ্ধ হইয়াছিল, এবং এই | নামের নিরুক্তি কৃপা করিয়া বলুন । ইহাতে সৌতি বলিয়। | ছিলেন, জর শঙ্কের অর্থ ক্ষয়, দারণ শব্দে কারু এবং শরীর বুঝায়, যিনি তপস্যাম্বারা ধীরে ধীরে জরা ও শরীরকে ক্ষয় করিয়াছিলেন তাঁহার নাম জরৎকারু। এইরূপ যেস্থলে শব্দ ও অর্থ সকলের অর্থাবধারণ হয়, তাহাকে নিরুক্তি কহে । নিরুক্তিসম্বিৎ (স্ত্রী) ধৰ্ম্মশিক্ষার জন্ত যে ঐকান্তিকী ইচ্ছা হয়, বৌদ্ধমতে তাহাকে নিরুক্তিসম্বিৎ কছে । নিরুচ্ছ,াস (ত্রি) ১ যেখানে অধিক লোক থাকিতে পারে না, সঙ্কীর্ণ। ২ যেখানে অনেক লোকের সমাগম হইয়াছে, যেখানে অত্যন্তু অধিক লোক অবস্থিতি করিতেছে, জনাকীর্ণ। ৩ জানঙ্গবিহীন, ক্ষুব্ধ । बिझन्डङ्ग (ब्रि) ° उँख्ब्रबहिउ, शाशब्र फेख्द्र बक्र श्हेब्राप्श्। ২ রোগাদিতে বা অগ্রস্তত হইয়া উত্তর দিবার পথরূদ্ধ । নিরুৎপাত (ত্রি ) উৎপাতহীন, উপত্রবপুস্ত। নিরুৎসব (ত্রি ) নির্নাস্তি উৎসবে যস্য। উৎসবহীন, উৎসব রহিত । নিরুৎসাহ (ত্রি) উৎসাহহীন। নিরুৎসুক (ত্রি) নিতরামুৎসুক । অত্যন্ত উৎসুক। নিৰ্গত মুৎসুকং উৎসুকতা যস্য। ২ ঔৎসুক্যহীন । “মমপি কংস্থতামমুক্তামৃগয়াং প্রতি নিরুৎস্বকং চেতঃ”(শকুন্তল) ( পুং ) ৩ রৈবতক মনুর পুত্রভেদ । (হরিব” ৭ অ” ) নিরুদক (ত্রি ) জলহীন, জলাভাব। নিরুদকাদি (পুং ) পাণিনিগণস্থত্রোক্ত শব্দগণভেদ। যথা— নিরুদক, নিরুপল, নিৰ্ম্মক্ষিক, নিৰ্ম্মশক, নিষ্কালিক, নিবৃব, দুস্তরীপ, নিস্তরীপ, নিস্তরীক, নিরাজিত, উদজিন, উপাঞ্জিন । 尊 ( જ ૭ારા 8 ) নিরুদ্ধ (ত্রি ) নি-রুধ-কৰ্ম্মণি-ক্ত। সংরুদ্ধ, রোষবিশিষ্ট । “ময়া নিরুদ্ধঃ পাপাত্মা পতিতোহহং যুধে পুনঃ ।” ( দেবীভাগ” ৩২৯৷১৫ ) পাতঞ্জলদর্শনোক্ত চিত্তবৃত্তিভেদ। ইহার বিষয় পাতঞ্জলদর্শনে এইরূপ লিথিত আছে,—মনোবৃত্তি রুদ্ধ করার নাম যোগ । মনের বৃত্তি পাচ প্রকার—ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ। এইস্থলে নিরুদ্ধ বৃত্তিই বর্ণনীয়, এইজন্ত ক্ষিপ্ত প্রভৃতির বিষয় বিশেষরূপে লিখিত হইল না। মনের অস্থিরতা অর্থাৎ চঞ্চলতার নাম ক্ষিপ্তাবস্থা। মন যে স্থির থাকেন, একবিষয়ে নিবিষ্ট থাকেন, ইহা হউক, উহা হউক এইরূপ সৰ্ব্বদাই অস্থির থাকে। মন যখন কর্তব্যাকর্তব্য অগ্রাহ করিয়া কামক্রোধাদির বশীভূত হয়, এবং নিদ্রা তন্দ্রাদির অধীন হয়, আলস্যাদি বিবিধ তমোময় অবস্থায় নিমগ্ন থাকে, তখন তাহার মূঢ়াবস্থা। বিক্ষিপ্ত অবস্থার সহিত পুৰ্ব্বোক্ত ক্ষিপ্তাবস্থার অত্যন্ত্রই ভেদ আছে, প্রভেদ এই যে, চিত্তের পূৰ্ব্বোক্ত প্রকার চাঞ্চল্যের মধ্যে ক্ষণিকস্থিরতা। মন চঞ্চলস্বভাব হইলেও যে মধ্যে মধ্যে স্থির হয়, সেই ক্ষণিক স্থির হওয়ার নাম বিক্ষিপ্তাবস্থা । চিত্ত যখন দুঃখজনক বিষয় পরিত্যাগ করিয়া সুখজনক বস্তুতে স্থির হয়, চিরাভ্যস্ত চাঞ্চল্য পরিত্যাগ করিয়া, ক্ষণকালের জন্তু নিরবতুল্য হয়, সেইরূপ অবস্থা বিক্ষিপ্তাবস্থা জানিতে হইবে। একাগ্র ও একতান এই ফুই শব্দ, একই অর্থে প্রযুক্ত হয়। চিত্ত যখন কোন এক বাহ বস্তু অথবা আভ্যন্তরীণ বস্তু অবলম্বন করিয়া নিৰ্ব্বাতস্থ নিশ্চল, নিষ্কম্প দীপশিখার স্থায় স্থির বা অকম্পিত ভাবে বর্তমান থাকে, অথবা চিত্তের রজস্তমোবৃত্তি অভিভূত হইয়া গিয়া, কেবলমাত্র সাত্বিক বৃত্তি উদিত থাকে, অর্থাৎ প্রকাশময় ও সুখময় সাত্বিক বৃত্তি মাত্র প্রবা