পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिद्वि [ ২৩৮ ] निझांद्र প্রব্যের অভাব হেতু, দ্রব্যমাত্রই তেজ গ্রহণ অপেক্ষ অধিক পরিমাণে তাপ বিকীরণ করে। ইহার ফলে দ্রব্য সকল দিবাভাগ অপেক্ষ রাত্রিতে,অধিক শীতলতা প্রাপ্ত হয়। অতএব নীহার উৎপত্তি সম্বন্ধে বর্তমান মত এই যে, 'দ্রব্য সকল সন্ধ্যায় পর হষ্টতে অধিক পরিমাণে তাপবিকীরণপুৰ্ব্বক শীতলত্ব প্রাপ্ত ফইলে, তাহার নিকটবর্তী স্থানের বায়ুসংশ্লিষ্ট জলীয় বাষ্প শীতল হইয়াউঠে এবং ক্রমে ঘনীভূত হইয়া নিকটস্থ দ্রব্যের উপরসঞ্চিত হইতে থাকে। কারণ বায়ু যতই উষ্ণ হয়, ততই উহার উপাদান সকল বিশ্লিষ্ট হইয় পড়ে ও বাষ্পধারণশক্তি ততই প্রবল হয় । কিন্তু বায়ু যতই শীতলত্ব লাভ করিতে থাকে, ততই উহার অণুসকল ঘন সন্নিবিষ্ট হইতে আরস্ত করে, সুতরাং বাম্পগ্রহণশক্তি ততই কম হইয় পড়ে। এই জন্য বায়ু শীতলত্ব প্রাপ্ত হইলে, অধিক পরিমাণে বায়ুস্থ জলীয় বাষ্প তদবস্থায় ধারণ করিয়া রাখিতে ন পারায়, উক্ত বাষ্প ঘনীভূত হইয়৷ জলবিন্দুরূপে পতনোয়ুথ অবস্থায় সময় সময় পত্রাদিতে পতিত হইতে থাকে। এই পতনোন্মুখ অবস্থায় উক্ত জলকণাসমূহ শীতল দ্রব্যের স্পর্শ পাইলেই তাহাতে সংলগ্ন হইয়া যায় । সঞ্চিত জলের নাম নীহার । পুৰ্ব্বোক্ত জলবিন্দু সঞ্চিত ন হইয়া, অপেক্ষাকৃত স্থগতম জলবিন্দুরূপে এপষ্ঠিত হক্টলে, কুয়াশা নাম ধারণ করে । আকাশে যে দিন ঘোর ঘনঘট বা প্রবল বাতা! প্রবাহিত হয়, সেদিন তাদৃশ মাহার সঞ্চার দেখা যায় না কেন ? ইহার কারণ অনুসন্ধান করিলে পূর্বোক্ত মত আরও পরিস্ফট বা দৃঢ় হইতে পারে। ইহার কারণ অধিক মেঘ হইলে, উহার তেজসমূঠ বিকীর্ণ হইয়া ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়, সুতরাং ভূপৃষ্ঠ হইতে তাপ বিকীরণ হওয়ার প্রতিবন্ধক হইয় থাকে ; ঐপি প্রবল বেগে বায়ু বহিলে, সৰ্ব্বদ গরম বায়ু আনীত হইতে থাকে, এজন্য তাণধিকারণকার্য সুন্দরঞ্চপে সম্পন্ন হয় না । এই সমস্ত । কারণে ঐ সময় তাশ নীহার দেখা যায় না। আরিষ্টটল ও কোন ৷ কোন দার্শনিক বলেন যে, ঘোর মেঘশূন্ত ও প্রবল বাতাহীন রাত্রিতেই কেবল নাহার ৪% হল । কিন্তু ডাক্তার ওয়েলস্ এ কথা স্বীকার করেণ না । প্রবল বাতাসংযুক্ত রাত্রিতে মেঘ | ন। থাকিলে অথবা ঘোর মেঘাচ্ছাদিত রাত্রিতে বায়ুর গতি । অধিক না থাকিলে, ঘাস প্রভৃতি দ্রধ্যের উপর যে নীহার । সঞ্চিত হয়, তাহ! তিনি চক্ষে দেখিয়াছেন । কিন্তু ঘোর মেঘ ও প্রবল বায়ুবিশিষ্ট রাত্রিতে নীহারসঞ্চার কখনই দৃষ্ট ছয় না । উক্ত ডাক্তারের মতে, সময় ও স্থানভেদে উক্ত নীহ - রের মূনাধিক্য দৃষ্ট হয়। বৃষ্টি হওয়ার পরে যথেষ্ট নীহারসঞ্চার দেখা যায়, কিন্তু দীর্ঘকাল বৃষ্টি ন হইলে সেরূপ নীহারসঞ্চার হয় না । কখন কখন দিবাভাগেও নীহার দেখা গিয়াছে । কোন কোন দেশে, দক্ষিণ বা পশ্চিম দিক্ হইতে বায়ু প্রবাহিত হইলে, অত্যন্ত নীহারসঞ্চার হয়, কিন্তু উত্তর বা পূৰ্ব্ববায়ুপ্রবাহিতাবস্থায় সেরূপ নীহার দেখা যায় না। বসন্ত ও শরৎকালে যেরূপ নীহারসঞ্চার সম্ভব, গ্রীষ্মকালে সেরূপ নহে। কারণ পূৰ্ব্বোক্ত দুই সময়ে, দিব ও রাত্রির বায়ুর তাপের নুনাতিরেক, শেষোক্ত কালের অপেক্ষা অধিক। যে দিন প্রাতঃকালে অত্যন্ত কুয়াশা হয়, তাহার পূর্ব রাত্রিতে অধিক নীহারসঞ্চার দৃষ্ট হইয়া থাকে। রাত্রিতে যদি অত্যন্ত মেঘ হয় ও উহার পর দিন প্রাতে যদি আকাশ নিৰ্ম্মল থাকে, তবে ঐ সময় অনেক নীহারসঞ্চার দৃষ্ট হইয়া থাকে। হেমন্ত ও শীর্চ ঋতুই আমাদের দেশে নাহারপাতের উপযুক্ত সময়। এই সময় রাত্রিতে মেঘাদি হইলে অল্প পরিমাণে নীহারসঞ্চার হয়, কিন্তু পরবর্তী দিনে উক্ত নীহার কুয়াশারূপে পরিণত হইয়া থাকে। আবার যদি আকাশ নিৰ্ম্মল ও বায়ু স্থির থাকে, তবে মধ্যরাত্রিতে ও স্বর্যোদয়ের পূৰ্ব্বে অধিক নীহারসঞ্চার দেখা যায়। যে সমস্ত দ্রব্যের উপর নীহারসঞ্চার হয়, তাহদের ও তন্নিকটস্থ স্থানের উষ্ণত্ব নীহার-সঞ্চার-সুচক তাপের* (Dewpoint) কম না হইলে, ঐ সমস্ত দ্রব্যের উপর নীহারসঞ্চার হয় না। একই সময়ে, বায়ুর একই অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন বস্তুতে পৃথক্ পরিমাণে নীহার সঞ্চিত হইয়া থাকে। ধাতু দ্রধোর উপর অত্যন্ত অল্প পরিমাণে নীহার জন্মে, কিন্তু ঘাস, কাপড়, খড়, কাগজ, মৃৎপাত্র ও গ্লাসের উপর প্রচুর পরিমাণে সঞ্চিত হয়। ধাতু সকল অল্প পরিমাণে তাপবিকীরণ করে, এজন্ম ঘাস কাপড় ইত্যাদি তাপবিকীরণশক্তিসম্পন্ন বস্তুর উপর অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে নীহারসঞ্চার হয়। জৈব পদার্থসমূহেও ঐ হেতু যথেষ্ট নীহরিসঞ্চার হইতে দেখা যায়। পালকের উপর প্রচুরপরিমাণে নীহার সঞ্চিত হয় আবার যে সমস্ত বস্তু আকাশের সহিত সাক্ষাৎ সম্বন্ধে বিদ্যমান থাকে, তাহাদের উপর যেরূপ নীহার জন্মে, অষ্ঠ কোন অবস্থাপন্ন পদার্থের উপর সেরূপ জন্মে না। একই ওজনের দুই গোছ। পশম লইয়া উহার এক গেছে। একথানি তক্তার উপরে ও অন্ত গোছ ত গুণর নীচে রাখ, এই অবস্থায় উভয় পশম অনাবৃত স্থানে রাত্রিতে স্থাপন করিলে, প্রাতে উক্ত হুইগোছা পশমের ওজনের পার্থক্য উপলব্ধি হইবে । তক্তার উপরিস্থ

  • বায়ুর উষ্ণত। যতদূর কমিলে নীহার সঞ্চার আরম্ভ হয়, তদপেক্ষা

একটু গরম হইলে উহা বাষ্প, এবং একটু ঠাণ্ড হইলে এই নীহার তুষারে श्रृंग्निश्रृंख् श्ख्न ।