পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী এইটে দেখে মনটা আমার পূর্ণ হল উৎসাহে, মনে হল, বৃদ্ধ আমি মন্দ লোকের কুৎসা এ । মনে হুল আজো আছে কম বয়সের রঙ্গিমা জরার কোপে দাড়ি গোপে হয় নি জবড়জঙ্গিমা । তাই বুঝি সব ছোটে যারা তারা ষে কোন বিশ্বাসে এক বয়সী বলে আমায় চিনেছে এক নিঃশ্বাসে । এই ভাবনায় সেই হতে মন এমনিতরো খুশ অাছে, ডাকছে ভোলা “খাবার এল” আমার কি তার হশ আছে ? জানল দিয়ে বৃষ্টিতে গা ভেজে যদি ভিজুক তো, ভুলেই গেলাম লিখতে নাটক আছি আমি নিযুক্ত । মনকে ডাকি, “হে আত্মারাম, ছুটুক তোমার কবিত্ব, ছোটো দুটি মেয়ের কাছে ফুটুক রবির রবিত্ব ।” জিংস্কৃমি, শিলং ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩০ যাত্রা আগ্রহে আকুল বনতল ; তারা মরণকুলের উৎসবে ছুটেছে দলে দলে ; শুধু বলে, “চলো চলো।” অশ্রীবাষ্প-কুহেলিতে দিগন্তের চক্ষু ছলছল, ধরিত্রীর আর্দ্রবক্ষে তৃণে তৃণে কম্পন সঞ্চারে, তবু ওই প্রভাতের যাত্রিদল বিদায়ের দ্বারে হাস্তমুখে উধ্বপানে চায়, দেখে অরুণ আলোর তরণী দিয়েছে খেয়া, হংসগুভ্র মেঘের ঝালর দোলে তার চজাতপতলে । ওরে, এতক্ষণে বুঝি তার ঝরা নিবারের স্রোতঃপথে পথ খুজি খুজি গেছে সাত ভাই চম্পা ; কেতকীর রেণুতে রেণুতে ছেয়েছে যাত্রার পথ ; দিশ্বখুর বেগুস্তে বেণুতে