পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরোধপরিণাম যোগী সংযমৰায় বিবিধ ঐশ্বর্য বা অলৌকিক ক্ষমতা স্লাহরণ, করিতে পারেন বটে, কিন্তু কিরূপ বিষয়ের জন্য, কিরূপ সংযম করিতে হয়, তাহা তাহার অগ্রে জানা আবশুক । কোপায় কি প্রকার সংযম প্রয়োগ করিতে হয়, কোন সংযমের কি ফল, তাহা জানা না থাকিলে, ফললাভ esয় দুর্ঘট হয়। সুতরাং সংযমশিক্ষার অগ্রে সংযমের স্থানগুলি নির্ণয় করিয়া লইতে হয়, এবং বিবিধ চিত্ত্বপরিণাম— চিত্তের ভিন্ন ভিন্ন বিকারভাবগুলি প্রত্যক্ষবৎ প্রতীতিযোগ্য করিয়া লইতে হয়। চিত্তবুখানকালে, একাগ্রতীকালে ও নিরুদ্ধ সময়ে কিরূপ অবস্থায় থাকে, তাহ নিপুণতার সহিক্ত লক্ষ্য করিতে হয় । নিরোধ কালের চিত্ত্বাবস্থা জ্ঞাত হ গুয়া যত আবহ্যক, বুখান কালের চিত্ত্বাবস্থার চিত্তপরিণাম সন্ধান করা, তত আবগুক নহে। নিরোধপরিণামের যথার্থ স্বরূপ কি ? অর্থাৎ । নির্বাজ সমাধির সময় চিত্ত কিরূপ ভাবে থাকে, তাছার বিষয় আলোচনা করিয়া দেখা যাউক । যে কোন সংস্কারই উক, সমস্তই চিত্তধৰ্ম্ম, এবং চিত্তই তত্ত্বাবতের ধর্মী অর্থাৎ আধার। চিত্ত যখন বিবিধ বিষয়াকারে পরিণত হইতে থাকে, তখন তাহাতে, সেই সেই পরিণামের সংস্কার অবহিত থাকে । চিত্ত্ব যখন কেবলমাত্র সম্প্রজ্ঞাতবৃত্তিতে স্থিতি করে, একাগ্র বা একতান হয়, তখনও তাহাতে তাহার সংস্কার নিহিত থাকে। চিত্ত যতক্ষণ বৃত্তিশূন্ত না হয়, ততক্ষণ তাছাতে সংস্কার থাকে। একাগ্রবৃত্তি অবিশ্রাস্তুরূপে বা প্রবাহাকারে উদিত হক্টতে থাকিলে, তজ্জনিত সংস্কার ও তাঁহাতে যথাক্রমে আবদ্ধ হয় । যে সংস্কার বা স্রোত নিরোধপরিণাম ব্যতীত তিরোহিত বা অভিভূত হয় না। পরে বৈরাগ্যাভ্যাস দ্বারা যখন বৃথিানসংস্কার অভিভূত চা, তিরোহিত হয় ও নিঃশক্তি অথবা বিলাম হইয়া যায়, সেই নিরোধসংস্কার, তখন প্রবল বা পুষ্ট ছষ্টয় দাড়ায়। চিত্ত এই সময়ে, পূর্বসঞ্চিত ব্যুথান-সংস্কার হইতে অপক্ষত হইয়া, কেবলমাত্র নিরোধসংস্কার লইয়া অবস্থিত থাকে, অর্থাৎ তখন কেবল স্ব স্ব রূপে থাকে। চিত্তের এই অবস্থা স্থায়ী হইলেই, যোগিরা তাহাকে নিরোধ-পরিণাম বলিয়া থাকেন । এই নিরোধ অবস্থাটাও পরিণামবিশেষ । সুতরাং নিরোধপরিণাম এই নামটাও অস্বর্থ জানিতে ইষ্টবে। চিন্তু যখন গুণময়, অর্থাৎ প্রকৃতিময়, তখন সে যতদিন থাকিবে, ততদিন তাহাতে অবিশ্রান্ত পরিণাম হইবে। কেন না প্রকৃতির স্বভাব এই যে সে ক্ষণকালও পরিণত না শুষ্টয়া থাকিতে পারেন । সুতরাং যাঁহাকে নিরোধ বলা হইল, বস্তুতঃ তাহাও এক প্রকার পরিণাম । কেননা চিত্ত্ব তখনও পরিণত [ s१8 ] নিগুণোপাসনা হয়, তবে কিনা তাহ তাহার স্বরূপেরই অম্বরূপ। তাদৃশ স্বরূপপরিণামের অন্য নাম স্থৈৰ্য্য। চিত্ত স্থির হইয়াছে একথা বলিলে, কোনরূপ পরিণাম হইতেছে না, ইহা ন৷ ৰুধিয়, এইরূপ বুঝিতে হইবে যে, বিষয়াবগত বৃত্তি হইতেছে দা, কিন্তু স্বরূপের অমুরূপপরিণামই হইতেছে। এখন সিদ্ধান্ত হইল যে, স্থৈৰ্য্য অথবা নিবৃত্তিক অবস্থার নামই নিরোধ-পরিণাম । সংস্কার দৃঢ় হইলেই, তৎপ্রভাবে নিরোধপরিণামের প্রশান্ত-বাহিত বা স্থৈৰ্য্যপ্রবাহ জন্মে। (পাতঞ্জলদ") নিরোধিন্‌ (ত্রি) প্রতিবন্ধক, নিরোধকারী। নিগ (পুং) নিরস্তরং গচ্ছতাজেতি, নির্গম-ড। (অন্যত্রাপি দৃপ্ততে ইতি বক্তবাং । বাৰ্ত্তিক ৩২৪৮) দেশ । নির্গত (ত্রি) নির-গম-ক্ত। বহিঃপ্রাপ্ত, বহির্গত। নিগন্ধ (ত্রি) নির্নাস্তি গন্ধে যত্র। গন্ধশূন্য। “বিদ্যাহীন ন শোভস্তে নিৰ্গন্ধ ইব কিংশুকাঃ " (চাণকা) নির্গন্ধন (জী) নির্গন্ধ অৰ্দ্দনে ভাবে লুট। ১ নিগ্রন্থন। ২ মায়ণ । ( স্বামী। ) নিগন্ধপুষ্পী (স্ত্রী) নির্গন্ধং গন্ধশুনাং পুষ্পং যন্ত। গ্রন্থ। শাত্মলিবৃক্ষ । ( শঙ্কা” ) নিগম (পুং ) নির্গম-অপূ। নিঃসরণ, নির্গত হওন। "নৈব সভ্য নির্গমং লেভে জটামগুলমোহিতা।” (রামা >186l>>) নির্গমন (爵) নিৰ্ব-গম-করণে-লুটি ১ দ্বার । ২ প্রতিহার) । ভাবে লুটু। ৩ নিঃসরণ। নিগৰ্ব্ব (ত্রি) নির্নাস্তি গৰ্ব্ব যন্ত । গৰ্ব্বৱস্থিত, অহঙ্কারশূন্ত । নিরহস্কার । নির্গবাক্ষ (ত্রি) গবাক্ষরহিত । নিগু% (পুং ) নির্গত গুণ যন্মাৎ । সত্ত্ব, রজঃ ও তমো গুণাতীত, মহাতে সত্ত্ব, রজঃ ও তমো গুণ নাই। পরমেশ্বর। । “সাকারঞ্চ নিরাকারং সগুণং নিগুণং প্রভূম্। সৰ্ব্বাধীরঞ্চ সৰ্ব্বঞ্চ স্বেচ্ছাকপং নমাম্যহম্ ॥"(ব্রহ্মবৈ'গণেশখ”১৩অ') (ত্রি ) ২ বিদ্যাদি শূন্ত, মুর্থ, গুণহীন । “সগুণে নিগুণো বাপি সহায়ো বলবত্ত্বরঃ । তুষেণাপি পরিভ্রষ্টস্তগুলো নাম্বুরায়তে।” ( উদ্ভট ) ৩ গুণরহিত, জ্যাহীন, যথা নিগুৰ্ণ ধৰ্ম্ম । [ ব্ৰহ্ম দেখ। ] নিগুণত (স্ত্রী) নিগুৰ্ণস্ত ভাব, নিগুৰ্ণ-ভাবে তল, টা । গুণহীনতা । নিগুণত্ব (স্ত্রী) নিগুণ ভাবে-ত্ব । গুণহীনত্ব, মূখণ্ড । নিগুণাত্মক (ত্রি) নিগুৰ্ণ আত্মা বস্ত কন্‌। নিগুৰ্ণ স্বরূপ, ব্রহ্ম। নিগুশোপাসনা (স্ত্রী) নিগুণন্ত ব্ৰহ্মণ উপাসনা। নিগুৰ্ণ ব্রহ্মের উপাসনা । [ ব্ৰহ্ম দেখ। ]