পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিৰ্ব্বাণ অস্তি ও নাস্তি উভয়ই মিথ্যা ; শুদ্ধি ও অশুদ্ধি ইহাও কল্পিত। সুতরাং পণ্ডিত ব্যক্তি উভয় অস্ত ত্যাগ করিয়া মধ্যেও অবস্থিতি করেন না। পণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাণ লাভ করিয়া অস্তি ও নাস্তির অতীত ও সত্তাহীন হইয় পড়েন । ৩। নাগাৰ্জ্জুন বলিয়াছেন— “অস্তিত্বং যন্তু, পশুস্তি নাস্তিত্বং চাল্লযুদ্ধয়ঃ। ভাবানাং তেন পশুন্তি স্রষ্টব্যোপশমং শিবম্ ॥” ( মাধ্যমিকসূত্র ) অল্পবুদ্ধি বাক্তিগণ অস্তিত্ব ও নাস্তিত্বের অনুভব করেন, কিন্তু ধীর ব্যক্তিগণ অস্তিত্ব ও নাস্তিত্বের উপশমরূপ শ্রেয়ঃ উপলব্ধি করিয়া থাকেন। শুষ্ঠত পদার্থ “আছে" এরূপও | বলা যায় না, “নাই” এরূপ ও বলা যায় না। ধীরবাক্তিগণ । এই পদার্থ লাভ করিয়া “আছে” ও “নাই” এতদুভয় অতিক্রম করিয়া थाप्रुर्नू" ৪ । রত্নাবলীগ্রন্থে লিখিত আছে— "নাস্তিকো দুৰ্গতিং যাতি সুগতিং যাতানাস্তিকঃ । যথাভূতপরিজ্ঞানান্মোক্ষায়নিশ্রিতঃ " ( রত্নাবলী ) যাহারা “নাই” অর্থাৎ সংসার ও আমার ধ্বংস রূপ অভাব পদার্থকেই শূন্তত নামে অভিহিত করেন, তাহারা দুৰ্গতি প্রাপ্ত হন এবং র্যাহারা তাহ করেন না, তাহারা ভাব ও অভাব পদার্থের অতীত শুষ্ঠতাকে লাভ করিয়া মুগতি ও মুক্তি প্রোপ্ত হন । ললিত-বিস্তর গ্রন্থে লিথিত আছে— “ন চ পুনরিহ কশ্চিদস্তিধৰ্ম্মঃ সোহপি ন বিদ্যতি যন্ত নাস্তি ভাবাঃ । হেতুক্ৰিয়পরম্পরা জানেত তস্ত ভোতীহ অস্তি নাস্তি ভাবাঃ ॥" ( ললিতবিস্তর ) এই সংসারে কোন পদার্থ “আছে" এরূপও বলা যায় না এবং “নাই” এরূপও বলা যায় না। র্যাহার কার্য্যকারণপরম্পয় অবগত অাছেল, তাহারা অস্তি ও নাস্তির অতীত হইয় নির্বাণ লাভ করেন । ৬। রত্নাকরস্থত্রে লিখিত আছে— “শুষ্ঠবিদে নহি বিদাতে কচিৎ অস্তরিক্ষি শকুনস্ত বা পদম্। যন্ন বিদ্যুতি স্বভাবতঃ কচিৎ সা ন জাতু পরহেতু ভবিষ্যতি । যস্ত নৈব হি স্বভাব লভ্যতে সোহস্বভাবঃ পরপ্রত্যরঃ কথম্। অস্বভাৰূপ কিং জনিষ্যতি এষ হেতু সুগতেন দেশিতঃ।” ( রত্নাকরস্বত্র ) এই বিশ্ব এক মহাশূন্ত । যেমন অন্তরীক্ষে শকুনের পদ বিদ্যমান থাকিতে পারে না, সেইরূপ এই মহাশূন্ত মধ্যে কোন পদাৰ্থ-ই বিদ্যমান নাই। পদার্থসমূহের কাহারও স্বভাব বা & | [ ১৯১ ] নিৰ্বাণ অন্ত নিরপেক্ষ সজ্ঞা নাই, সুতরাং তাছার অপর পক্ষার্থের জন্ম द स्रमक किङ्गरश्न इङ्ग्रेस ? ৭ । রত্নমেন্বস্বত্ৰে লিখিত আছে— *আদিতশৃঙ্ক অনাগতধৰ্ম্ম অনাগত অষ্ঠিতস্থানৰিবিত্তাঃ । নিতামসীরকমায়স্বভাবtঃ শুদ্ধবিশুদ্ধনডোপমগৰ্ব্বি ॥" ( রত্নমেন্বস্বত্র } পদার্থসমূহ আদিতে ও অস্তে শূন্তস্বভাব। ইহাদিগের কোন আধার বা স্থিতি নাই । ইহার অসার ও মায়া মাত্র। শুদ্ধ অশুদ্ধ সকলই আকাশসদৃশ নিলেপ । ৮ । অনৰতথহ্রদীপসংক্রমণস্থত্রে লিখিত আছে— “যঃ প্রত্যয়ৈর্জায়তি সহস্কাতো ন তস্ত উৎপাদস্বভাবতান্তি । যঃ প্রত্যায়ার্দীয় স শূন্ত উক্তে যঃ শূন্ততাং জানাতি সোহগ্ৰমত্তঃ " ( অনবতপ্তস্তুদাপসংক্রমণস্বত্র ) যে পদার্থ অন্য পদার্থসমূহের সম্বন্ধবশে উৎপন্ন হইয়াছে, তাহ উৎপন্নই হয় নাই বলিতে হইবে। ঐ পদার্থের স্বভাব বা স্বাধীন সত্তা নাই। যাহার অন্ত নিরপেক্ষ সত্তা নাই, তাহাকে শূন্ত বলিতে পারা যায় এবং যে শূন্যত উপলব্ধি করিয়tছ সে কখনও সংসারে মত্ত থাকিতে পারে না । ৯। বুদ্ধ স্বয়ং নিম্নলিখিত গাথায় শূন্যতার করিয়াছেন,-- "যথা নির্বাণগম্ভীরং শব্দেন সম্প্রকাশিতম্। লভ্যতে ন চ নিবাণং স চ শব্দে ন লভ্যতে ॥ শব্দশ্চাপ্যনিবাণমুডয়স্তন্নলভ্যতে । এবং শূন্তেযু ধৰ্ম্মেযু নিৰ্ব্বাণং সম্প্রকাশিতম্ ॥ নির্বাণন্নিবৃত্তিবৃত্তং নির্বাণঞ্চ ন লভ্যতে। অপ্রবৃন্তেযু ধৰ্ম্মেষু যথা পশ্চাত্তথা পুরা ॥" “নিৰ্বাণ" এই গম্ভীর পদার্থ শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হইয়াছে, কিন্তু কেহই নির্বাণ লাভ করিতে পারে না । “অনির্বাণ" ইহাও একটা শব্দ এবং ইহাও কেহ লাভ করিতে পারে না। শুনাপদার্থকেও নির্বাণ বলা যায় এবং প্রপঞ্চের নিবৃত্তিও নিৰ্ব্বাণ নামে অভিহিত হয়। নিৰ্ব্বাণ পদার্থের যে কোন লক্ষণ করা হউক না কেন, উহার সহিত জীবের গ্রাহ গ্রাহক সম্বন্ধ হইতে পারে না। যেহেতু জীবের প্রকৃত সত্তা নাই, সুতরাং সে নিৰ্ব্বাণ “লাভ” করিল, এরূপ কথা কিরূপে বলা যায় এবং নিৰ্ব্বাণ কোন ভাব-পদার্থ নহে, সুতরাং তাছার প্রাপ্তিও অসম্ভব। সংসার ও আমি উভয়ই মিথ্যা পদার্থ এবং এতদুভয়ের মিথ্যা প্রতীতিদ্বারা প্রপঞ্চের উপশম হইল বটে, কিন্তু পরমার্থতঃ যাহা ছিল তাহাই থাকিল, সেই পারমার্থিক পদার্থই নিৰ্বাণ । বর্ণম