পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भिक्षघ्नी ' [ ১৭৯ ] নির্ণয় মূৰ্ত্তির কোন না কোন স্থান হইতে উখিত এই কৃত্রিম নিৰ্ম, নির্ণয় (পুং) নিৰ্ধনমিতি নিয়-সী-অছ। আবারণ। পার দেখা যায় । নিশ্চয়, নির্নয়ন, নিচয় । ( শারঞ্জা” ) @ পুরাকালে গ্রীকদেশীয় অনেক নগরে, এইরূপ কৃত্রিম নিৰ্বর দেখিতে পাওয়া যাইত। পসেনাস লিখিয়াছেন, করিন্থের অনেক স্থানে ঐক্ষপ নির্বর ছিল এবং ডায়নার নিকটস্থ পেগাসার মূৰ্ত্তির পদতল দিয়া ঐরূপ জলস্রোত প্রবাহিত হইত। গ্রীসের আরও অনেকস্থলে কৃত্রিম ফোয়ার ছিল এবং এখনও স্থানে স্থানে অনেক দৃষ্ট হয়। পম্পি নগরের রাজপথ, এমন কি অনেক বাটাও নিৰূরশোভিত ছিল । নেপলস নগরের চিত্রশালিকায় কতকগুলি ‘ব্রোঞ্জ" নিৰ্ম্মিত প্রতিমূৰ্ত্তি বিদ্যমান আছে, উহা হইতে কৃত্রিম উপায়ে নির্ময় আকারে জলস্রোত প্রবাহিত হয় । ইতালীতে বর্তমান সময়ে বহু শোভাশালী নিৰ্য্যর প্রবাহিত থাকিয়া অধিবাসিদিগের বিলাসিতার পরিচয় প্রদান করিতেছে । এই সমস্ত নিৰ্বর নানা বর্ণে চিত্রিত, অতি বিশাল ও নানা আকারের মূৰ্ত্তি হইতে বহির্গত হইতেছে । ফলকথা—চিত্রকর, সূত্ৰধার ও রাজমিস্ত্রীরা এই সমস্ত নিৰ্ম্মর প্রস্তুত করিতে কল্পনা, যুক্তি ও নৈপুণ্যের যথেষ্ট পরিচয় প্রদান করিয়াছে। পারিসহর প্রভৃতি স্থানেও বহুপুৰ্ব্ব হইতে কৃত্রিম নির্যর প্রস্তুত প্রথা প্রচলিত ছিল ।. লগুননগরে জলের কোন অভাব না থাকায়, এতকাল নিৰ্বরের তাদৃশ আদর ছিল না। কিন্তু দর্শন ও বিজ্ঞানের উন্নতি, সভ্যতার বিস্তার ও বাবুগিরির প্রাবল্যসহ, মনোহর নির্যরসমূহ, এখন লগুনের নানাস্থান শোভিত করিতেছে। "সরিতে নিঝরাংশ্চৈব দদর্শাদ্ভুতদৰ্শনীং ।" ( ভারত ৩৬৪৮) বৈদ্ধক মতে নিৰ্ব্বরের জলগুণ—লঘু, পথ্য, দীপন ও কফনাশক । ( রাজবল্লভ ) ভাবপ্রকাশের মতে— *শৈলসামুশ্রবদ্বারিপ্রবাহে নিঝরে ঝরঃ । স ভু প্রস্রবণশ্চাপি তত্ৰতাং নৈর্ধ্বরং জল ॥” (ভাবপ্র” ) পৰ্ব্বতের সামুদেশ হইতে যে জল নির্গত হয়, তাহাকে নির্ধর কহে, ইহার জল রুচিকর, কফনাশক, দীপন, লবু, মধুর, কটুপাক, শীতল। (ভাবপ্র ) ২ হৰ্ষ্যাখ। ৩ তুষানল । भिरुत्रिी (बी) निर्कब्र-ऐमि-डीन्। नी । “সোহপি তাং বীক্ষা লাবণ্যরসনির্ঝরিণীং নৃপঃ। যন্ন প্রাপ পরিঘদং কৃষাক্রাস্তে মুমূর্ছ তৎ "(কথাসরিৎ ১৭৭) बिन् ि(श्र) निर्वबाश्षाप्उडि निर्वत्र हेनि। গিরি। बिी (ी) निश्कू-अश्, cत्रोब्रसि९डौद् । निर्द्धन । (चशब्र”) নির্বর উৎপত্তিকারণত্বেনাস্ত্যস্ত ইতি আছ, ভীৰু। নদী। “স তাম্বুবাচ ধর্শ্বাস্থ মহীন মানবো তৃগুঃ। অস্ত সৰ্ব্বস্ত শৃণুত কৰ্ম্মযোগস্ত নির্ণয়ম্ ॥” ( মন্ত্র ১২২ ) ২ বিচার। পর্যায়—তর্ক, গুঞ্জ, চর্চা। (ত্রিকা” ) ৩ গুণয়দর্শনোক্ত ষোড়শ পদার্থের অন্তর্গত পদার্থভেদ। “বিষুপ্তপক্ষপ্রতিপক্ষাভ্যামর্শ্বাবধারণং নির্ণয়ঃ" (গৌতমপুত্র ১৪১) বাদী ও প্রতিবাদী এই চুইজনের, কোন বিষয়ে বাক্যসংশয় উপস্থিত হইলে, তাহাতে ভয়প্রয়োগ অর্থাৎ ভূমি বাহ বলিতেছ, তাহ এই কারণে প্রকৃত নহে, এইরূপে স্তায় প্রয়োগ করিতে হইবে ; সেই বাক্যের প্রতি দোষো- , ম্ভাবন ও পরে যদি ঐ দোষ সকলের উদ্ধার করিলে, যে একপক্ষের অবধারণ হয়, তাহার নাম নির্ণয়. এইরূপ নির্ণর বিচারস্থলে জানিতে হইবে । একটী বিষয় লইয়া পরম্পরে বিচার হইতেছে, এই বিচাৰ্য্য-বিষয়ের একপক্ষ অবধারণের নাম নির্ণয়। যাহা নির্ণীত হইবে, তাহাতে যেন কোনরূপ দোষ না থাকে, দোষকৃষ্ট হইলে, তাহীকে নির্ণয় বল৷ যাইবে না। বাদী ও প্রতিবাদীয় বাক্য জন্ত সংশয় ব্যতিরেকেও নির্ণয় হইবে। যথা—এই মনুষ্য, এইট গো ইতু্যাদি অবধারণ, ইহাও নির্ণয়পদবাচ্য। নিশ্চয়রূপে অবধারণের নামই নির্ণয় । তর্কাদি উপস্থিত হইলে তাহার মধ্যে একটী বিষয়ের নিশ্চয়রূপে অবধারণকেই নির্ণয় বলা যায় । ৪ মীমাংসকেীক্ত অধিকরণের অবয়বভেদ । “বিষয়োহবিষয়শ্চৈব পূৰ্ব্বপক্ষস্তথোত্তরস্থ। নির্ণয়শ্চেতি সিদ্ধান্তঃ শাস্ত্রেখধিকরণং তম্।।” ( মীমাংসাদ” ) বিষয়, অবিষয়, পূৰ্ব্বপক্ষ, উত্তরপক্ষ, নির্ণয় ও সিদ্ধান্ত, শাস্ত্রে এই সকল অধিকরণ । তত্বকৌমুদীতে নির্ণয়ের লক্ষণ এইরূপ লিখিত আছে— “তত্র নির্ণয়ঃ সিদ্ধাস্তসিন্ধবিচাৰ্যা বাক্যতাৎ পর্যাবধারণ " ( সম্ব্যিতত্ত্বকো” ) সিদ্ধাস্ত দ্বারা যাহা সিদ্ধ, অর্থাৎ ক্ষে বিচাৰ্য্য বিষয় সিদ্ধাস্তুবাক্যদ্বারা সিদ্ধাস্ত্রীকৃত হইয়াছে, তাদৃশ বাক্যের তাৎপর্যাবধারণের নাম নির্ণয় । ৫ বিরোধ পরিহার, চতুস্পাদ ব্যবহারের অন্তর্গত শেষ পাদ, পরম্পরের মধ্যে কোন একটী বিষয় লইয়া বিবাদ হইলে, রাজার নিকট নালিশ করিতে হয় । বাণী, প্রতিবাদী এবং সাক্ষিদিগের নিকট সকল বিষয় জ্ঞাত হইয়া, রাজপ্রতিনিধি এইট নিশ্চয় করিয়া দেন, তাহাকে নির্ণয় কহে, ইহাকে ইংরাজী ভাষায় “ডিষ্ট্ৰী” বলা যাইতে পারে।