পাতা:এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪৬
এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা।

রন্ধনে নিপুণা তা সম নাহি ত্রিভুবনে।
পুত্র সম স্নেহ করে সন্ন্যাসী ভোজনে॥”



উপসংহার।

 আর্য্য জাতীয় মহিলাগণের পূর্ব্ব বৃত্তান্ত পাঠে স্পষ্ট বোধ হয় যে, তাহাদিগের শিক্ষা, আচার ও ব্যবহার আধ্যাত্মিক—যাহা কিছু শিখিতেন ও করিতেন তাহা ঈশ্বর ও পরলোকের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া করিতেন—ইহা পৌত্তলিক অথবা অপৌত্তলিক ভাবে হইতে পারে কিন্তু অন্তর অভ্যাসের ফললাভ অবশ্যই হইত। এইরূপ অভ্যাস বহুকালাবধি হওয়াতে স্ত্রীলোকদিগের হৃদয়ে নিষ্কাম ধর্ম্মানুষ্ঠান করা বদ্ধমূল হইয়াছিল। এই জন্য সহমরণ, ব্রহ্মচর্য্য, ব্রত, নিয়মাদি ও পতিপরায়ণত্ব অনুষ্ঠিত হইত। নিষ্কামভাবই আত্মার প্রকৃত বল।

 “ঋগ্বেদ, যজুর্ব্বেদ, সামবেদ, অথর্ব্ববেদ, শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ, জ্যোতিষ এ সমুদয় অশ্রেষ্ঠ বিদ্যা, যদ্দ্বারা অবিনাশী পরব্রহ্মের জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা।” গার্গীর এই উপদেশ “যেনাহং নামৃতা স্যাং কিমহং তেন কুর্য্যাং”—যাহার