পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इब्ल 'రిపాషా নিশ্বাসটার বাজে-খরচ করিতে নারাজ, এক নিশ্বাসে যতগুলা শব্দ সারিয়া লইতে পারি ছাড়ি না । আপনাদের ইংরাজি বাক্যে সেটা সম্ভব হয় না, কেননা, আপনাদের শব্দগুলা বেজায় রোখা মেজাজের। তাহারা প্রত্যেকেই ঢু মারিয়া নিশ্বাসের শাসন ঠেলিয়া বাহির &CR 5th She was absolutely authentic, new, and inexpressible —এই বাক্যে যতগুলি বিশেষণপদ আছে সব কটাই উচু হইয়া উঠিয়া নিশ্বাসের বাতাসটাকে ফুটবলের গোলার মতো এক মাথা হইতে আর-এক মাথায় ছুড়িয়া ছুড়িয়া চালান করিয়া দিতেছে। প্রত্যেক ভাষারই একটা স্বাভাবিক চলিবার ভঙ্গি অাছে। সেই ভঙ্গিটারই অনুসরণ করিয়া সেই ভাষার নৃত্য অর্থাৎ তাহার ছন্দ রচনা করিতে হয়। এখন দেখা যাক, আমাদের ভাষার চাল-চলনটা কী রকম । আপনি বলিয়াছেন, বাংলা বাক্য -উচ্চারণে বাক্যের আরম্ভে আমরা বোক দিয়া থাকি । এই বোকের দৌড়টা ষে কতদূর পর্যন্ত হইবে তাহার কোনো বাধা নিয়ম নাই, সেটা আমাদের ইচ্ছা। যদি জোর দিতে না চাই তবে সমস্ত বাক্যটা একটানা বলিতে পারি, যদি জোর দিতে চাই তবে বাক্যের পর্বে পর্বেই বোক দিয়া থাকি । ‘আদিম মানবের তুমুল পাশবতা মনে করিয়া দেখো — এই বাক্যটা আমরা এমনি করিয়া পড়িতে পারি যাহাতে উহার সকল শৰাই একেবারে মাথায় মাথায় সমান হইয়া থাকে। আবার উত্তেজনার বেগে নিম্নলিখিত-মত করিয়াও পড়া যাইতে পারে— | | | | | আদিম মানবের তুমুল পাশবতা মনে করিয়া দেখো । এই বাংলা শব্দগুলির নিজের কোনো বিশেষ দাবি নাই, আমাদের মজির উপরেই foré. I few, Realize the riotous animality of primitive man— এই বাক্যে প্রায় প্রত্যেক শব্দই নিজ নিজ এক্সেণ্টের ধ্বজ গাড়িয়া বসিয়া আছে বলিয়া নিশ্বাস তাহাদিগকে খাতির করিয়া চলিতে বাধ্য । বাংলা ছন্দে যে পদ্ধবিভাগ হয় সেই প্রত্যেক পদের গোড়াতেই একটি করিয়া বোকালো শব্দ কাপ্তেলি করে এবং তাহার পিছন পিছন কয়েকটি অনুগত শব্দ সমান তালে পা ফেলিয়া কুচ করিয়া চলিয়া যায়। এইরূপ এক-একটি ক্টোক-কাপ্তেনের অধীনে কয়টা করিয়া মাত্রা-সিপাই থাকিবে ছন্দের নিয়ম-অমুলারে তাহার বরাদ হইয়া থাকে। ( ) পয়ারের রীতিটা দেখা যাক। পয়ারটা চতুষ্পদ ছন্দ। আমার বিশ্বাস, পয়ার