পাতা:মুক্তি-পথে - গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুও’-শ,খ আর কথা নাই। পঙ্গপালের মত লক্ষ লক্ষ আরণ্ডলা এসে হাজির হবে। এই দেখুন, এ অতি প্রাচীন, একখানি অতি দুষ্প্রাপ্য পুথি । দর্শন আর জ্যোতিষ শাস্ত্র একসঙ্গে । বইখানা পোকায় কি ভাবে নষ্ট করেছে দেখুন। নীহার—এ ত দেখছি ২৫ বৎসর আগেকার একখানা পুরাতন পি, এম, বাগচীর পঞ্জিকা । একে আপনি দর্শন শাস্ত্র বলছেন ? সরোজ-দেখুন আপনার নব্য ধরণের graduate, দুই একথান। বিদেশী বই পড়েই আপনাদের মাথা একেবারে বিগড়িয়ে গিয়েছে । ২৫ বৎসরের পুরাতন পঞ্জিকা এখন যে দর্শনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। যাক এখন কাজের কথা হোক, আপনাকে তা হলে আমরা এই বিভাগের প্রথমে সাধারণ সভ্য শ্রেণীভূক্ত করে নিলাম। আপনার মাসিক দেয় চাদ ১০ মাত্র। অবশ্ব এটা অগ্রিম দেওয়াই নিয়ম। নীহার—(স্বগতঃ) এটা যে উণ্ট চাপ দেখছি! করতে এলাম চাকরী, ত না আমাকেই টাকা দিয়ে এই “পঞ্জিক”-সমিতির সভ্য হতে হবে ? মন্দ না ! ( প্রকাশ্বে ) আমাকে আপনি ভুল বুঝেছেন। আপনার সমিতির আমি উত্তরোত্তর শ্ৰীবুদ্ধি কামনা করি ; কিন্তু আমি যে বেকার, অর্থহীন ! সরোজ-চাদ না দিলে এখানে সভ্য হওয়া যায় না । যান ঐ কাব্য-বিভাগে চেষ্টা দেখুন। নীহার—(স্বগতঃ) কোন বিভাগেরই আমি আর সভ্য হচ্ছি না। তবে দেখা যাক, এদের দৌড় কতদূর । (প্রকাশ্বে) আচ্ছা, তবে আসি। নমস্কার । (কাব্য-বিভাগে গেলেন) মশায়, আমি বেকার—অর্থহীন। দিলীপ—অর্থহীনের আবার কবিতার সখ কেন মশায় ? এ বিভাগের চাদ আরো বেশী, ২০ টাকা। যান, ঐ ভাষা-বিভাগে যান।