পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার গীতবিতানের সব পাতা পুড়ে গেছে (২৫ বৈশাখের আগে অগ্নিদগ্ধ বোনের মৃত্যুতে] খবর পেলাম, অভিমানী মেয়েটি জীবনের শেষগান গেয়ে নিয়েছে । নিৰ্মম অভিজ্ঞতা দাবানলের মতো দাউ দাউ ক’রে জ’লে উঠলো। এই ভয়ঙ্কর ক্ষতির হিসেবনিকেশ আর কখনই বুঝি কষা যাবে না। মানুষের সমস্ত প্রিয় সম্পর্ক এক নিমেষেই কেমন যেন সাপের ফণর মতো হিলহিল ক’রে দুলছে। চতুর্দিকে সন্দেহের ঘুর্ণধরা গাছ বাড়ি স্বপ্ন সামান্য সমস্যায় কি অসহায় হুড়মুড় ক’রে ভেঙে পড়লো। — অনেকের বিরুদ্ধে অনেক রক্তাক্ত অভিযোগ জানার থাকলেও সবই কেমন ভীষণ অর্থহীন হ’য়ে গেল ! সমস্ত দিন সমস্ত রাত্রি নিঃশ্বাস নেবার মতো ভালোবাসার বাতাস না-থাকলে পিরামিডের মধ্যে মশলা মোম মেখে মমির মতো অপেক্ষা করা ছাড়া মেয়েটির আর কি কিছুই করবার ছিলো ? - মায়াবী প্রাণটুকু নিজস্ব ভঙ্গিমায় একটুও স্বর্থী হ’তে পারলোনা ! পেছনে ফেলে যাওয়া ওর অভিশপ্ত সুখ কিংবা দুঃখের স্মৃতিগুলো প্রেতশিলার পাথরের সিড়িকে কান্নায় ভিজিয়ে ভিজিয়েও মুখের মতো পৌছে দিলাম। যেন দীর্ঘকাল কাদতে পারবোনা বলেই হিসেবী মামুষের মতো একসঙ্গে সকলেই কয়েকদিন কেঁদে একটু হাহাকার ক’রে নিলাম । পচিশে বৈশাখের ভোরে যে-অভিমানী মেয়েটি গান গাইবার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলো, ভুলতে পারবোনা-যে তার গীতবিতানের সব পাতা সম্পর্ণ পুড়ে গেছে, তানপুৰু-তবলায় চাপ চাপ ব্যথার ধুলো, আর ওর একমাত্র বান্ধীর আশ্চর্য প্রশ্ন : ও কেন একবারও আমাকে জানালো না । । ミbr