পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ ९8> নবেদুইহাতে সম্পূর্ণ সাৰনা পাইল কি না তাহা তাহার অন্তঃকরণ আর অন্তর্ধামাই জানেন, কিন্তু আমাদের এ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সন্দেহ রহিয়া গিয়াছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, মরিবার পূর্বে সে রায়বাহাদুর হইবেই এবং তাছার মৃত্যু উপলক্ষে Englishman e Pioneer Two cotto office Effo all asson, ইতিমধ্যে Three Cheers for বাবু পূর্ণেন্দুশেখর ! হিপ, হিপ হরে, হিপ, ছিপ হুরে, হিপ, হিপ হুরে! আশ্বিন ১৩০৫ মণিহারা সেই জীর্ণপ্রায় বাধাঘাটের ধারে আমার বোট লাগানো ছিল। তখন সূর্য অস্ত গিয়াছে । বোটের ছাদের উপরে মাঝি নমাজ পড়িতেছে । পশ্চিমের জলস্ত আকাশপটে তাহার নীরব উপাসনা ক্ষণে ক্ষণে ছবির মতো আঁকা পড়িতেছিল। স্থির রেখাহীন নদীর জলের উপর ভাষাতীত অসংখ্য বর্ণচ্ছটা দেখিতে দেখিতে ফিক হইতে গাঢ় লেখায়, সোনার রঙ হইতে ইস্পাতের রঙে, এক আভা হইতে আর-এক আভায় মিলাইয়া আসিতেছিল । জানালা-ভাঙা বারান্দ-কুলিয়া-পড়া জরাগ্রস্ত বৃহৎ অট্টালিকার সম্মুখে অশ্বখমূলবিদারিত ঘাটের উপর ঝিল্লিমুখর সন্ধ্যাবেলায় একলা বসিয়া আমার শুষ্ক চক্ষুর কোণ ভিজিবে-ভিজিবে করিতেছে, এমন সময়ে মাথা হইতে পা পর্যন্ত হঠাৎ চমকিয়া উঠিয়া শুনিলাম, “মহাশয়ের কোথা হইতে আগমন ।” দেখিলাম ভদ্রলোকটি স্বল্পাহারশীর্ণ, ভাগ্যলক্ষ্মী কর্তৃক নিতান্ত অনাদৃত। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিদেশী চাকুরের যেমন একরকম বহুকাল-জীর্ণসংস্কার-বিহীন চেহারা, ইহারও সেইরূপ। ধুতির উপরে একখানি মলিন তৈলাক্ত আসামী মটকার বোতামখোলা চাপকণন , কর্মক্ষেত্র হইতে যেন অল্পক্ষণ হইল ফিরিতেছেন । এবং যে সময় কিঞ্চিৎ জলপান খাওয়া উচিত ছিল সে সময় হতভাগ্য নদীতীরে কেবল সন্ধ্যার হাওয়া খাইতে আসিয়াছেন। আগন্তুক সোপানপাখে আসনগ্রহণ করিলেন । আমি কছিলাম, “আমি রাচি হইতে আসিতেছি।” *