পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> পাবনায় বাড়ি হবে, গাড়ি গাড়ি ইট কিনি, রাধুনিমহল-তরে করেগেট-শষ্ট কিনি । ধার ক’রে মিন্ত্রির সিকি বিল চুকিয়েছি, পাওনাদারের ভয়ে দিনরাত লুকিয়েছি, শেষে দেখি জানলায় লাগে নাকে ছিটুকিনি । দিনরাত ছুড় দাড় কী বিষম শব্দ যে, তিনটে পাড়ার লোক হয়ে গেল জব্ব যে, ঘরের মানুষ করে খিচু খিটু খিটুকিনি । কী করি না ভেবে পেয়ে মথুরায় দিহু পাড়ি, বাজে খরচের ভয়ে আরেকটা পাকাবাড়ি বানাবার মতলবে পোড়ো এক ভিট কিনি । তিনতলা ইমারত শোভা পায় নবাবেরই, সিড়িটা রইল বাকি চিহ্ন সে অভাবেরই, তাই নিয়ে গৃহিণীর কী যে নাক-পিটুকিনি । & বালিশ নেই, সে ঘুমোতে যায় মাখার নীচে ইট দিয়ে। কাথা নেই, সে পড়ে থাকে রোদের দিকে পিঠ দিয়ে । শ্বশুর বাড়ি নেমস্তন্ন, তাড়াতাড়ি তারই জস্ত ছেড়া গামছা পরেছে সে তিনটে-চারটে গিঠ দিয়ে। ভাঙা ছাতার বাটখানাতে ছড়ি ক’রে চায় বানাতে, রোদে মাখা স্থস্থ করে ঠাণ্ডা জলের ছিট দিয়ে । হাসির কথা নয় এ মোটে, খেকশেয়ালিই ছেলে ওঠে যখন রাতে পথ করে সে হতভাগার ভিট দিয়ে । \O পাচদিন ভাত নেই, দুধ একরত্তি— জর গেল, বায় না ষে তবু তার পখ্যি।