পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ রবীন্দ্র-রচনাবলী গন্ধভারে অামস্থর বসন্তের উন্মাদন-রসে ভরি’ তব কমণ্ডলু নিমজ্জিল নিবিড় আলসে মাধুর্ধরভসে । সেদিন তপস্তা তব অকস্মাৎ শূন্তে গেল ভেসে শুষ্ক-পত্রে ঘূর্ণ-বেগে গীত-রিক্ত হিম-মরুদেশে, উত্তরের মুখে । তব ধ্যানমন্ত্রটিরে আনিল বাহির তীরে পুষ্পগন্ধে লক্ষ্যহারা দক্ষিণের বায়ুর কৌতুকে । সে-মন্ত্রে উঠিল মাতি সে উতি কাঞ্চন করবিক, সে-মন্ত্রে নবীনপত্রে জালি দিল অরণ্যবীথিকা শুগম বহ্নিশিখা । বসস্তের বস্তাশ্রেণীতে সন্ন্যাসের হল অবসান ; জটিল জটার বন্ধে জাহ্নবীর অশ্র-কলতান শুনিলে তন্ময় । সেদিন ঐশ্বর্য তৰ উন্মেষিল নব নব অস্তরে উদ্বেল হল আপনাতে আপন বিস্ময় । আপনি সন্ধান পেলে আপনার সৌন্দর্ষ উদার, আনন্দে ধরিলে হাতে জ্যোতির্ময় পাত্রটি স্বধার বিশ্বের ক্ষুধার । সেদিন, উন্মত্ত তুমি, যে-নৃত্যে ফিরিলে বনে বনে সে-লুত্যের ছন্দে-লয়ে সংগীত রচিকু ক্ষণে ক্ষণে তব সঙ্গ ধ’রে । ললাটের চন্দ্রীলোকে নন্দনের স্বপ্ন-চোথে নিত্য-নৃতনের লীলা দেখেছিকু চিত্ত মোর ভ’রে ।