পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিৰ্ব্বাণ [ ১৮৯ ] নিৰ্বাণ ७ङ्गल९ পশুৰাতানি ছুষ্টধশৈৰ্মিবোধত ॥ তাহাতে নানাপ্রকার দৰে জীবন হইয়াছি। সংস্কারের དག་ན། ། विळांनमद्रामटेराउमएलषमदशक्रशं । দ্বারা সংসারের উচ্ছেদসাধনই নিৰ্ব্বাণ । * , বুধাখবং মে বচঃ সমাগৃ বুধেয়েবমুীরিতম্ ॥ ৩। রঞ্জকুটস্থত্রে বুদ্ধোক্তি এইরূপ আছে— জগদেতদনাধারং ভ্রাত্তিঙ্গানার্থতৎপরম্। "রাগৰেষমোহজয়াৎ পরিনির্বাণম্।।” (রঙ্কুকুটকুত্র ) রাগাদিতুষ্টমতাৰ্থং ভ্রামাতে ভবসম্বটে ॥” (বিষ্ণুপু ৩১৮১১-২৩) মায়ামোহাৰতার বুদ্ধ রক্তাম্বর পরিধানপূর্বক চক্ষুতে অঞ্জন রাগ করিয়া, অম্ভ অসুরগণের নিকট গমনপুৰ্ব্বক মুহু মধুর বাক্যে বলিতে আরম্ভ করিলেন,-হে অস্বরগণ ! যদি নিৰ্ব্বাণ মুক্তি বা স্বৰ্গ তোমাদের কামনা থাকে, তাহা হইলে পশু-হিংসা প্রভৃতি স্থষ্টধৰ্ম্মে কোন ফল হইবে না, জানিবে। এই জগৎ বিজ্ঞানময় বলিয়া অবগত হও । অামার বাক্য ভাল করিয়া বুঝ, এ বিষয়ে পণ্ডিতগণ এইরূপ বলিয়াছেন, যে এই জগৎ অনাধার। ইহা ভবসঙ্কটে নিয়ত পরিভ্রমণ করিতেছে এবং রাগাদি-দোষে সাতিশয় দুষিত । নিৰ্ব্বাণ শব্দের ব্যবহার, যে সময়েই অীরন্ধ হউক না কেন, ঐ শব্দ মুক্তি অর্থে বৌদ্ধদৰ্শনেই বহুলপরিমাণে ব্যবহৃত হইয়াছে। বস্তুতঃ নিৰ্ব্বাণ বৌদ্ধদিগের মুক্তিব্যঞ্জক পারিভাষিক শব্দ। বৌদ্ধের মুক্তি বলিলে যাহা বুঝেন, তাহ নিৰ্ব্বাণ শব্দদ্বীয়াই প্রকৃষ্টরূপে প্রকাশ করিতে পারা যায় । যেমন ইন্ধন অভাবে অগ্নি নিৰ্ব্বাণ হইয়া যায়, সেইরূপ কাম, লোভ, মোহ, সংস্কার ইত্যাদির উন্মুলনে সত্তা বা অস্তিত্বের বিলোপ হয় । সত্তার নিরোধই নিৰ্ব্বাণ । উদীচ্য বৌদ্ধগ্রন্থের মত। উদীচা বৌদ্ধগ্রন্থসমূহে নিৰ্ব্বাণ শব্দের লক্ষণ বিশদরূপে বর্ণিত হইয়াছে। নিয়ে কয়েকখানি গ্রন্থের মত উদ্ধত হইল,— ১। অশ্বঘোষ বুদ্ধচরিতকাব্যে লিখিয়াছেন,— "করুণায়মান জ্যায়স্তে মৃত্যুভয়বিমোহিতাঃ । নৈর্বাণে স্থাপনীয়াস্তং পুনর্জন্মনিবৰ্ত্তকে ॥” ( বুদ্ধচরিত ) নিৰ্ব্বাণ পুনর্জন্মের নিবৰ্ত্তক। সংস্কারসমূহের ক্ষয় না হইলে জন্মান্তরের উচ্ছেদ হয় না, সুতরাং সংস্কারসমূহের ক্ষয়ের নাম নিৰ্ব্বাণ । ২ । আর্য নাগাৰ্জ্জুন মাধ্যমিকসূত্রে লিখিয়াছেন,— “নির্বাপকালে বোচ্ছেদঃ প্রসঙ্গা ভবসন্ততেঃ ” ( মাধ্যমিকস্থ স্ত্র ) ভবসস্তুতির উচ্ছেদের নাম নিৰ্ব্বাণ । ভল শব্দের সাধারণ অর্থ সংসার, কিন্তু ইহার প্রকৃত অর্থ কায়িক, বাচিক ও মানসিক কৰ্ম্মজনিত সংস্কার । উৰ্ণনাভ যেরূপ স্বীয় যত্নে জীল প্রস্তুত করিয়া তাঁহাতে স্বয়ং আবদ্ধ হয়, আমরাও সেইরূপ, পূর্ণ পূৰ্ব্ব সংস্কারবশে স্ব স্ব সংসারের স্বষ্টি করিয়া, X 8b" রাগ, দ্বেষ ও মোহের ক্ষয়ের নাম নিৰ্মাণ। অগ্নি যেমন ইন্ধন অভাবে নিৰ্ব্বাণ হইয়া যায়, সেইরূপ রাগ, দ্বেষ ও মোহের ক্ষয় হইলে, জীবের আত্মাভিমান লুপ্ত হইয়া যায়। অহংকার মমকারের ধ্বংস হইলেই নিৰ্ব্বাণলাভ হয় । ৪। বজ্রচ্ছেদিক গ্রন্থে বুদ্ধ বলিয়াছেন,— “ইহ হি স্বভূতে বোধিসত্ত্ব্যানসংপ্রস্থিতেন এবং চিত্তমুৎপাদয়িতব্যং সৰ্ব্বে সত্ব ময় অনুপধিশেষে নিৰ্ব্বাণধাতে পরিনির্বাপয়িতব্যাঃ " ( বজ্রচ্ছেদিক ) নিৰ্ব্বাণ পদার্থ অনুপধি অর্থাৎ নিৰ্ব্বাণ লাভ হইলে সংস্কারাদি কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। ৫ । বোধিচৰ্য্যাবতারগ্রন্থে শাস্তিদেব বলিয়াছেন,— “সৰ্ব্বত্যাগশ্চ নির্বাণং নির্বাণাধি চ মে মনঃ ” (বোধিচর্যাবতার) সৰ্ব্বত্যাগের নাম নিৰ্ব্বাণ। সংসার, মুখ, ফুঃখ, আত্মাড়িমান ইত্যাদি সমস্ত ত্যাগের নাম নিৰ্ব্বাণ । ৬ । রত্নমেঘ গ্রন্থে লিখিত আছে,— “তৃষ্ণয়া বিপ্রহণেন নিৰ্ব্বাণমিতি কথাতে।" ( রত্নমেঘ” ) তৃষ্ণার সম্যক্ নিবৃত্তির নাম নিৰ্ব্বাণ । এই সংসার, যাহা অনাধার ও কল্পিত, সেই মিথ্যা সংসারের সহিত নিজের সম্বন্ধ রাখিবার প্রবল ইচ্ছার নাম তৃষ্ণা। সেই তৃষ্ণার ক্ষয় হইলেই সংসায়ের উচ্ছেদ, আত্মাভিমানের বিলয় ও নিৰ্ব্বাণলাভ হয়। ৭ । অষ্টসাহত্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতায় লিখিত আছে – “নিরোধন্ত নির্বাণন্ত বিগমস্তৈতৎ সুভূতেইধিবচনং যদুত গম্ভীরমিতি।” ( অঃসাহত্রিকা” ) নিরোধ, নিৰ্ব্বাণ ও বিগম ইহারা সকলেই সমার্থক এবং ইহাদের অর্থ অতি গম্ভীর। আমিত্ব ও সংসারের অপায়ের নাম নিৰ্ব্বাণ, এবং যে অবস্থায় সংসারও নাই, আমিও নাই, সেই অবস্থাটী অতি দুৰ্ব্বোধ ও গম্ভীর । ৮। প্রজ্ঞাপারমিতান্ধদয়স্থত্রে লিখিত আছে,— “বোধিসত্ত্বস্ত প্রজ্ঞাপারমিতামাশ্রিত বিহরতি চিত্তাবরণঃ । চিত্তাবরণনাস্তিত্বাৎ অত্রস্তে বিপর্যাসাতিক্রাস্তে নিষ্ঠনির্বাণঃ ॥” ( প্রজ্ঞাপারমিতাঙ্গদয়সুত্র ) বোধিসত্বের চিত্তাবরণ পরমার্থজ্ঞান অবলম্বলপুৰ্ব্বক অবস্থিতি করে। চিত্ত্বাবরণের অভাবে বিপৰ্য্যাসের অভাব ও নিৰ্ব্বাণলাভ হয়। সংসার মিথ্যা, আমি মিথ্য, আস্তর ও বাহ জগৎ এক মহাশূন্ত মাত্র, এই জ্ঞানের নাম পরমার্থ জ্ঞান। এই