পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বনাগরিক। [শরৎ, সাহিত্যের নারীচরিত্রকে মনে রেখে] কিরণময়ী । আমরা ডুবে যাবার সময় তলিয়ে যাবার মুহূর্তে তামাদের স্বর্থী পাপপুণ্য চেতন অবচেতনে দমবন্ধ হ’য়ে ম’রে যায়, নারী, তোমার উজ্জলতাকে নিরুপণয় দড়ির মতো তখন আঁকড়ে ধরতে পারে । সব শরীরের মধ্যেই কন্যাকুমারিকার মন্দিরের মতো পবিত্রতার সঙ্গে খাজুরাহের ভাস্কর্যের রক্তমাংস স্বাভাবিক নিয়মেই মিশে থাকে । নারী, মনে থাকে না যে, ঘর-বধবার গোধূলি লগ্নে তোমার মনপ্রেম শরীর আত্মাকে অত্যন্ত সস্তপণে পৃথিবীর সমস্ত পুরুষের বুক থেকে খুজে খুজে কুড়িয়ে আনতে হয় । অভয়া ॥ তা গজ বিশ্বসংসারে রক্তের খনির মতো সব উপনিবেশ উঠে গেলেও নারী, তোমার বুকের ওপরে এখনও পুরুষের তা দিম যন্ত্রপাতি প’ড়ে অাছে – চতুর্দিকে কেবলই তোমার স্বপ্নের ভালোবাসার নিষ্ঠুর পিরামিড গাথা হ’য়ে চলেছে । — তুমি পাহাড় নদী প্রাস্তরের হাত ধ’রে বন্য হাওয়ার মতো ছুটতে চাইলে এখনও কি ভীষণ অণন্দোলন শুরু হ’য়ে যায়, মিথ্যে ইতিহাস লেখা হতে থাকে । | কমল | পৃথিবীর সমস্ত স্থবির বিশ্বাসকেই একদিন পচামাংসের টুকরোর মতো কুকুরের লকলকে জিভের সামনে ছড়িয়ে প’ড়তে হয় । কোমল তরুণী প্রাণও অগত্মরক্ষার অমোঘ কৌশলে কিভাবে যেন ইস্পাত হ’য়ে যায় । পুরোনো আত্মা যেমন অলৌকিক ইশারায় নতুন নতুন শরীরে জেগে ওঠে, তোমার পুরোনো শরীরে তেমনই লুকোনো আগ্নেয়গিরির মতো জেগে ওঠে অণপোষহীন প্রেম । মন ভেঙে যায়, মস্ত্র ভেসে যায়, ভালোবাসার মৃত ফুলদানি উপড়ে পড়ে, তখনও জীবনের অস্থির ছাউনিতে তুমি কিছু সোনালী বোধ বেদুইনের মতো সাজিয়ে রাখো নারী । ළඳා